• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিদেশি চ্যানেল বন্ধের উদ্যোগকে কিভাবে দেখছেন তারকারা

  ০৪ অক্টোবর ২০২১, ২৩:৫৯
বিদেশি চ্যানেল বন্ধের উদ্যোগকে কিভাবে দেখছেন তারকারা

বিদেশি চ্যানেল বন্ধে পক্ষে-বিপক্ষে যখন যুক্তিতর্ক চলছে, তখন এ বিষয়ে আরটিভি নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় দেশের সংস্কৃতি অংঙ্গনের মানুষদের সঙ্গে। তাদের প্রশ্ন করা হয় বিদেশি চ্যানেল বন্ধের এই উদ্যোগকে কিভাবে দেখছেন? এর ধারাবাহিকতায় আজ প্রথম পর্বে রয়েছেন তিনজন গুনি শিল্পী। তারা হচ্ছেন, অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, নিমার্তা ও অভিনেতা সালাউদ্দিন লাভলু এবং অভিনেত্রী ও নির্মাতা অরুণা বিশ্বাস। তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন আরটিভি নিউজের রিপোর্টার কুদরত উল্লাহ।

সালাউদ্দিন লাভলু: বিদেশি চ্যানেল যে বন্ধের কথা বলা হচ্ছে তা কিন্তু নয়। সরকার আসলে কোন বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করতে বলেনি। বলেছে, আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী ক্লিন ফিড দিয়ে বিদেশি চ্যানেল চলবে। এতো দিন ধরে একটা আইন ছিল সেটা বাস্তবায়ন হয়নি এখন ১ অক্টোবর থেকে এটা প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে যারা ক্লিন ফিড বা আইনটা মেনে চ্যানেল চালাচ্ছিল সেটাও যদি বন্ধ হয়ে থাকে সেটা দুঃখজনক। তবে নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে সরকার নতুন করে ভাববে। আর অন্যদিকে যদি বলতে হয়, এখন ক্লিন ফিডের মাধ্যমে যে অর্থ আসবে তা আমাদের দেশের চ্যানেল কিংবা সরকারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের গুনগতমানের দিকে নজর দিতে পারবেন বলে আমি আশাবাদি। আমরা আছি পাশে এই উদ্যোগের সঙ্গে। আমি সাধুবাদ জানাই।

অরুণা বিশ্বাস: কিভাবে আর দেখবো? নিশ্চয়ই এটি ভালো উদ্যোগ। তবে ভেতরকার কথা তো আর আমি বলতে পারব না। যদি এটা দেশের মঙ্গলের জন্য হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যেই একটা ভালো বার্তা আমাদের জন্য। কারণ আমরা যারা এই মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত তাদের তো কাজের মাধ্যমই টেলিভিশন কিংবা হলের সঙ্গে। এখন টেলিভিশনগুলো নিশ্চয়ই তাদের অনুষ্ঠানের মানে ভালোর দিকে যাবে। দর্শকরা তো অনেক বিরক্ত এটা আপনিও ভালো করে জানেন। তার কারণ যেটাই হোক, এখন মোদ্দাকথা হচ্ছে যদি এই বন্ধে আমাদের সবার জন্যে ভালো হয় তাহলে অবশ্যই ভালো। আমি এমনটাই প্রত্যাশা করি।

তানভীন সুইটি: এটা আসলে অবশ্যই একটি ভালো দিক। এত বছর ধরে বিদেশী চ্যানেলগুলো চালোনোর জন্য ক্যাবেল অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বারবার বলা হয়েছে এবং সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ২০০৬ সাল থেকে পরবর্তীতে এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও ক্যাবল অপারেটরদের বলা হলো কিন্তু কেউ শুনেনি বা বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেনি। তাই পরিশেষে শুক্রবার ১ অক্টোবর থেকে বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিন ফিড প্রদর্শনের আইন না মানার জন্য বিজ্ঞাপনসহ বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচার বন্ধ করেছে। আমি বলব, যা বেআইনী ছিল এখন তার সুষ্ঠ আইন প্রয়োগ করা হলো। এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। যারা ক্লিন ফিড দিবে তাদের তো সম্প্রচার করতে তো কোন বাঁধা দেয়নি সরকার। এখন আমরা শুধু যে টেলিভিশন এর কথা বলছি সেটা কিন্তু নয়। পুরো মিডিয়া মাধ্যমের কথা যদি বলি তাহলে এখন এই নীতিমালা ঠিক ভাবে প্রয়োগ করার ফলে আমাদের মিডিয়া কেন্দ্রিক সকল কলাকুশলিরাই উপকার পাবে। বিদেশি বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে এতদিন ধরে তো কোন অর্থই আমাদের দেশে থাকতো না। এখন থেকে তা থাকবে। আর এই প্রচেষ্টাই করে যাচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী তথা বাংলাদেশ সরকার। আমি এর জন্য সাধুবাদ জানাই। এবার বলতে হচ্ছে যারা অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত মানে দশর্কসহ। ধরুন একটি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে, বিরক্ত হচ্ছে, নাটক দেখছে না, বিদেশি চ্যানেলের নাটক দেখছে, বাজেট কমে গেছে যার জন্য প্রেমিক, প্রেমিকা দিয়েই গল্প শেষ হয়ে যাচ্ছে। শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নির্ভর গল্প প্রচার করার কারণও কিন্তু বাজেট কিংবা বিজ্ঞাপনের দোষ দেওয়া হয়ে থাকে। এখন নিশ্চয়ই বাজেট বাড়বে, গল্প হবে গল্পের মতো। বাবা-মা, ভাই বোন পুরো পরিবার নিয়েই গল্প হবে, নির্মিত হবে ভালো নাটক, অনুষ্ঠান। পরিশেষে আমি এটাই বলতে চাচ্ছি এখন আমাদের সবার একসঙ্গে থাকতে হবে। এটা যুক্তিসঙ্গত একটি কাজ করেছে সরকার। এজন্য আমি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নিশ্চয়ই আমাদের জন্য সামনে আরও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।

কেইউ/এমএন

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল আজ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি
দুই ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধে রাজধানীতে র‌্যালি
X
Fresh