• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ভালো নেই পরী

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২৫ আগস্ট ২০২১, ১৭:১৭
ভালো নেই পরী
ফাইল ছবি

বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। মাদক মামলায় তৃতীয় দফায় রিমান্ড শেষে গেল ২১ আগস্ট দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তোলা হলেও জামিন পাননি তিনি।

দেশীয় একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, কারাগারে ১৩ জনের সঙ্গে কোয়ারেন্টিন সেলে থাকতে দেওয়া হয়েছে পরীমণিকে। পরদিন ১৪ আগস্ট সকালের দিকে মহিলা ডাক্তার গিয়ে পরীমণির স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ তার শনাক্তকারী চিহ্ন লিপিবদ্ধ করেছেন।

প্রত্যেক আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর কারাগারের রেজিস্ট্রারে তার নাম-পরিচয়সহ সব কিছু লেখা হয়। পরীমণির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। কারা কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রারে তার নাম-ঠিকানাসহ তথ্য লিপিবদ্ধ করতে যান।

ওই সময় এক কারা কর্মকর্তা পরীর কাছে জানতে চান, ‘কেমন আছেন আপনি?’

পরীমণির জানান, ‘মশার কারণে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। এতজন একসঙ্গে থাকতে গিয়েও কষ্ট হচ্ছে। এভাবে কোনও দিন থাকিনি। অশান্তিতে আছি।’

পরে কারা কর্মকর্তারা নায়িকাকে বলেন, ‘কারাগারে শান্তির খোঁজ করলে চলবে? কারাগার চলে কারাবিধি অনুযায়ী। বন্দী হিসেবে আপনি যা সুবিধা পাওয়ার কথা, এর বেশি পাবেন না।’

‘আপনি ম্যারিড, নাকি আনম্যারিড?’ কারা কর্মকর্তার এই প্রশ্নের জবাবে পরী বলেন, ‘আমি আনম্যারিড।’ কারাগারের রেজিস্ট্রারে সেই তথ্যই লেখা হয়েছে। যদিও পরীর একাধিক বিয়ের খবর প্রচলিত আছে।

এক কারা কর্মকর্তা বলেন, বন্দী কারাগারে যাওয়ার পর রেজিস্ট্রারে তার পরিবারের সবার নাম লিখে রাখা হয়। যখন তার মুক্তি মেলে তখন ওই তথ্য নতুন করে যাচাই করা হয়। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ধরুন একজন বললো তার তিন ছেলে আছে। তখন জিজ্ঞেস করা হয়, আপনার মেজো ছেলের নাম কী? বলার পর সেটা রেজিস্ট্রারে লিখে রাখা হয়। মুক্তির সময় তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনার মেজো ছেলের নাম কী? যদি নামের গরমিল না হয় তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে সঠিক ব্যক্তিকেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গেল ৪ আগস্ট পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‍্যাব। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে তারা। তার ড্রয়িংরুমের কাবার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম এবং বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল মদের বোতল উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করা হয়। পরদিন বিকেলে পরীমণি, প্রযোজক ও অভিনেতা মো. নজরুল ইসলাম রাজ এবং তাদের দুই সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু ও মো. সবুজ আলীকে বনানী থানায় সোপর্দ করে র‍্যাব।

এরপর র‍্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে৷

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম। তার আগে ১০ আগস্ট পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।

মাদক মামলায় গেল ১৩ আগস্ট পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই দিন সন্ধ্যায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সিয়ামের জন্মদিনে পরীমণির আবেগঘন পোস্ট
মাহির ছেলের জন্মদিনে যে বার্তা দিলেন পরীমণি
মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চাই না : পরীমণি
অবশেষে শান্তির জায়গা খুঁজে পেলেন পরীমণি!
X
Fresh