• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কলকাতার প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের পরিচালক

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৫ মে ২০১৭, ১৭:১১

বাংলাদেশে 'হৃদয় জুড়ে' নামে একটি ছবিতে অভিনয় করছিলেন কলকাতার নায়িকা প্রিয়াঙ্কা সরকার। কিন্তু হঠাৎ করেই ছবির পরিচালক রফিক শিকদারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। অন্যদিকে, শ্যুটিঙের শিডিউল দিচ্ছেন না প্রিয়াঙ্কা এমন অভিযোগ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন ওই পরিচালক। তবে নায়িকার বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়েই বেশ বিপাকেই পড়েছেন পরিচালক। নায়িকা-পরিচালকের এ কাহিনী এখন চিত্রপুরীর মানুষের মুখে মুখে!

পরিচালকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নায়িকা বলেন, গেলো মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আমি ঢাকা গিয়েছিলাম আমার প্রথম বাংলাদেশী ছবি 'হৃদয় জুড়ে'র শুটিং করতে এবং সত্যি কথা বলতে বাংলাদেশে আমার প্রযোজনা টিম, সহশিল্পী'সহ সবার আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু এত কিছুর পরেও অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে এ ছবির পরিচালক রফিক শিকদার চূড়ান্ত অপেশাদার একজন মানুষ।

তিনি আরো বলেন, 'অকারণেই পরিচালক শুটিংয়ের সময় আমার সঙ্গে কাজের বাইরে অন্যান্য বিষয় নিয়ে গল্প করতে চাইতেন। সময়ে-অসময়ে মেসেজ করতেন নানা রকম। যেগুলো কাজ সংক্রান্ত নয়! মানে বাড়তি অ্যাটেনশন পাবার চেষ্টা এবং অনেক সময়েই আমি এর প্রতিবাদও করেছি কিন্তু তবুও উনি নিজেকে সংশোধন করেননি। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় উনি আমাকে বারবার মেসেজ করতেন। বলতেন, উনি নাকি আমাকে মিস্ করছেন! একটা সময়ের পর আমাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন! বারবার ব্লক করা সত্ত্বেও উনি থামেননি। উনি সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পোস্টেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন আমাকে। এসব সত্যি অত্যন্ত দুঃখজনক'।

নির্মাতা রফিক শিকদার তার ফেসবুকে লিখেন, দু'দিন শুটিং স্পটে নায়িকার জন্য গাড়ি ছিল না বলে সে প্রচন্ড রকমের সিনক্রিয়েট করেছিল। যে কারণে নায়িকার জন্য গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এটা নিয়ে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই। তাকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার তাগিদে তার ইনবক্সে লেখাগুলো সেন্ট করেছিলাম। নায়িকা যে লেখাগুলো উন্মোচন করেছেন সেটি কিন্তু অতি সাম্প্রতিককালের। অর্থাৎ নায়িকা কলকাতায় যাবারও বেশ কিছুদিন পরের ঘটনা এটি। সে যখন আমাকে শিডিউল দিচ্ছিল না তখন আমি তার উদ্দেশ্যে এ লেখাগুলো লিখেছিলাম।

কোনো বিদেশি শিল্পী কাজ করতে এলে তার ওয়ার্ক-পারমিট লাগে। ওয়ার্ক-পারমিট করাতে শিল্পীর লিখিত শিডিউল লেটার প্রয়োজন হয়। যেটা নায়িকা আমাকে দিচ্ছিলেন না। মূলত তাকে মানসিকভাবে সফট্ করার জন্যই নিজের কৌশলগত অবস্থান থেকে তাকে বিয়ের প্রস্তাবটি দিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম এই ঔষধে কাজ হবে। আমি ভুলে গিয়েছিলাম ঔষধ সব সময় রোগীর পক্ষে নিদান বয়ে আনে না। মূলত আমার দেয়া ঔষধে রোগী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুটিং এর আগে বা শুটিং চলাকালীন সময়ে তার সঙ্গে কাজের বাইরে কোনো কথা বলতে যাইনি। ইনবক্সেও কিছু লিখিনি। এবার আমার প্রশ্ন হচ্ছে শুটিং এর সময়ে সে আমার সঙ্গে এমন নিকৃষ্টতম আচরণগুলো কেনো করেছিলেন?

জানা গেছে, প্রিয়াঙ্কাকে বাদ দিয়ে নতুন নায়িকা নিয়ে ছবির বাকি অংশের কাজ করবেন পরিচালক।

এইচএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh