• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

লিচুতলায় চকচকে পাথরের নিচে মাটির ঘর বেঁধেছেন হুমায়ূন আহমেদ

  ১৯ জুলাই ২০২১, ১৮:৩০
লিচুতলায় চকচকে পাথরের নিচে মাটির ঘর বেঁধেছেন হুমায়ূন আহমেদ

শব্দের জাদুকর প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ তার কথার জাদুতে সকলকে মায়ার বাঁধনে বেঁধেছেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেই বাঁধন ছিঁড়ে তিনি নিজেই চিরতরে ঘুমিয়ে আছেন নুহাশপল্লীর লিচুতলায় ছোট্ট মাটির ঘরে। মাটির সাথে আত্মিক বন্ধন গড়ে মিতালী করেছেন ওপার আকাশে।

নুহাশপল্লীর লিচুতলার সেই ছোট্ট ঘরটিতে আলো-বাতাসের কোন বালাই নেই, নেই কোন খাতা-কলম। আধুনিক সভ্যতার কোন যন্ত্রপাতিও নেই। পাখির কিচিরমিচির, ফুলের সুবাস আর ঘাসের চাদরে ঢাকা মাঠ নেই। আছে শুধু হুমায়ূন আহমেদের নিথর দেহ।

হুমায়ূন বেঁচে থাকলে অবিরল চলত তার হাতের কলম। সাদা কাগজের বুক চিরে তিনি রচনা করতেন কথার রাজ্য। তবে সেই রাজ্যে থাকত না কোন রাজা, কোন রাণী। তিনি কথা বলতেন মানুষকে নিয়ে, চলমান জীবনের বিভিন্ন রঙয়ের খেলা নিয়ে। তার লেখায় এক অদৃশ্য মায়া অনুভূত হয়। চাইলেও সেই মায়া থেকে কেউ বের হতে পারে না।

নুহাশপল্লীর লিচু বাগান ছিলো হুমায়ুনের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। প্রথমে সেখানে একটি খড়ের ঘর করে থাকতেন তিনি। অথচ আজ সেই লিচুতলায় কাঁচের বেষ্টনী ঘেরা সবুজের বুকে সাদা চকচকে পাথরের নিচে ছোট্ট মাটির ঘর বেঁধেছেন হুমায়ূন। সেখান থেকে বের হওয়ার ক্ষমতা তার নেই। বাইরের কাউকেও সেই ঘরে ঢুকতে দিতে পারেন না তিনি। এখন তিনি চন্দ্রকারিগরের সাথে সখ্য গড়েছেন।

হুমায়ুনের একটি কথা দিয়েই শেষ করতে চাই, ‘পাখি উড়ে গেলেও পলক ফেলে যায়, আর মানুষ চলে গেলে ফেলে রেখে যায় স্মৃতি।’

এনএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঈদের ‘ওমর’ সিনেমায় হুমায়ূন আহমেদ ও মান্না
মনোনয়নপত্র কিনলেন অভিনেত্রী শাওন
X
Fresh