• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মেহজাবিনের মেয়ের ‘নামকরণ’ করলেন আফরান নিশো

আরটিভি নিউজ

  ১২ মে ২০২১, ১৬:৪৯
মেহজাবিনের মেয়ের ‘নামকরণ’ করলেন আফরান নিশো

৫ বছর পর জেল থেকে বের হয় জাহিদ। বের হয়েই তার ভালোবাসার মানুষ অর্শাকে খুঁজতে থাকে। সেই পুরানো চায়ের দোকান, পার্কের বেঞ্চ এমনকি তার বাসা। কোথাও নেই অর্শা। স্মৃতিগুলোকে হাতড়ে বেড়ায় জাহিদ।

৫ বছর আগে এই শহরে পাঠাও চালাতো জাহিদ। এমনিভাবে একদিন দেখা হয়েছিলো অর্শার সাথে। অর্শা ছিলো তার কলেজের জুনিয়র। এখন একটা প্রাইভেট ফার্মে ছোটখাটো একটা জব করছে। জাহিদ তার বাইকে প্রতিদিন অর্শাকে অফিসে দিয়ে আসতো এবং বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে যেতো। এভাবেই চলতে চলতে কথা বলতে বলতে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের একটা সম্পর্ক তৈরী হয়। প্রেম হবে হবে ভাব আবার ঠিক প্রেমও না। তারা একে অপরকে ভালোবাসে কিনা তা-ও বুঝতে পারে না। একটা দূরত্ব বজায় রেখে তাদের মিষ্টি সম্পর্ক এগুতে থাকে। ঠিক তখনই একটা দুর্ঘটনা…। থাক সেসব কথা। কি লাভ ভেবে?

এ শহরে এখন একমাত্র গার্ডিয়ান বাশার চাচার মাধ্যমে একটা ‘রেন্ট এ কার’ এ এম্বুলেন্স ড্রাইভার হিসেবে চাকরী শুরু করে জাহিদ। ভালোই দিন কেটে যাচ্ছিলো তার। একদিন মাঝরাতে হঠাৎ ফোন আসে অফিস থেকে। ইমার্জেন্সি কল। সিরিয়াস এক রোগীকে নিয়ে হসপিটাল যেতে হবে। অনিচ্ছাসত্ত্বেও জাহিদ এম্বুলেন্স নিয়ে বের হয়।

রোগী একজন প্রেগনেন্ট মহিলা। প্রসব বেদনায় ছটফট করছে। সেন্সলেস হবার জোগাড়। রোগীকে দেখে থ হয়ে যায় জাহিদ। এ তো অর্শা, যাকে শহরের অলিতে গলিতে খুঁজে বেড়িয়েছে জাহিদ। অর্শার স্বামী শুভ বলে যতদ্রুত সম্ভব হসপিটাল যেতে হবে। রোগীকে বাঁচাতে হবে। দ্রুত অর্শাকে এম্বুলেন্সে তুলে মরণপন ছুটতে থাকে জাহিদ। রাস্তার জ্যাম ঠেলে, সার্জেন্টের হাতে পায়ে ধরে, রিস্ক নিয়ে রং সাইড দিয়ে গাড়ি চালিয়ে কোনমতে হাসপাতালে পৌঁছে জাহিদ। ততক্ষনে সেন্সলেস হয়ে পড়ে অর্শা।

অপারেশন শেষে ডাক্তার জানায় অর্শা সুস্থ আছে এবং শুভ কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছে। তবে আরেকটু দেরী হলে মা এবং বাচ্চা কাউকেই বাঁচানো সম্ভব হতো না। জাহিদকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানায় শুভ। রোগীর সাথে দেখা করার জন্য একরকম জোর করে নিয়ে যায় শুভকে।

জাহিদকে দেখে ভীষণ অবাক এবং আবেগাপ্লুত হয় অর্শা। চোখের কোনে জল জমে। শুভ ইমার্জেন্সি কিছু ওষুধ আনতে বাইরে যায়। তখন অর্শা জিজ্ঞেস করে- সেদিন কেন দেখা হলো না? জাহিদের সেদিনের কথা মনে পড়ে যায়। যেদিন ওদের দেখা হওয়ার কথা ছিলো, দুজন দুজনকে মনের জমে থাকা কথাগুলো শেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সেদিন আসতে পারে নি জাহিদ। একটা খুনের সহযোগী হওয়ার দায়ে পুলিশ সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে। অথচ জাহিদের কোন দোষ ছিলো না। তার আগের রাতে সে এপ্স ছাড়া কনটাক্টে একজন লোককে বাইকে করে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছিলো। লোকটা সে রাতে একজন মহিলা ও একটা বাচ্চাকে খুন করে পালিয়ে যায়। কিন্তু সিসি টিভির ক্যামেরায় বাইক চালক হিসেবে দেখা যায় জাহিদকে। ৫ বছরের সাজা হয়ে যায় জাহিদের। অদৃষ্টের নির্মম পরিহাস দুজনকে আলাদা করে দেয়।

শুভ কেবিনে ফিরে আসে। জাহিদকে খুব করে অনুরোধ করে তার বাচ্চার নামটা যেন রেখে দেয়। জাহিদ আবার নষ্টালজিক হয়ে যায়। বাচ্চার নাম রাখা নিয়ে অর্শার সাথে কত কথাই না হয়েছিলো সেদিন। দুটো নাম অর্শা সেদিন সিলেক্ট করেছিলো। ছেলে হলে আয়ুশ আর মেয়ে হলে অবন্তী। নিজের নামের সাথে মিল রেখে জাহিদ সেদিন ঠিক করেছিলো মেয়ে হলে রাখবে অবন্তী হাসান। তবে এবার শুভর নামের সাথে মিল রেখে জাহিদ নাম রাখে অবন্তী ইসলাম। বাচ্চাটাকে কোলে তুলে আদর করে আবার রেখে দেয়। অবন্তীর গাল বেয়ে নিরবে জল গড়িয়ে পড়ে। চোখ মুছতে মুছতে হাসপাতাল থেকে বের হয় জাহিদ।

এমনই গল্পে ঈদের একক নাটক ‘নামকরণ’ এ জুটি বেঁধেছেন দেশীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় দুই তারকা আফরান নিশো ও মেহজাবিন চৌধুরী। সঞ্জয় সমাদ্দারের পরিচালনায় ঈদের ৫ম দিন রাত ১০টায় আরটিভিতে প্রচার হবে নাটকটি।

এনএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সুগন্ধা বিচকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ নামকরণের নির্দেশনা বাতিল
শাকিবের ‘তুফান’-এ আফরান নিশো!
নিশোর সঙ্গে অপূর্বর বন্ধুত্বে ফাটল!
X
Fresh