• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঢাকাইয়া দুই খানদানের খানদানি ঝগড়া!

আরটিভি নিউজ

  ১০ মে ২০২১, ২০:৫১
ঢাকাইয়া দুই খানদানের খানদানি ঝগড়া!

বিবাদ ঢাকাইয়াদের কাছে এক রকমের ঐতিহ্যের মতই, এই ঝগরাটা মূলত দুই খানদানের মধ্যে হলেও মজাটা কিন্তু পাড়া প্রতিবেশীরাই বেশি পায়। তেমনি দুই ঝগড়াশালী খানদান হচ্ছে পুরান ঢাকার “মিয়া” আর “খান” পরিবার ওরফে খানদান। আর এই দুই খানদানের দুইমাত্র রত্ন হচ্ছে মিয়া পরিবারের “আশিক মিয়া” এবং খান পরিবারের “সুইটি খান”।

আশিক মিয়া দেখতে শুনতে মাশাআল্লাহ। চালচলন, মহল্লায় আড্ডাবাজি, ধান্দাবাজি সবকিছুতেই পাক্কা ঢাকাইয়া পোলা।কিন্তু লেখা পড়ায় রেজাল্টটা সারপ্রাইজলি ভালোই বরাবর। এজন্য মহল্লায় তার আলাদা কদরও আছে।

অপরদিকে সুইটি খান দেখতে শুনতে মাশাআল্লাহ হইলেও কামকাজ ও লেখাপড়ায় একেবারে আসতাগফিরুল্লাহ্। সে যেমন সুন্দরী ও স্মার্ট তেমনই বদরাগী। ভালো কথা ও কাজকর্ম তার আশপাশ দিয়েও কখনো ভিড়ে না। লেখাপড়ায় ডাব্বা মার্কা হলেও সাজুগুজুর যদি কোন কম্পিটিশন হইতো তাহলে সুইটি চ্যাম্পিয়ন হইতো শিওর।এই দুই রত্নের (আশিক-সুইটি) মধ্যে ছোটবেলা থেকেই খানদানি শত্রুতার সুবাদে হরহামেশাই তারা নতুন নতুন সব বিষয় নিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি করে।

যেমন আজকের ঝগড়া সুইটির জানেজিগার প্রেমকে নিয়ে। প্রেম হচ্ছে সুইটির ১ বছরের বিড়াল।গল্পের শুরুতেই দেখা যায় সুইটি মাথায় ব্যান্ডেজ করা প্রেমকে নিয়ে রাগান্বিত হয়ে আশিকের বাসায় হামলা করে। এসেই সে আশিককে ডাকতে থাকে। আশিক আসার পর সুইটি আশিককে ধুইতে থাকে কেন সে তার প্রেমকে মারলো? তখন আশিকও বলে কেন প্রেম তার বাড়িতে চুরি করে খাবার খেতে আসলো। এভাবেই পাল্টাপাল্টি জবাবে শুরু হয় দুজনের মধ্যেকার তুমল ঝগড়া। এ রকম নানান সারকাস্টিক বিষয় নিয়ে তাদের দুই খানদানের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকে।

ফুচকার দোকানদার কেন আশিকের আগে সুইটিকে ফুচকা দিলো, কেন আশিকের বন্ধুকে তার দিকে তাকানোর দায়ে সুইটি থাপ্পর মারলো, কেন খান সাহেব মিয়া সাহেবের সাথে বড় মাছ নিয়ে কাড়াকাড়ি দাম কষাকষি করলো। কার ছেলে মেয়ে বেশি ভালো রেজাল্ট করলো ইত্যাদি। কিন্তু এবারের রেজাল্ট নিয়ে একটু বাড়াবাড়িই করে ফেলে আশিক। সে এবার মিষ্টি নিয়ে সরাসরি সুইটির বাসায় গিয়ে সুইটির বাবা-মা ও সুইটিকে মিষ্টিমুখ করিয়ে আসে। কারন এবার যে সুইটি ৪ বিষয়ে ফেল করেছে। রেজাল্ট খারাপ নিয়ে সুইটি কখনো লজ্জা ও কষ্ট না পেলেও এবার সুইটি একটু বেশিই আহত হয় আশিকের কান্ডে।

মূল সমস্যাটা শুরু হয় তখন, যখন হলি খেলাতে আশিক সুইটির গায়ে রং মাখলে সুইটি চর মারে আশিককে। এর আগে যতই ঝগড়া হোক কেউ কারোর গায়ে হাত তোলেনি। এ ঘটনায় আশিক যতটা সারপ্রাইজড হয় তার চেয়ে বেশি শকড হয়! সুইটি কি করলো এইটা?

এরপর সব জায়গায় আশিককে এভোয়েড করতে থাকে সুইটি। নিশ্চিত ঝগড়ার সুযোগ থাকলেও সুইটি তা থেকে পিছিয়ে আসে। আশিককে পুরোপুরি এভোয়েড করতে থাকে। আশিক তো সবসময় সুইটির সাথে ঝগড়ায় অভ্যস্ত। সুইটির এই এভোয়েড আশিক নিতেই পারেনা। সে রিয়ালাইজ করে এবার সুইটিকে বেশিই কষ্ট দিয়ে ফেলেছে। তাই সে সুইটির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শুরু হয় আশিকের নতুন মিশন। যেভাবেই হোক সুইটির রাগ/অভিমান ভাঙাতেই হবে। নানান উপায়ে সে সুইটির রাগ ভাঙ্গানোর চেষ্টা করতে থাকে। রাত বিরাতে সুইটির জানালার সামনে কানে ধরে দাড়িয়ে থাকা, সকালে ফুলের সাথে সরি চিরকুট পাঠানো, রাস্তায় সরি লিখে কানে ধরে দাড়িয়ে থাকা, বাসায় ফুচকার গাড়ি পাঠিয়ে দেয়া আরও কত কি। কিন্তু সুইটি প্রতিবারই তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে থাকে। আর আশিকও একের পর এক নতুন পন্থায় তার রাগ ভাঙ্গানোর চেষ্টা করতেই থাকে। ফাইনালি যখন আশিক নতুন কৌশলে সুইটির “প্রেমকে” আদর করতে থাকে, কোলে তুলে খাওয়াতে থাকে তখন সুইটির মন ধীরে ধীরে নরম হতে থাকে। এভাবেই এক সময় দুই খানদানের মধ্যে নতুন অধ্যায়ের শুরু হয়।

প্রসঙ্গত,মুহাম্মদ মিফতাহ্ আনানের রচনা ও পরিচালনায় 'ঢাকাইয়া খানদান' শিরোনামের নাটকটিতে জুটি বেঁধেছেন তৌসিফ মাহবুব ও সাফা কবির। আসছে ঈদের তৃতীয় দিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে আরটিভিতে প্রচার হবে নাটকটি।

এনএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঈদে অপূর্ব-সাফার ‘ভালোবাসার কয়েকটা দিন’
বিয়ে ভাঙার কাজ করেন তৌসিফ-নিহা
চলচ্চিত্রে নিয়মিত হতে চান সাফা কবির
এবার নিজের বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন সাফা কবির
X
Fresh