করোনা আক্রান্ত খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসিফ আকবরের স্ট্যাটাস
গতকাল রোববার বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরটি প্রকাশ্যে আসে। গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র তিনি ছাড়া আরও আটজন স্টাফ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মো. মামুন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য আজ সোমবার সকালে নিজের ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ-আইডি থেকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর।
তিনি লিখেছেন, সুস্থ হয়ে আপনার নিজ দেশের সন্তানদের মাঝে ফিরে আসুন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ম্যাডাম। শত হাজার, লক্ষ, কোটি মানুষের দোয়ায় আপনি এবং আপনার দেশ সুস্থ হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ...
আমীন...
এম
মন্তব্য করুন
মাকে ছাড়া কীভাবে থাকব : পূজা
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায়। রোববার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মিরপুরের নিজবাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন ঝর্ণা রায়। মাকে হারিয়ে শোকে কাতর পূজা। মা হারানোর বেদনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
গণমাধ্যমে পূজা জানান, এমন শোক সহ্য করার শক্তি আপাতত খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
পূজা বলেন, এভাবে মামুনি আমাকে একা করে চলে যাবে আমি কল্পনাও করতে পারছি না। এই শোক কীভাবে ভুলব আমি। বুকে আটকে থাকা এই কষ্ট নিয়ে কীভাবে আমি সারাজীবন পার করব। মাকে ঘিরে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। এখন যুদ্ধ করে একাই আমাকে সেগুলো পূরণ করতে হবে। ভালো থেকো মা আমার। সবাই আমার মামুনির জন্য প্রার্থনা করবেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পূজার মা। ফেসবুক পোস্টে মায়ের অসুস্থতার বিষয়টি জানিয়েছিলেন নায়িকা। অভিনেত্রীর মা ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
এরপর রাজধানীর মিরপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে রাখা হয় তাকে। কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে বাসায় এনে চিকিৎসকের পরামর্শে রাখা হয়। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, ঝর্ণা আন্টি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ডায়াবেটিসের রোগী তিনি। কয়েক সপ্তহ আগে তার শারীরিক অবস্থার অবণতি হতে থাকে। ফলে মিরপুরের একটি হাসপাতালে তাকে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে রাখা হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে বাসায় আনা হয়। আজ হুট করেই সবাইকে ছেড়ে চলে যান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে আত্মপ্রকাশ করেন পূজা। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ‘নূর জাহান’র মাধ্যমে বড় পর্দায় নায়িকা চরিত্রে অভিষেক হয় তার। একই বছর তিনি ‘পোড়ামন টু’ সিনেমায় পরী চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান এই নায়িকা। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন পূজা। এখনও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
ভিন্ন সম্পর্কের ইঙ্গিত দিলেন বুবলী-রাজ
৫৬ সেকেন্ডের এক ঝলক, মুহূর্তেই আলোচনার টেবিলে উঠে এসেছে ‘দেয়ালের দেশ’। কিছু টুকরো দৃশ্য দেখে আঁচ করা যায়, এতে শরিফুল রাজ এমন চরিত্রে আছেন, যিনি মর্গে কাজ করেন। আর শবনম বুবলীর চরিত্রটি এক সাদামাটা তরুণীর। তাদের মধ্যে এক সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কিন্তু সেটা কেমন, আর মর্গের সঙ্গেও বা তাদের কী সংযোগ, সেসব এখনও রহস্য। যা স্পষ্ট হবে পূর্ণাঙ্গ সিনেমায়।
শুরু থেকে ঈদের সিনেমার তালিকায় আলোচনার শীর্ষে রয়েছে নির্মাতা মিশুক মনিরের ‘দেয়ালের দেশ’। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে প্রকাশ হয় এর টিজার। যা নজর কড়েছে ভাক্ত-দর্শকদের। প্রথম ঝলকে গল্পের রহস্যময় প্লট, রাজ-বুবলীর সাজ, অভিনয় ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক- দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। যার ফলে দর্শক-সমালোচকরা এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
তিনি বলেছেন, গল্প পড়েই ভীষণ ভালো লেগেছিল। আমরা প্রায়ই বলি ভিন্ন রকম গল্প, ভিন্ন ধরনের চরিত্র। কিন্তু অনেক সময় পর্দায় সে বিষয়টা পরিষ্কার বোঝা যায় না। এ সিনেমাটি সেখান থেকে ব্যতিক্রম। এর গল্পটা আসলেই ভিন্ন আঙ্গিকের। এ ধরনের চরিত্র এর আগে আমার করা হয়নি। বিশেষ করে আমার জন্য এই ছবিতে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল। কারণ তখনও আমি পুরো কমার্শিয়াল ছবির নায়িকা। আর এই ছবিতে আমাকে নায়িকা নয়, চরিত্র হয়ে উঠতে হবে এবং সেটাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে। সে ব্যাপারে বিশেষ করে আমার পরিচালক এবং সহশিল্পীরাও দারুণভাবে হেল্প করেছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, অনুদানের সিনেমা নিয়ে যে ট্যাবু সৃষ্টি হয়েছে, সেটা ভেঙে যাবে এই ছবির মাধ্যমে।
সিনেমায় রাজ-বুবলী ছাড়াও আছেন আজিজুল হাকিম, শাহাদাত হোসেন, সমাপ্তি মাশুক, স্বাগতা প্রমুখ। মেট্রো সিনেমার ব্যানারে নির্মিত ‘দেয়ালের দেশ’ মুক্তি পাচ্ছে আসন্ন ঈদুল ফিতরে।
জাহ্নবী কাপুরের ভিডিও ভাইরাল
মন্দিরের সিঁড়ির একপাশে অসংখ্য ভাঙা নারকেল। তার পাশ দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে উপরে উঠছেন বলিউড অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর। এ অভিনেত্রী ওঠার পর হামাগুড়ি দিয়ে ওপরে উঠেন কথিত প্রেমিক শিখর পাহাড়িয়া এবং তার বন্ধু ওরহান অবত্রমানি ওরফে ওরি। ওরি তার ইউটিউবে একটি ভ্লগ শেয়ার করেছেন। আর তার ওই ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
কয়েক দিন আগে জন্মদিন ছিল জাহ্নবী কাপুরের। এদিন প্রেমিক শিখর ও ওরিকে নিয়ে মন্দিরে গিয়েছিলেন। মূলত, জন্মদিন উদযাপন ও প্রার্থনা করতে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপাতি মন্দিরে যান জাহ্নবী, শিখর এবং ওরি। এদিন হামাগুড়ি দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করেন তারা।
সিঁড়ি ভেঙে উপরে ওঠার পর অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর বলেন, এই পবিত্র স্থানের সঙ্গে একটা আধ্যাত্মিক যোগ অনুভব করি। সারা বছরে প্রায় ৫০ বার এখানে আসি। এবার আমি আমার প্রার্থনা বালাজির কাছে জানাতেই হাঁটু ভেঙে মন্দিরে উঠেছি।
চলচ্চিত্রে পা রাখার আগেই ব্যক্তিগত কারণে বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন জাহ্নবী কাপুর। বহুদিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন জাহ্নবী। শুধু তাই নয় এ জুটির একটি চুমুর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তারপর অনেকের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এই নায়িকার।
সময়ের সঙ্গে আড়ালে পড়ে যায় শিখরের নাম। দীর্ঘ বিরতির পর ২০২২ সালের অক্টোবরের দিকে একসঙ্গে দেখা যায় জাহ্নবী-শিখরকে। এরপর এ জুটির পুরোনো প্রেম চর্চায় পরিণত হয়। তারপর একাধিকবার এ জুটিকে একসঙ্গে দেখা যায়। সর্বশেষ মুকেশ আম্বানির পুত্রের প্রাক-বিয়ের অনুষ্ঠানেও একসঙ্গে দেখা যায় জাহ্নবী-শিখরকে।
‘ধড়ক’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন জাহ্নবী। এরপর ‘রুহি’, ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’, ‘ঘোস্ট স্টোরিজ’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘বাওয়াল’। গত বছর মুক্তি পায় এটি। বর্তমানে জাহ্নবীর হাতে বেশ কটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে— ‘দেবারা’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’, ‘উলাজ’।
রাজকুমার মুক্তির আগে নতুন সমালোচনায় শাকিব খান
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খান। দীর্ঘ অভিনয়ের ক্যারিয়ারে নিজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন টালিউডেও। শ্রাবন্তী থেকে শুরু করে শুভশ্রীসহ বহু নায়িকার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে বলা যায়, পশ্চিমবঙ্গেও পরিচিত এক নাম শাকিব।
ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় কাজ করেছেন শাকিব। ব্যবসা সফলও সিনেমাও রয়েছে তার। আর সেই নায়কই কি না, অভিনয় পারেন না? হঠাৎ শাকিবকে নিয়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন টালি ইন্ডাস্ট্রির প্রযোজক রানা সরকার।
বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রানা বলেন, শাকিব জনপ্রিয় হলেও টালিউডে তার সিনেমার দর্শকপ্রিয়তা নেই। একজন সুপারস্টারের সিনেমা যেমন চলা উচিত, যেমন দেব, জিৎ, সোহম— সে রকম চলে না। শাকিব হয়তো খুব জনপ্রিয়, কিন্তু অভিনয়ে অন্য যারা নাম করছেন, তাদের তুলনায় অভিনয়ে খুব একটা ভালো নয়।
বাংলাদেশ-ভারতের বেশ কিছু যৌথ প্রযোজনায় সিনেমায় শাকিবকে দেখা গেলেও টালিউডের হলগুলোতে এই নায়কের সিনেমায় আগ্রহী নয় বলে জানান রানা।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শাকিবের সিনেমা হলে তো চলেই না। বাংলার কোনো স্যাটেলাইট চ্যানেলেও সেই দামটা দেয় না তাকে, যে দামটা দেব, জিতের মতো নায়কদের আছে।
প্রযোজকের ভাষ্য, শাকিব হয়তো সুপারস্টার ঠিকই, কিন্তু অভিনয়ের দিকেও তার নজর দেওয়া দরকার। তিনি যদি অভিনয়ের দিকে আরও মনোযোগ দিতেন, তাহলে ভালো হতো!
প্রসঙ্গত, টালিউডের নায়কদের নিয়েও প্রায় সময় সমালোচনা করেন রানা। প্রশ্ন তোলেন তাদের অভিনয় পারা না-পারা এবং বিভিন্ন দুর্বলতা নিয়ে। এবার শাকিবের অভিনয়-দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন এই প্রযোজক।
‘সৃজিতের স্ত্রী’ পরিচয়টা আমার জন্য দুর্ভাগ্যের
ওপার বাংলার দর্শকনন্দিত পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এরপর দুই বাংলাতেই সমানতালে কাজ করে চলেছেন তিনি। তাদের বিয়ে নিয়ে সমালোচনার কমতি ছিল না। তবে সেই সমালোচনাকে পাশ কাটিয়েই দিব্যি ভালো আছেন এই দম্পতি। সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৃজিতের সঙ্গে সংসার জীবনের অদ্ভুত এক বিড়ম্বনার কথা জানিয়েছেন এই তারকা।
যেখানে মিথিলা বলেছেন, সৃজিতকে কেউ তার বিবাহিত জীবনের বিষয়ে প্রশ্ন করে না। কিন্তু আমায় করে। এই এক জিনিস ‘মায়া’ সিনেমার প্রমোশনের সময়ও হয়েছিল। বাংলাদেশেও সবাই সৃজিতকে ভারতের পরিচালক হিসেবে চেনে। আর আমি তার স্ত্রী। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। আমি আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ করি, পিএইচডি করছি, অভিনেত্রীও। সেগুলো যথেষ্ট নয় আমার পরিচয়ের জন্য? আমায় কেন কারও স্ত্রীর পরিচয়ে পরিচিত হতে হবে?
মিথিলা আরও বলেন, সৃজিত আমাকে চমক দিতে কখনই ভুলে যায় না। আমি উলুপির কথা জানতাম। এখানে এসে দেখলাম, তার তিনটে বড় পাইথন আছে। সত্যি বলতে গেলে আমি কোনোদিন সাপের ভক্ত না। তাই আমি জানি না, যে গোটা বিষয়টায় আমি ঠিক কী অনুভব করব। কিন্তু আমি সৃজিতকে বাধা দিইনি।
সৃজিতের সঙ্গে কি ঝামেলা চলছে মিথিলার এমন প্রশ্নের জবাবে মিথিলা বলেন, এসব একদমই ভুল কথা। আমি এবং আমার মেয়ে ঢাকায় থাকি। কারণ সেখানে থেকে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। আমাদের পরিবারও ঢাকাতে। আর কলকাতায় আসলে অনেক সময়ই সৃজিত বাইরে থাকে। তাই বলে আমাদের মাঝে কোনো ঝামেলা নেই।
প্রসঙ্গত, ‘দশম অবতার’র পর ‘অতিউত্তম’ ছবির মাধ্যমেই আবার সিলভার স্ক্রিনে ফিরেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। মহানায়ক উত্তম কুমারকে দীর্ঘ ৪২ বছর পর আবারও পর্দায় ফিরিয়ে এনেছেন। তাতেও বেশ বাহবা পাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে ঈদে আসছে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ও মিথিলা অভিনীত ‘কাজলরেখা’।
লুবাবার পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিশুশিল্পী দিশার মা
শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবা গান, মডেলিং ও অভিনয় করলেও মাঝেমধ্যেই নানা মন্তব্যের জন্য শিরোনামে উঠে আসেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শিশুশিল্পী দিশা মনিকে টিকটকার দাবি করায় সমালোচনার মুখে পড়েছে লুবাবা।
সাক্ষাৎকারের ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুশিল্পী দিশা মনিকে উদাহরণ দিয়ে সাংবাদিক একটি প্রশ্ন করলে দিশাকে চিনতে পারেন না লুবাবা। পরে সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন করে দিশা মনি কে? একপর্যায়ে টিকটকার দাবি করে চিনতে পারে লুবাবা।
এদিকে সাক্ষাৎকারে লুবাবার এমন মন্তব্য চোখে পড়ে দিশা মনির মা রিমা ইসমাথ ডেইজির। এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন তিনি।
স্ট্যাটাসে দিশা মনির মা রিমা ইসমাথ ডেইজি লেখেন, দিশাকে একটা ইন্টারভিউতে প্রশ্ন করা হয়েছিল লুবাবা ‘কেন্দে দিয়েছি’ যে বল্লো এটা নিয়ে কি বলবা? দিশা বলেছে আমরা ছোটো মানুষ, আমাদের ভুল হতেই পারে এটা নিয়ে এত বড় করে দেখার কিছু নেই। একটা নাটকে দিশাকে ডায়ালগ দিয়েছিল ‘কেন্দে দিয়েছি’ সেখানে দিশা ডায়ালগ দেয়নি। এটা নিয়ে ডিরেক্টর এর সঙ্গে আমার ক্যাচাল। কারণ, দিনশেষে তারা কো-আর্টিস্ট।
লুবাবাকে প্রশ্ন করে দিশার মা ডেইজি লেখেন, দিশার ২০০ এর বেশি নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপন রয়েছে। দিশা ৩ বছর বয়স থেকে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করে। এই মেয়ে ইন্টারভিউতে দিশাকে চেনে না, দিশাকে টিকটকার বলে। আমি জানতে চাই লুবাবার ঝুলিতে কয়টা নাটক, সিনেমা আছে?
তিনি বলেন, দিশার সঙ্গে অনেক আগে থেকে পরিচয়, বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে শুটিংও করেছে। মিটও হয়েছে তাদের। দিশাকে সে ভালো করেই জানে।
পরিবারের শিক্ষার বিষয়ে ডেইজি লেখেন, কাউকে ছোটো করে কেউ ওপরে উঠতে পারে না। পারিবারিক শিক্ষাটা আসল। রানু মন্ডল, কাঁচাবাদাম ওয়ালাও ভাইরাল হয়েছে, কিন্তু ভাইরাল এক জিনিস ও জনপ্রিয়তা এক জিনিস। দিশা সবার ভালোবাসার, তাকে সবাই ভালোবাসে। দিশা বাংলাদেশের এক নাম্বার জনপ্রিয় শিশুশিল্পী যাকে কোটি মানুষ ভালোবাসে।
প্রয়াত মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা আব্দুল কাদেরের নাতনি সিমরিন লুবাবা। মূলত দাদার হাত ধরেই শোবিজে পথচলা শুরু এই খুদে শিল্পীর।
বুবলী-চয়নিকাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পরীমণি
বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে কলকাতায় অবস্থান করছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। সেখানে ‘ফেলুবকশি’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত এই নায়িকা। এর মাঝেই চিত্রনায়িকা বুবলী এবং নির্মাতা চয়নিকাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পরীমণি।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেন পরীমণি। এ সময় তিনি বলেন, সারা জীবন বেয়াদবি করেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চান তিনি। অকারণেই নাকি পরীমণিকে ভুল বোঝে অনেকেই।
পরীমণি বলেন, আসলে বেশির ভাগ মানুষই অকারণে ভুল বোঝে আমাকে। এমন সব উদ্ভট তথ্য বলে যে মাঝে মাঝে আমিই দ্বিধায় পড়ে যাই যে তারা কোন পরীর কথা বলছে?
আমি ব্যক্তিগত নয়, শুধু কাজের জগতের কথাই বলতে পারি। এই যেমন অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে, আমি নাকি শুটিং ফাঁসাই। আবার ব্যক্তিগত জীবনে আমাকে মনে করেন আমার অনেক প্রেমিক, আমার বরও অনেক। ইতোমধ্যে এসব ব্যাপারে আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি আমি। যারা আমাকে নিয়ে এসব ভুল ব্যাখ্যা দেবে, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেব।
তিনি আরও বলেন, আসলে আমি খুব স্পষ্টভাষী। আমি মুখে এক, মনে আরেক কখনোই এমন মানসিকতার মানুষ নই, হতেও চাই না। জীবনে অভিনয় করতে পারব না। আমি মনে করি, আমার জীবনটা সিনেমা নয়, তাই অত ফিল্টারও দিতে চাই না।
শুটিং ফাঁসানো প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা বলেন, আমি শুধু এটুকুই বলব, যেকোনো সিনেমার কাজ হাতে নিলে সেটা দায়িত্ব নিয়ে শেষ করি। তবে হ্যাঁ, দুই একদিন ব্যতিক্রম হতে পারে। এটা দেখে যদি কেউ আমাকে অপেশাদার ভেবে প্রকাশ্যে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করেন তাহলে বিষয়টি সত্যিই কষ্টদায়ক। আমি ঠিক করেছি, আর কখনও নারী নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করব না। করলেও বুঝেশুনে করব। অকারণে বদনাম শুনতে কিংবা বেয়াদব হতে চাই না।
আলাপচারিতার এক পর্যায় চিত্রনায়িকা বুবলী প্রসঙ্গ আসলে পরীমণি বলেন, আমার ছেলের ব্যাপারে বরাবরই আমি সিরিয়াস। পদ্মর ব্যাপারে কিছু করতে গিয়ে আমি কাউকে কপি করি না। আবার নিজের আবেগের বহিঃপ্রকাশ কেউ কপি করলে সেটা মেনেও নিতে পারি না।
এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা আরও বলেন, আমার ইমোশন হঠাৎ করে আসে না। যখন প্রথম মা হতে চলেছি জানতে পারি, তখন সঙ্গে সঙ্গেই আমার ভক্তদের সঙ্গে বিষয়টা শেয়ার করেছি। যখন আমার বেবিবাম্প অনুভব করলাম, সে অনুভূতিও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। হঠাৎ সন্তান জন্মের দুই বছর পর নিজের বেবিবাম্প ভক্তদের দেখানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির হইনি।
পরীমণি বলেন, ছেলের জন্মদিনে নিজের আবেগ নিয়ে যে ভিডিও আমি বানিয়েছি, সেটা বাচ্চার তিন বছর পরে আমার আবেগ কাজ করবে না। আমি বলতে চাচ্ছি—আমার আবেগ হঠাৎ করে আসে না। আর তাৎক্ষণিক যেটা আসে সেটা কারও থেকে কপি হয় না। আমি মনে করি প্রত্যেক মায়েরই মা হওয়ার একটা সুন্দর জার্নি আছে। মানুষ ভেদে অনুভূতিগুলো যেমন আলাদা, তেমনি প্রকাশের ধরনও আলাদা হওয়া উচিত।