জনি ডেপের বাড়িতে ঢুকে গোসল করে মদ খেলেন অনুপ্রবেশকারী!
হলিউড সুপারস্টার জনি ডেপের অনুমতি ছাড়া তার বাড়িতে ঢুকে গোসল করেন এক অনুপ্রবেশকারী। শুধু তাই নয়, এই অভিনেতার হলিউড হিলসের বাড়িতে তার ব্যক্তিগত বারে গিয়ে মদও পান করেন ওই ব্যক্তি।
খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। কয়েকবার আহ্বান করার পরও অনুপ্রবেশকারী ঘর থেকে বেরিয়ে আসেনি। পরে দরজা ভেঙ্গে তাকে বাইরে বের করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আরো একবার অনুপ্রবেশকারী দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন জনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে জনির বাড়িতে ঢুকেছিলো এক গৃহহীন নারী। পরবর্তীতে পুলিশ এবং সেই বাড়ির সিকিউরিটি গার্ডের লোকেরা তাকে বের করতে সমর্থ হয়। তবে এবারের ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না এই অভিনেতা। বর্তমানে তিনি বার্লিনে সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এনএস
মন্তব্য করুন
কেমন ছিল নায়ক মান্নার ভিজিটিং কার্ড
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় প্রয়াত নায়ক মান্না। দুই যুগেরও বেশি সময় বাংলা চলচ্চিত্রে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন মান্না; যা আজও দাগ কেটে আছে সিনেমাপ্রেমীদের মনে। কিন্তু জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় মান্না ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
সম্প্রতি এই চিত্রনায়কের দুটি ভিজিটিং কার্ড প্রকাশ্যে এসেছে। এর মধ্যে একটি কার্ডে দেখা যাচ্ছে, মান্নার পুরো নাম লেখা— এস এম আসলাম তালুকদার মান্না। কার্ডে তার পদবি হিসেবে দেওয়া আছে— মুভি স্টার, প্রডিউসার, ও ডিস্ট্রিবিউটর জেনারেল সেক্রেটারি। ওই সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেন মান্না।
কাকরাইলের ঠিকানাসহ ৯ ডিজিটের একটি মোবাইল নম্বরও দেওয়া আছে মান্নার সেই ভিজিটিং কার্ডে। তবে ধারণা করা হয়, ২০০৮ সালে তিনি মারা যাওয়ার আগের সময়ের ভিজিটিং কার্ড এটি।
ওপর ভিজিটিং কার্ডটি হালকা ধূসর রঙের। খুব সম্ভবত এই কার্ডটি মান্নার ক্যারিয়ারের মাঝামাঝি সময়ের হতে পারে। যে কার্ডে শুধুই তার মান্না নামটি ব্যবহার করেছেন। নামের নিচেই রয়েছে নায়কের পদবি মুভি স্টার এবং ফিল্ম প্রডিউসার। কার্ডের এক পাশে আছে মান্নার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কৃতাঞ্জলী কথাচিত্রের নাম ও ঠিকানা এবং আরেক পাশে তার ফোন নম্বর দেওয়া।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাড়ে তিনশ’র বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মান্না। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তওবা’ হলেও। কিন্তু এই নায়কের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘পাগলী’। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ সিনেমার মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পান মান্না। পরবর্তীতে কাজী হায়াত নির্মিত ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ সিনেমা দিয়ে মান্না হয়ে ওঠেন পরিচালক-প্রযোজকদের নির্ভরযোগ্য নাম।
মান্নার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো— ‘আম্মাজান’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’, ‘লাল বাদশা’, ‘বীর’, ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘লুটতরাজ’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘পিতা মাতার আমানত’সহ ইত্যাদি। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন মান্না।
পরীমণির খোঁচার কড়া জবাব দিলেন বুবলী
চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ)। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রায় ৫ মিনিটের সেই ভিডিওতে ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিতে দেখা গেছে তাকে।
এদিকে বুবলীর সেই ভিডিও প্রকাশের পরেই নিজের ফেসবুকে তাকে খোঁচা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমণি। তবে পুরো স্ট্যাটাসে কোথাও বুবলীর নাম মেনশন না করলেও পরোক্ষভাবেই তাকেই নিশানায় রেখেছেন তিনি। তবে বুবলীও চুপ থাকেননি। পরীমণির সেই খোঁচার কড়া জবাব দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকাও।
পরীমণির দাবি, তাকে ‘কপি’ করেই বানানো হয়েছে বুবলীর প্রকাশিত সেই ভিডিওটি। আর চিত্রনায়িকার এমনটা মনে করার কারণটাও স্পষ্ট। মাসখানেক আগে পরীমণির ছেলে পুণ্যর জন্মদিন উপলক্ষে তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই চিত্রনায়িকা মনে করছেন— তার সেই ভিডিওর ধারণাই কপি করেছেন বুবলী।
বুবলীকে খোঁচা দিয়ে ফেসবুকের স্ট্যাটাসে পরীমণি লেখেন, ‘আপা গো আপা! পুরাটাই কপি মারলেন! কথা, মিউজিক লাইন, ভয়েস টোন ডেলিভারি থেকে সব! কিন্তু আবেগ তো কপি করা যায় না আপা!’
ছেলেকে নিয়ে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টায় ফেসবুকে ভিডিওটি প্রকাশ করেন বুবলী। ঠিক তার এক ঘণ্টা পর রাত তিনটায় স্ট্যাটাসটি দেন পরীমণি। ফলে তিনি কাকে ইঙ্গিত করে পোস্টটি দিয়েছেন সেটা বুঝতে খুব একটা সমস্যা হয়নি ভক্তদেরও।
পরীমণির সেই স্ট্যাটাসের পরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন স্ট্যাটাস দিয়েছেন বুবলীও। তিনি লিখেছেন, পাশের দেশে টলিউড বা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে শেষ কয়েক বছর ধরে মিল থাকছে অধিকাংশ বিয়েতে। যেখানে বিয়ের ড্রেসের কালার, অ্যারেঞ্জমেন্ট, বর-কনের আসা থেকে শুরু করে অনেক প্রেজেন্টেশনেই মিল থাকছে। পৃথিবীতে অনেক সিনেমা আছে যার গল্প অন্য গল্পের সঙ্গে অনেক মিলে যায়। কাছাকাছি মিলে, একদম মিলে, এরকম বহু বহু জিনিস হচ্ছে দুনিয়াতে।
বুবলী আরও লেখেন, তেমনি মা সন্তান নিয়ে পৃথিবীতে অনেক ইমোশনাল ভিডিও এবং অডিও আছে যার ভাষা একই কিন্তু এসবে পৃথিবীর কারো কোনো অসুবিধা নাই শুধু এই সিন্ডিকেট চামোচ গুলোর অবস্থা দেখলে মনে হয় যে এরাই দু-একজন শুধু মা হইসে, আর কেউ মা হয়নি।
তাদের শুধু লেবার পেইন হয়েছিল আর কারো হয়নি, তাদের পারিবারিক যুদ্ধ, সন্তানের স্মৃতি, জীবন সংগ্রাম, কষ্ট, ঘর গোছানো ,খাওয়ানো সব কিছু স্বাভাবিক কিন্তু আর কারও এরকম হয়না। তারাই খাবার খাওয়ার পর প্রেসার আসলে ফ্রেশরুমে দৌড় দিবে কিন্তু আর কেউ যাইতে পারবেনা। তারাই লাল, নীল, হলুদ রং পরবে আর কেউ পরতে পারবে না। তারাই হাসবে, কাঁদবে, ঘুমাবে, আর কেউ পারবেনা। যদি আপনি পারেন তাহলে আপনার আবেগ নাই, বিবেক ও নাই, শুধু কপি আছে।
বাবা মুসলিম, মা হিন্দু— যে ধর্ম অনুসরণ করেন সারা
নবাব পরিবারে জন্ম সারা আলী খানের। তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা সাইফ আলি খানের মেয়ে তিনি। সারার মা অমৃতা সিংও ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তবে তারা দুজন ভিন্ন ধর্মের অনুসারী।
যেহেতু সারার বাবা মুসলিম এবং মা হিন্দু। তাই তিনি কোন ধর্ম অনুসরণ করেন, সে বিষয়ে ভক্তদের আগ্রহের কোনো শেষ নেই। বাবা-মা ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হওয়ায় ছোট থেকেই বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে সারাকে। যদিও অভিনেত্রীর নামের টাইটেলে সবসময় ‘আলি খান’ পদবিই ব্যবহার করেন সারা।
মুসলিম পদবি ব্যবহার করলেও মাঝে মধ্যেই মন্দিরে যেতে দেখা যায় সারাকে। তাই তিনি কোন ধর্ম আসলে অনুসরণ করেন, সে নিয়ে ভক্তদের আগ্রহটা একটু বেশিই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ধর্মীয় বিশ্বাস ও পদবি নিয়ে মুখ খুলেছেন সারা।
সারা জানান, অতীতে অভিনেত্রীর ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্নে উঠলে ভীষণ বিরক্ত হতেন তিনি। তবে এখন আর বিষয়গুলো নিয়ে ভাবেন না তিনি। সারা মনে করেন— এগুলো একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। কে কী ভাবছে, কী বলছে তাতে কিছু আসে যায় না তার।
অভিনেত্রী বলেন, আমার ধর্মীয় বিশ্বাস, কী পছন্দ, আমি কীভাবে বিমানবন্দরে যাব, এই সবই আমার একান্ত সিদ্ধান্ত। এজন্য আমি কখনই কাউকে জবাবদিহি করব না। এমনকি কোনো কর্মকাণ্ডের জন্যও কারও কাছে ক্ষমাও চাইব না। আমার ধর্ম নিয়ে অন্য কারও প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই।
তিনি আরও বলেন, আমি একটি ধর্মনিরপেক্ষ, সার্বভৌম এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। আমি কখনও অন্যায় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার প্রয়োজন মনে করি না। কারণ, অযথা কথা বলায় বিশ্বাস করি না আমি। তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস আছে। তাই শুধু আমার সঙ্গে নয়, যদি এমন ঘটনা আমার চারপাশের লোকদের সঙ্গেও হয়, তাহলে তখনও অবস্থান নেব আমি।
বিভিন্ন সময়ই সারার মসজিদ কিংবা মন্দিরে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সমালোচকরা। মন্দিরে গেলে সারার শাস্তি দাবি করেন নেটিজেনদের একাংশ। অন্যদিকে আবার মসজিদে গেলেও ক্ষমা চাইতে বলেন। মূলত এসবের জবাবেই এমন মন্তব্য করেছেন সারা।
বুবলীকে ‘শিক্ষিত ছাগল’ বললেন পরীমণি!
নায়িকা শবনম বুবলীর একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ)। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রায় ৫ মিনিটের সেই ভিডিওতে ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিতে দেখা গেছে তাকে।
এদিকে বুবলীর সেই ভিডিও প্রকাশের পরেই নিজের ফেসবুকে তাকে খোঁচা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমণি। তবে পুরো স্ট্যাটাসে কোথাও বুবলীর নাম মেনশন না করলেও পরোক্ষভাবেই তাকেই নিশানায় রেখেছেন তিনি।
পরীমণির দাবি, তাকে ‘কপি’ করেই বানানো হয়েছে বুবলীর প্রকাশিত সেই ভিডিওটি। বুবলীকে খোঁচা দিয়ে ফেসবুকের স্ট্যাটাসে পরীমণি লেখেন, আপা গো আপা! পুরাটাই কপি মারলেন! কথা, মিউজিক লাইন, ভয়েস টোন ডেলিভারি থেকে সব! কিন্তু আবেগ তো কপি করা যায় না আপা!
বুবলীও চুপ থাকেননি। পরীমণির সেই খোঁচার কড়া জবাব দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকাও। বুবলীও এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, পাশের দেশে টলিউড বা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে শেষ কয়েক বছর ধরে মিল থাকছে অধিকাংশ বিয়েতে। যেখানে বিয়ের ড্রেসের কালার, অ্যারেঞ্জমেন্ট, বর-কনের আসা থেকে শুরু করে অনেক প্রেজেন্টেশনেই মিল থাকছে। পৃথিবীতে অনেক সিনেমা আছে যার গল্প অন্য গল্পের সঙ্গে অনেক মিলে যায়। কাছাকাছি মেলে, একদম মেলে, এরকম বহু বহু জিনিস হচ্ছে দুনিয়াতে।
বুবলীর ওই স্ট্যাটাসের পর ফের খেপেছেন পরীমণি। তিনি বুবলীর স্ট্যাটাসের পেক্ষিতে তার ফেসবুকে লেখেন, হিহিহি একটি শিক্ষিত বকরি (ছাগল) গরুর রচনা! কী লিখতে কী লিখতেছে বেচারি। চিপায় আটকাইলে মানুষ আবল-তাবল লজিক দিতে থাকে বুঝলাম। কিন্তু তাই বলে এই রকম আউলা বাউলা কী কী সব লিখল ভাই!
তিনি লেখেন, পরে কখনও নিজে পড়ে নিজেই বুঝবে না যে কি লিখছিল। আমি শিওর।
বুবলী-পরীমণির এমন সাইবার যুদ্ধের ফলে ইতোমধ্যে দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে দুই নায়িকার ভক্তরা।
পরী-বুবলীর ভার্চুয়াল যুদ্ধে এবার অপুর পদার্পণ
নায়িকা শবনম বুবলীর সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন আজ (২১ মার্চ)। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রায় ৫ মিনিটের সেই ভিডিওতে ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিতে দেখা গেছে তাকে।
এদিকে বুবলীর সেই ভিডিও প্রকাশের পরেই নিজের ফেসবুকে তাকে খোঁচা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমণি। তবে পুরো স্ট্যাটাসে কোথাও বুবলীর নাম মেনশন না করলেও পরোক্ষভাবেই তাকেই নিশানায় রেখেছেন তিনি।
পরীমণির দাবি, তাকে ‘কপি’ করেই বানানো হয়েছে বুবলীর প্রকাশিত সেই ভিডিওটি। বুবলীকে খোঁচা দিয়ে ফেসবুকের স্ট্যাটাসে পরীমণি লেখেন, আপা গো আপা! পুরাটাই কপি মারলেন! কথা, মিউজিক লাইন, ভয়েস টোন ডেলিভারি থেকে সব! কিন্তু আবেগ তো কপি করা যায় না আপা!
বুবলীও চুপ থাকেননি। পরীমণির সেই খোঁচার কড়া জবাব দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকাও। বুবলীও এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, পাশের দেশে টলিউড বা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে শেষ কয়েক বছর ধরে মিল থাকছে অধিকাংশ বিয়েতে। যেখানে বিয়ের ড্রেসের কালার, অ্যারেঞ্জমেন্ট, বর-কনের আসা থেকে শুরু করে অনেক প্রেজেন্টেশনেই মিল থাকছে। পৃথিবীতে অনেক সিনেমা আছে যার গল্প অন্য গল্পের সঙ্গে অনেক মিলে যায়। কাছাকাছি মেলে, একদম মেলে, এরকম বহু বহু জিনিস হচ্ছে দুনিয়াতে।
বুবলীর ওই স্ট্যাটাসের পর ফের খেপেছেন পরীমণি। তিনি বুবলীর স্ট্যাটাসের পেক্ষিতে তার ফেসবুকে লেখেন, হিহিহি একটি শিক্ষিত বকরি (ছাগল) গরুর রচনা! কী লিখতে কী লিখতেছে বেচারি। চিপায় আটকাইলে মানুষ আবল-তাবল লজিক দিতে থাকে বুঝলাম। কিন্তু তাই বলে এই রকম আউলা বাউলা কী কী সব লিখল ভাই!
তিনি লেখেন, পরে কখনও নিজে পড়ে নিজেই বুঝবে না যে কি লিখছিল। আমি শিওর।
বুবলী-পরীমণির এমন সাইবার যুদ্ধের ফলে ইতোমধ্যে দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে দুই নায়িকার ভক্তরা।
পরী-বুবলীর এই ‘সামাজিক লড়াই’য়ে এবার যোগ দিলেন অপু বিশ্বাসও। নীরবতা ভেঙে দিলেন স্ট্যাটাস। নিজের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি ফেসবুকে লেখেন, উফ কি সুন্দর ওয়েদার। বলার ভাষা নেই, আবেগ নেই, মিউজিক নেই, শুধু ছবিটাই আছে।
এই স্ট্যাটাস বুঝতে বাকি নেই কারও। কেউ কেউ বলছেন, বুবলীকে খোঁচা দিলেন অপু! এরকম বহু মন্তব্যই দেখা যাচ্ছে সোশ্যালে। সেইসঙ্গে অপুর পোস্টটি শেয়ার করছেন অনেকেই।
যে কারণে সিনেমা মুক্তির দিন থেকেই প্রেক্ষাগৃহে থাকবে অ্যাম্বুলেন্স
বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। এই প্রতিষ্ঠানটি শুরুর পর থেকেই একের পর এক দর্শকদের উপহার দিয়েছেন সুপারহিট সিনেমা। এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের হাত ধরেই বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন মাহি, পূজা চেরী, সাইমন, বাপ্পী, রোশানের মতো নায়ক-নায়িকারা। সিনেমার প্রচারণায় অভিনব কৌশল অবলম্বন করা এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন কিছু নয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই গেল বছর মুক্তি পেয়েছিল ‘জ্বীন’ সিনেমা। এই সিনেমা মুক্তির আগে, প্রচারণার অংশ হিসেবে লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। গেল বছর যা ছিল আলোচনায়ও।
সম্প্রতি ভৌতিক গল্পের সিনেমা ‘মোনা: জ্বীন-২’র বেলাও একই ঘোষণা দিয়েছে জাজ। তবে এবার শুধু পুরস্কার ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই তারা। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবদুল আজিজ জানান, সিনেমাটি দেখতে গিয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জন্য থাকছে ফ্রি চিকিৎসা ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) জাজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আপনার ইতোমধ্যে জানেন সুরাইয়া তাবাসসুম শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (ইফতারের পর) একা ‘মোনা: জ্বীন-২’ সিনেমাটি দেখবে। সে সময় তার জন্য থাকবে একজন ডাক্তার।
শুধু সুরাইয়া তাবাসসুমের জন্যই নয়, এই সিনেমা দেখতে আসা দর্শকদের জন্যও থাকছে একই সুযোগ। সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত মেডিকেল চেইন সেডোনা’র সঙ্গে চুক্তি করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।
জাজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের চুক্তিটি বিশ্বব্যাপী করা। কারণ, ‘মোনা: জ্বীন-২’ বিশ্বব্যাপী মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।
এদিকে আবদুল আজিজ আরও বলেন, যারা দুর্বল মনের মানুষ, তারা ২/৩ দিন ছবিটা দেখতে হলে যাবেন না। ছবির রিভিউ বের হলে তখন সিনেমাটি দেখতে হলে যাবেন। আর প্রতিটি সিনেমা হলের পাশে অ্যাম্বুলেন্স রাখা হবে, যারা মোনা: জ্বীন-২ দেখে ভয়ে কাতর হয়ে জ্ঞান হারিয়ে যাবেন তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।
ছবিটির গল্প নিয়ে তিনি বলেন, মোনা: জ্বীন-২ একজন জিনের প্রতিশোধের গল্প। সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে মোনার চিত্রনাট্য। জামালপুরে এক বাড়িতে জিনের উৎপাত। ফলে বাড়ির মালিক নিজ বাড়ি ছেড়ে মাদরাসাকে ভাড়া দেন। কিন্তু মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষক জিনের উৎপাতে সেই বাড়ি ছেড়ে দেয়। জিন কেন উৎপাত করছে? সে কী চায়? সে কি কারও ক্ষতি করছে? এসব প্রশ্ন সামনে রেখে এগিয়েছে মোনার গল্প।
‘মোনা: জ্বীন-২’র নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুপ্রভাত। আরও আছেন তারিক আনাম খান, আহমেদ রুবেল, দীপা খন্দকার, সামিনা বাশার, আরিয়ানা, সাজ্জাদ হোসেন, শেহজাদ ওমর, রেবেকা, মাহমুদুল হাসান মিঠু, শামীমসহ অনেকে। পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান রোমান।
যে কারণে ছেলেকে নিয়ে শাকিবের বাসায় বুবলী
শবনম বুবলী ও শাকিব খানের ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন ছিল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ)। আর জন্মদিনের দিন চিত্রনায়কের গুলশানের বাসায় দেখা গেল বুবলী এবং বীরকে। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে নিজের বাসায় দোয়া মাহফিল ও কোরআন খানির আয়োজন করেছিলেন শাকিব।
এদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে কয়েকটি ছবি শেয়ার করে পোস্ট দেন বুবলী। চিত্রনায়িকার পোস্ট করা ছবিতেই সেসব দেখা যায়। শুধু তাই না, দাদির (শাকিব খানের মা) সঙ্গে কেক কাটেন বীর। এসময় পাশে ছিলেন বুবলীও। হয়তো শাকিবও ছিলেন সেখানে। কিন্তু বুবলীর ফ্রেমে ধরা দেননি তিনি।
ছেলের জন্মদিনের আয়োজনের ছবি শেয়ার করে বুবলী লিখেছেন, আজকের বাপজানের জন্মদিনের ব্যস্ততায় সবচেয়ে মিষ্টি কিছু মুহূর্ত। আমি আপনাদের সবার কাছে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ— যেভাবে আপনারা শেহ্জাদকে ভালোবাসা দিয়ে আজকে সারাক্ষণ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন! অসংখ্য ধন্যবাদ! এভাবেই শেহজাদ বাবাকে সবসময় আপনাদের দোয়ায় রাখবেন।
পোস্টটি করার সঙ্গে সঙ্গেই ৪০ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের। রীতিমতো মন্তব্যের ঝড় উঠেছে বুবলীর কমেন্টসবক্সে। অনেকেই এই ছবির নিচে বীরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি শুভ কামনা জানিয়েছেন বুবলীকেও।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বুবলীর দুটি সিনেমা। একটি ‘দেওয়ালের দেশ’এবং অপরটি ‘মায়া’। অন্যদিকে ঈদে মুক্তি পাবে শাকিবের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘রাজকুমার’।