দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করতে শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলো আরটিভি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। প্রতিযোগীতা শেষে ৪ ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বললেন, শিশুদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। অটিষ্টিক শিশু কিশোরদের জন্য বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নানা সুযোগ তৈরী করেছে।
আরটিভির চেয়ারম্যান আলহাজ মোরশেদ আলম বললেন, সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করতে আরটিভির এমন প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান। আগত অতিথীরা শিশুদের ছবি আঁকার প্রতিভায় মুগ্ধ হন।
এনএস
মন্তব্য করুন
রঙিন থেকে সাদাকালো, আহা জীবন!
রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ছয়তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। এর মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে এবং পরিবারের কাছে ৩৮টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নাড়া দিয়েছে দেশবাসীকে। এ ঘটনায় শোকে কাতর শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও। ঢালিউড থেকে টিভি ইন্ডাস্ট্রির তারকারা সবাই শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডে আহত-নিহতদের প্রতি সমবেদনা। মহান আল্লাহ সবার পরিবারকে এই শোক সইবার শক্তি দিন।
শোকস্তব্ধ অভিনেত্রী রুনা খান। কিছু বলার ভাষা নেই তার। শুধু লিখেছেন, গভীর শোক।
আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লেখেন, ঢাকার বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা।
চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক লিখেছেন, ৪৬ জন মানুষের মৃত্যু আপনার কাছে খুব অল্প মনে হচ্ছে??? একবার ভাবুন তো এই ৪৬ জনের সঙ্গে কতশত হাজার জনের সখ্যতা,ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল! ভাবুন, আসুন সাবধান হই,বিবেকবান হই,সৎ হই,মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি! মহান আল্লাহ সবাই কে হেফাজত করুন।
জনপ্রিয় অভিনেতা দেবাশীষ বিশ্বাস বেইলি রোডের দুটো তছবি দিয়ে ক্যাপশনে লেখেন, রঙিন থেকে সাদাকালো! আহা জীবন!
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ বেইলি রোডের আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবনের আগে ও পরের ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লেখেন, ‘বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আশা করি এই ঘটনা থেকে আমরা কিছু শিখতে পারব।’
জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী লেখেন, ‘বেইলি রোড’। শেষে দুঃখিত ও প্রার্থনার ইমোজি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডে ছয়তলা ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে এবং রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনাস্থলকে ‘ক্রাইম সিন’ ঘোষণা দিয়ে ভবনটির সামনে হলুদ ফিতা আটকে দেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
ভবনটিতে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ছাড়াও, স্যামসাংয়ের শোরুম, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, ইলিন, খানাস ও পিৎজা ইন আছে বলে জানা গেছে।
‘ক্ষণিকের আহাজারি শেষে আমরা মেতে উঠব খেলা কিংবা বাদশাহর কনসার্টে’
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। এরমধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে এবং পরিবারের কাছে ৩৮টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় শোকে কাতর শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও। বিষয়টি নাড়া দিয়েছে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জাহারা মিতুকে, সামাজিকমাধ্যমে এ নিয়ে তিনি লিখেছেন প্রয়োজনীয় কিছু কথা।
শুক্রবার (১ মার্চ) নিজের ফেসবুকে মিতু লিখেছেন, নিমতলী থেকে বেইলি রোড, বঙ্গবাজার থেকে নিউমার্কেট। একের পর এক ঘটে যাবে এমন ঘটনা। ক্ষণিক সময়ের আহাজারি শেষে আমরা মেতে উঠব বিপিএল-এর ফাইনাল কিংবা বাদশাহর কনসার্টের মতো কোনো ইভেন্টের আনন্দে। অথচ ভুলে যাব কাল হয়তো আমরাও হতে পারি কোনো লেলিহান শিখার গ্রাস।
তিনি আরও লেখেন, সময় এসেছে অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে পূর্বপ্রস্তুতি রাখার। ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজন উন্নয়ন। প্রত্যেকটি দালানের মালিকদেরও প্রয়োজন সচেতন হওয়া। এসব শুধু বলেই যাব কিংবা লিখে। তবে কাজের কাজ আসলে হবে না কিছুই।
কারওয়ান বাজারে মাছ কেটে সংসার চালান অভিনেত্রী তটিনী!
রাজধানী কারওয়ান, জীবিকার তাগিদে অনেকেই মাছ কাটার কাজ করেন এখানে। সাধারণত ভোরবেলা এখানে মাছের বাজার বসে। প্রতিদিনই একটি মেয়ে ভোরবেলা মাছ কাটেন। বিনিময়ে কিছু টাকা পান। আর তা দিয়েই যান্ত্রিক এ শহরে সংসার চলে।
ঠিক এমননি একটি গল্প নিয়ে নির্মাণ হয়েছে ‘রঙিন আশা’ নাটক। নাটকে মাছ কাটার কাজ করা মেয়েটির চরিত্রে অভিনয় করেছেন তটিনী। কাজটি করতে গিয়ে দারুণ সব অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। বলেন, তিন দিন ভোরে আড়তে প্রায় দুই ঘণ্টা করে শুটিং করেছি। প্রতিদিনই ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠে কারওয়ান বাজারে যেতে হতো। বাজারের মধ্যে উৎসুক শত শত মানুষের ভিড়ের মধ্যে শুটিং চালিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল। শুটিং দেখার জন্য সাধারণ মানুষের কৌতূহল বেশি। তাতে আবার লোকেশন কারওয়ান বাজারের মাছের আড়ত। বুঝতেই পারছেন, কী ধরনের ঝামেলা গেছে।
তটিনী আরও বলেন, দৃশ্যগুলোতে সত্যি সত্যি মাছ কেটেছি। আমার তো এ ধরনের কাজে অভিজ্ঞতা ছিল না। বাসায় মাছ কেটেছি কয়েক দিন। একদিন শুটিং করতে গিয়ে বিপদেও পড়েছিলাম। বাসায় ইলিশ মাছ কেটে প্র্যাকটিস করে গিয়ে শুটিংয়ের সময় আমাকে পাঁচ কেজি ওজনের মাছ কাটতে দিয়েছিল। হা হা হা...।
মাছ কাটা মেয়ের চরিত্রটিকে বাস্তবে তুলে আনতে সত্যিকারের কারওয়ান বাজারের মাছের আড়তকেই বেছে নিয়েছেন পরিচালক রাফাত মজুমদার। তবে কাজটি সহজ ছিল না তার কাছে। পরিচালক বলেন, যখন মাছের বাজার বসে, সেই ভোরবেলাকেই আমরা শুটিংয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলাম। সত্যিকারের শত শত ক্রেতা–বিক্রেতার ভিড়ের মধ্যেই শুটিং করেছি। একটি সত্যিকারের মাছ কাটার দোকান ভাড়া করেছিলাম। ওই দোকানে বসেই তটিনী মাছ কাটার কাজ করে শুটিং করেছেন। আগে থেকে না জানতে পারলে তটিনীকে চেনা, জানার উপায় ছিল না। মনে হচ্ছিল সত্যিকারেরই মাছ কাটার কাজ করে মেয়েটি। মৎস্য আড়তের মধ্যে এত মানুষের ভিড় সামলে সঠিকভাবে কাজটি করতে অনেক কষ্ট হয়েছে।
নাটকের গল্পে তটিনীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার। দুজন স্বামী–স্ত্রী। চরিত্রে খায়রুল বাশার কারওয়ান বাজারে ভ্যান চালান।
পরিচালক জানিয়েছেন আগামী মাসের শুরুর দিকে একটি ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি প্রচারিত হবে। নাটকটির লিখেছেন অপূর্ণ রুবেল।
ফিট হতে না পারায় ফিরে গেলেন শাবনূর, অনিশ্চয়তায় তিন সিনেমা
দীর্ঘদিন ধরেই রুপালি পর্দায় নেই চিত্রনায়িকা শাবনূর। বর্তমানে একমাত্র ছেলে আইজানকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করছেন তিনি। তবে আজও তাকে পর্দায় দেখতে মুখিয়ে আছেন নায়িকার ভক্তরা। অবশেষে ভক্তদের অপেক্ষার পালা শেষ হলো। এবার দেশে এসে নতুন খবর দিলেন শাবনূর।
তিনটি নতুন সিনেমায় অভিনয় করার খবর দিয়ে নতুন করে ভক্তদের মাঝে উন্মাদনা ছড়িয়ে দিলেন শাবনূর। চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে— ‘মাতাল হাওয়া’, ‘রঙ্গনা’ ও ‘এখনও ভালোবাসি’।
মা হওয়ার পর ফিটনেসে অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে শাবনূরের। বলা যায়, মোটা হয়ে গেছেন তিনি। তাই নির্মাতাদের কাছ থেকে ফিট হতে সময় চেয়ে নেন এই নায়িকা। পুরোপুরি ফিট হওয়ার পরই সিনেমায় অভিনয় করার ঘোষণা দেন শাবনূর। এদিকে ফিট হতে না পারায় ফিরে গেলেন শাবনূর, অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ওই তিন সিনেমা।
এভাবে হুটহাট তিন সিনেমার ঘোষণা শাবনূরের জন্য খুব একটা ইতিবাচক হয়ে আসেনি। সিনমাগুলোতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়েন এই নায়িকা। সিনেমাপ্রেমীদের পাশাপাশি নানান মন্তব্য করেছেন অনেক নির্মাতাও। তাদের ভাষ্য—এভাবে শাবনূরের ফেরা ঠিক হয়নি। মেদ ঝড়িয়ে ফিট হওয়ার পরই ফেরার দরকার ছিল।
তবে দেরিতে হলেও পরিচালকদের ওইসব কথা কানে নিয়েছেন শাবনূর। তিনটি সিনেমার ঘোষণা দিলেও কোনোটিরই শুটিং শুরু করতে পারেননি তিনি। তার আগেই অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যেতে হয়েছে তাকে।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১৫ কেজি ওজন কমাতে পারলেই চলচ্চিত্রগুলোর চরিত্রের উপযোগী হয়ে উঠবেন শাবনূর। তাই ফিট হতেই অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেছেন তিনি। কিন্তু এবার চলে যাওয়ার পর কবে নাগাদ ফিরবেন সেটা এখনও অজানা।
শাবনূরের ঘনিষ্ঠ একজন গণমাধ্যমকে বলেন, নিজেকে ফিট করতেই অস্ট্রেলিয়া ফিরে গেছেন শাবনূর। ওজন কমিয়ে ফিট হয়ে দেশে ফিরেই তারপর শুটিং শুরু করবেন তিনি।
গেল বছরের শেষ দিকে শোনা গিয়েছিল, মার্চে ‘মাতাল হাওয়া’ সিনেমার শুটিং শুরু করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন এর নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। আর এপ্রিলে ‘রঙ্গনা’ সিনেমার শুটিং করবেন, এমনটাই জানিয়েছিলেন আরাফাত হোসাইন।
তবে বর্তমানে এ দুই চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, শাবনূরের ফিট হয়ে না ফেরা পর্যন্ত কোনোভাবেই বলা সম্ভব নয়, কবে শুটিং শুরু হতে পারে। সবকিছু মিলিয়ে শাবনূরের নতুন তিনটি সিনেমা নিয়ে ভালোই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
শিল্পী সমিতি থেকে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করেছে সংগঠনটির বর্তমান কমিটি। শনিবার (২ মার্চ) অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজনে দ্বি-সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঢাকার অদূরে আশুলিয়া প্রিয়াঙ্কা শুটিং হাউজে শিল্পী সমিতির এই বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এই তথ্যটি নিশ্চিত করেন চলচ্চিত্র পরিষদ নেতা খোরশেদ আলম খসরু। শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে এবার প্রধান নির্বচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে খসরু জানান, বনভোজনের শুরুতে শিল্পী সমিতির দ্বি-সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনে ৯ নং একটি বার্তায় জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওই ঘোষণাপত্রে জানানো হয়— কোনোরূপ সাংগঠনিক দূর্বলতা না পেয়ে জনাব জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশে ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনী সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় ০২/০৪/২০২৩ তারিখে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনাব জায়েদ খানের এর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
সভায় চিত্রনায়িকা ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেন, আমরা অনেক জটিল কাজের সমাধানের চেষ্টা করেছি এবং সফলতাও পেয়েছি। কাজ করতে করতে গিয়ে ভুল-ক্রটি হয়ে থাকে। সেগুলো উপেক্ষা করে সামনের দিনগুলোতে আরও কাজ করতে চাই। পাশাপাশি গেল বছর এপ্রিলে জায়েদের সদস্যপদ বাতিল করা হয় বলে তিনিও অবগত করেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দুটি প্যানেলে দুটি প্যানেল দাঁড় হতে পারে। একটি হলো মিশা-ডিপজল প্যানেল এবং অন্যটি অমিত হাসান-নিপুণ প্যানেল। আগামী ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন।
শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিল করায় যা বললেন জায়েদ খান
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করেছে সমিতির বর্তমান কমিটি।
শনিবার (২ মার্চ) অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজনে দ্বি-সাধারণ সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
যদিও গত বছরই নাকি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্পী সমিতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র পরিষদ নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তিনি শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে প্রধান নির্বচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন।
খসরু জানান, আজকের বনভোজনের শুরুতে শিল্পী সমিতির দ্বি-সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনে ৯ নং একটি বার্তায় জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, কোনরূপ সাংগঠনিক দূর্বলতা না পেয়ে জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশ ধারাবাহিক ভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনী সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় গত ০২/০৪/২০২৩ তারিখে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জায়েদ খানের এর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে জায়েদ খানের বলেন, আমার কাছে এখনও এ বিষয়ে কোনো চিঠি আসেনি। আগে চিঠি হাতে পাই তারপর বলতে পারব, কেন তারা এমনটা করেছে।
জায়েদ খান আরও বলেন,আমি একজন ব্যক্তির আক্রোশের শিকার। শিল্পী সমিতিতে সে নিজের মতো করে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। আমার সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্তের আগে অন্তত আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সেটাও করেনি। কিছু জানানোও হয়নি। আমি চলচ্চিত্র অঙ্গনের আমার সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
এর আগে চিত্রনায়িকা ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেন, কোনো সাংগঠনিক দুর্বলতা না পেয়ে জনাব জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশ ধারাবাহিক ভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনী সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় গত বছর এপ্রিলের দুই তারিখে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনাব জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
একটি এসএমএসে ভাঙে মাহির সংসার
বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকার। দ্বিতীয় বিয়ের পর স্বামী ও একমাত্র ছেলে ফারিশকে নিয়ে বেশ ভালোই যাচ্ছিল তার দিন। কিন্তু সেই সংসারেও বেজে ওঠে ভাঙনের সুর। হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে বসেন মাহি। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন মাহির স্বামী রাকিব সরকার।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকিব জানিয়েছেন, ‘গত বছরের জুন মাস থেকে আমরা আলাদা থাকছি। আমি ও মাহি উত্তরায় আলাদা বাসায় থাকতাম। একটি এসএমএসকে কেন্দ্র করেই আমাদের দুজনের দুরত্ব বাড়ে। এরপর আলাদা থাকতে শুরু করে মাহি।
তিনি বলেন, ‘আমার মোবাইলে আসা আমারই পরিবারেরই একজনের একটি এসএমএসকে কেন্দ্র করে মাহির মন খারাপ হয়। এরপর সে আমার বাসা থেকে তার মায়ের বাসায় চলে যায়।’
রাকিব সরকার বলেন, ‘মাহি বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাকে একাধিকবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। একটা পর্যায়ে আমি নিজেই মাহির সঙ্গে তার মায়ের বাসায় উঠি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের সদস্যরা মিলেও বোঝাতে পারিনি। একসময় একটু বুঝেছে, আবার আরেক সময় উল্টে গেছে। এভাবেই আলাদা থাকার দিনগুলো চলে আসছি। যেটি বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়াচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাহির পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত এসেছে, তা এখন ৯৯ ভাগই বিচ্ছেদের পথে। এক ভাগ নিয়েও আমি আশাবাদী। চেষ্টা করে যাচ্ছি সংসারটা টিকিয়ে রাখতে। কারণ আমি মাহিকে বিয়ে করি পরিবারের অমতে। বিভিন্ন বাধা থাকা সত্ত্বেও তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি।’
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান তিনি। পরে ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি।