• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মা-বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত মিজু আহমেদ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৮ মার্চ ২০১৭, ২০:৫২

কুষ্টিয়ায় মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা চলচ্চিত্রের শক্তিমান খলনায়ক ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা মিজু আহমেদ। মঙ্গলবার বাদ মাগরিব দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে কুষ্টিয়া পৌর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে মিজানুর রহমান ওরফে মিজু আহমেদ’র দাফন সম্পন্ন হয়।

এসময় তার আত্মীয়-স্বজন, নিকটজন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের মানুষ ছিলেন। জানাজার আগে মিজু আহমেদ’র ছেলে আশরাফুল আহমেদ উপস্থিত সবার কাছে বাবার জন্য দোয়া ও মাফ চান।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা থেকে মিজু আহমেদ’র লাশ কুষ্টিয়া শহরের কোর্ট পাড়ায় তার নিজ বাসভবনে এসে পৌঁছায়। এসময় আত্মীয়-স্বজন ও তার নিকটজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। শক্তিমান এ অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে কুষ্টিয়াজুড়ে।

‘মানুষ কেনো অমানুষ’ নামে ছবির শুটিং করতে সোমবার সন্ধ্যায় ট্রেনে দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে যাবার পথে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনের কাছে তার হার্ট অ্যাটাক হয়। রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়ার পর রাত পৌনে ৮টায় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ৪ দশকের তার প্রিয় এফডিসি প্রাঙ্গণে জানাজা হয়।

মিজু আহমেদ ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্ম নেন। তার আসল নাম মিজানুর রহমান। ১৯৭৮ সালে 'তৃষ্ণা' ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন তিনি। অল্প সময়েই দাপুটে খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হলো তৃষ্ণা (১৯৭৮), মহানগর (১৯৮১), স্যারেন্ডার (১৯৮৭), চাকর (১৯৯২), সোলেমান ডাঙ্গা (১৯৯২), ত্যাগ (১৯৯৩), বশিরা (১৯৯৬), আজকের সন্ত্রাসী (১৯৯৬), হাঙ্গর নদীর গ্রেনেড (১৯৯৭), কুলি (১৯৯৭), লাঠি (১৯৯৯), লাল বাদশা (১৯৯৯), গুন্ডা নাম্বার ওয়ান (২০০০), ঝড় (২০০০), কষ্ট (২০০০), ওদের ধর (২০০২), ইতিহাস (২০০২), ভাইয়া (২০০২), হিংসা প্রতিহিংসা (২০০৩), বিগ বস (২০০৩), আজকের সমাজ (২০০৪), মহিলা হোস্টেল (২০০৪), ভন্ড ওঝা (২০০৬)।

তৃষ্ণা সিনেমায় অভিনয় করে তিনি ১৯৯২ সালে সেরা অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

এপি/ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh