• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

টাকার অভাবে বাড়ি ফিরতে পারছেন না এফডিসির মুড়ি বিক্রেতা মোল্লা

বিনোদন ডেস্ক

  ০৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:০৫

রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, মান্না, শাবনূর বা সালমান শাহ থেকে এ সময়ের শাকিব খান, জায়েদ খান সবারই প্রিয় মোল্লার ঝাল মুড়ি। ১৯৭২ সাল থেকে এফডিসিতে এ কাজ করে আসছেন তিনি। সেখানকার মসজিদের খাদেম হিসেবেও কাজ করছেন তখন থেকেই। মাঝে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অর্ধেক শরীর অবশ হয়ে গেছে। এক হাতেই বানাচ্ছেন মুড়ি। এখন অনেকটা অসহায়ের মতোই কাটছে তার জীবন। সামান্য সহযোগিতা পেলেই নিজের বাড়িতে চলে যেতে চান আবদুল মান্নান মোল্লা।

আব্দুল মান্নান মোল্লা বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এফডিসিতে কাজ করছি। শুরুটা ছিল পরিচালক মহসিন স্যারের বাসায় ১০ টাকা বেতনের চাকুরি দিয়ে। তারপর এফডিসি এসে মসজিদে খাদেম হিসেবে কাজ শুরু করি। তার পাশাপাশি মুড়ি বিক্রি করছি। আগে বিক্রি ভালো ছিল। প্রতিদিন চার কেজি মুড়ি বিক্রি হতো। এখন সিনেমার কাজ কম থাকায় এক কেজিও বিক্রি হয় না। বিক্রি কমে যাওয়ায় খুবই কষ্টে চলতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, নায়ক রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, মান্না, সালমান শাহ, শাবনূর তারা সবাই আমার মুড়ি খেতেন। মান্না মারা যাওয়ার কারণে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। মান্না আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। মান্না মারা যাওয়ার পর কেউ সহযোগিতা করেনি। করোনার মধ্যে শাকিব খান ৫০০ টাকা, মৌসুমী আপা ১৫০০ টাকা, চম্পা আপা ১৫০০ টাকা, জায়েদ খান ২ হাজার টাকা, আনোয়ারা ১০০০ হাজার টাকা দিয়েছেন। শিল্পীদের কাছে গেলে সহযোগিতা পাই কিন্তু যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। এক পা অচল হয়ে গেছে। এ দিয়ে সংসার চলে না।

কান্না জর্জারিত কন্ঠে আব্দুল মান্নান বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা। এক ছেলে তিন মেয়ে তারাও খুব কষ্টে আছে। যা উপার্জন করি তা নিয়ে বাড়ি গিয়ে কী করব? প্রতিমাসে নিজের জন্য ১২০০ টাকার ঔষধ লাগে। সেই উপার্জন তো আমার নেই। এফডিসি কতৃপক্ষ জানিয়েছেন আর এফডিসিতে থাকা যাবে না। জেমি ও খোকন সাহেবকে দিয়ে দরখাস্ত করেছি তারা থাকতে বলছে। সবাই মিলে যদি আমাকে সহযোগিতা করে লাখ খানেক টাকা দেয় তাহলে আমি একেবারে বাড়ি চলে যেতাম।

এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এফডিসিতে শাবনূর, ভোট চাইতে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন প্রার্থীরা
চলছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন : এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
রাত পোহালেই শিল্পী সমিতির নির্বাচন, আমেজ নেই এফডিসিতে
নির্বাচনের আগেই উত্তপ্ত এফডিসি
X
Fresh