• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মেয়ে নেই মামলা দিয়ে কী হবে?

শানে আলম সজল, চট্টগ্রাম

  ২৩ মার্চ ২০১৭, ১৫:৪২
জ্যাকুলিন মিথিলা

দেশীয় সিনেমার নবাগত আইটেমগার্ল জ্যাকুলিন মিথিলার (জয়া শীল) আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ১ মাস ১৮ দিন পর তুলে নিতে আদালতে আবেদন করেছে তার পরিবার।

কেউ মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাধ্য কিংবা টাকা দিয়ে সমঝোতা করেছেন কিনা জানতে চাইলে মিথিলার বাবা স্বপন শীল আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মেয়ে তো চলে গেছে। মামলা করে কি লাভ। মেয়ে তো আসবে না।’

গেলো মঙ্গলবার চট্টগ্রামের একটি আদালতে মামলাটি বাতিল করতে আবেদন করেন বাদী স্বপন শীল।

আরটিভি অনলাইনকে তিনি জানান, মামলার অগ্রগতি না থাকায় এবং শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যাবার জন্য তিনি মামলাটি তুলে নিচ্ছেন।

স্বপন শীল বলেন, আসামিদের এতদিন পুলিশ ধরতে পারেনি। গরীব মানুষ মামলা চালাতে পারবো না। কেউ চাপও দেননি মামলা তুলে নিতে। নিজে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম চীফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেছি ২১ মার্চ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহিন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, জ্যাকুলিন মিথিলাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা করার অভিযোগে স্বামী উৎপল রায়, শাশুড়ি, মামাসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন তার বাবা স্বপন শীল। তাদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দিতে পারেনি বাদিপক্ষ।

মামলার পর থেকে জয়াশীলের পরিবারের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের ধরতে পতেঙ্গা ফটিকছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। আসামিদের সঠিক তথ্য না পাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

গেলো ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বন্দর থানায় বাবার বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন জ্যাকুলিন মিথিলা।

এর আগে স্বপন শীল মামলায় অভিযোগ করেছিলেন, গেলো ২০ জানুয়ারি আমার মেয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বাসায় এসে জানায়, ৩ নভেম্বর তার সঙ্গে ফটিকছড়ির ধুরম গ্রামের উৎপল রায়ের কোর্টম্যারেজ হয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর মেয়ের জামাই উৎপল জয়াকে এড়িয়ে চলছিল। সাত বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে জয়া শীল ঢাকা থেকে আসার ১৪ দিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি আত্মহত্যা করে।

মিথিলার স্বামী দাবি করা যুবক উৎপল রায় বিয়ের সময় হাটহাজারীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় কৃষি বিভাগে চাকরি করছেন উৎপল। বিয়ের পর তিনি হাটহাজারীর বাসা পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় চলে যান। আত্মহত্যার আগে হাটহাজারীতে উৎপলের বাসায় যান মিথিলা। সে সময় পরিবারের কাউকে না পেয়ে তিনি বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন।

গেলো ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে দেয়া স্ট্যাটাসে লেখেন, কালকে আমি আত্মহত্যা করবো। কেউ আমাকে প্রত্যাখ্যান করে নাই। আমিও কাউকে প্রত্যাখ্যান করি নাই। কিন্তু আমি আত্মহত্যা করবো। এছাড়া, ৩১ জানুয়ারি সকাল ৭টা ২৮ মিনিটে লিখেন, ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে পা বাড়াচ্ছি।

এসএস/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh