• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইউটিউবের মাধ্যমেই নাটক-চলচ্চিত্রের প্রচার বাড়বে

আফজাল হোসেন

  ২২ মার্চ ২০১৭, ১২:৪৩

অভিনেতা এবং সংগীতশিল্পী ফজলুর রহমান বাবু। অভিনয় করেছেন অসংখ্য বাংলা নাটক, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, মঞ্চনাটক এবং বিজ্ঞাপনে। এই অভিনেতার সমসাময়িক ব্যস্ততা এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে কিছু কথা তুলে ধরা হলো।

সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ...

ব্যস্ততা মূলত নাটক, সিরিয়াল এবং চলচ্চিত্র নিয়েই। কিছুদিন আগে একটি ছবি শেষ করলাম। ডাবিং বাকি আছে। ২০১৬-২০১৭ জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ৫ টি চলচ্চিত্র করেছি।

অভিনীত চলচ্চিত্র ...

গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’, মিজানুর রহমান লাবুর ‘নুরু মিয়া এবং তার বিউটি ড্রাইভার’, তৌকির আহমেদের ‘হালদা’, নাদের চৌধুরীর ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে?’ এবং বদরুল আনাম সৌদের ‘গহীনে বালুচর’ চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। আর ২০১৬ সালে তৌকির আহমেদের ‘অজ্ঞাতনামা’ নন্দিত চলচ্চিত্র হিসেবে সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়াও একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি যেটি এ বছর কান উৎসবে যাবে।

সিরিয়াল-নাটক ...

সিরিয়ালগুলোর মধ্যে এখন প্রচারিত হচ্ছে ‘অলসপুর, এবং ‘ঝামেলা আনলিমিটেড’। প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে বৃন্দাবন দাসের রচনায় এবং সাইদুর রাসেলের পরিচালনায় ‘অষ্টধাতু’, সাগর জাহানের ‘হাটখোলা’, সঞ্জীব সরকারের ‘মজনু একজন পাগল নহে’ ইত্যাদি। অনেকগুলো এক ঘণ্টার নাটকে বর্তমানে কাজ করছি। আশা করছি নাটকগুলো সবার নিকট একটু অন্যরকম ভালো লাগবে।

সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ ...

মনপুরা চলচ্চিত্রে দুটি গান করেছিলাম। ২০০৮ সালে মিক্স সংগীত অ্যালবাম ‘মনচোর’ এ গান করেছিলাম। এছাড়াও ২০০৯ সালে বের হয় একক সংগীত অ্যালবাম ‘ইন্দুবালা’। সামনে গান নিয়ে কিছু করার পরিকল্পনাও আছে।

মঞ্চে অভিনয়ের শুরু ...

ঢাকায় এসে ‘আরণ্যক’ নাট্যদলে যোগ দেই। উল্লেখযোগ্য নাটক হলো নঙ্কার পালা, পাথার এবং ময়ূর সিংহাসন।

অজ্ঞাতনামা চলচ্চিত্রে সাড়া কেমন পেয়েছেন ...

এই চলচ্চিত্রের জন্য সবার কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। আমার ইমেইল, ফেসবুক, ব্যক্তিগত ইনবক্সে কিংবা ইউটিউব কমেন্টে সবাই খুবই প্রশংসা করছে। অভিনয়জীবনের এত দীর্ঘ পথে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর নেই বললেই চলে। তবে আমি কিছুটা হলেও কষ্ট পেয়েছি যে, এত সুন্দর একটি চলচ্চিত্র হলে বেশিদিন চলেনি। এই না চলার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। এই চলচ্চিত্রের প্রচার ঠিকমতো হয়নি। হলে দর্শক দেখতে পারেনি। ইউটিউবে প্রচুর মানুষ দেখেছে, চলচ্চিত্রটি দেখে কেঁদেছেও! সব মাধ্যমে অনেক লেখালেখি হয়েছে। সবার মুখে মুখে চলচ্চিত্রটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। আসলে এটি বাংলাদেশের মানুষের সুখ-দুঃখের গল্প। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার গল্প। এর মধ্যে লুকিয়ে আছে মানুষের আবেগ স্পর্শকাতরতা। কম বাজেটের ছবি হলেও অসামান্য। গল্প, নির্মাণশৈলী, অভিনয় সব মিলিয়ে অসাধারণ কাজ হয়েছে বলা যায়।

অভিনয়ে বৈচিত্র নিয়ে কিছু বলুন ...

আমি অভিনয় করলে বিশ্বাসযোগ্যভাবে করার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে আমি নিজেকে একজন সৌভাগ্যবান মানুষ মনে করি। কারণ আমি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি।

ভালো লাগা কোনো চরিত্র ...

আসলে যখন যেটা করি সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমার ভালো লাগার মতো অভিনীত অসংখ্য সিনেমা-নাটক আছে। যেমন চলচ্চিত্র বললে অজ্ঞাতনামা, শঙ্খনাদ, মনপুরায় অভিনীত চরিত্র। নাটকের মধ্যে ভয়, ইতিকথা, দানব ইত্যাদির মতো অসংখ্য নাটক রয়েছে। এরকম বলতে গেলে আমার অভিনীত ১০০ এর বেশি ভালো লাগা চরিত্র রয়েছে।

অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো কি বাণিজ্যিক ...

সব কিন্তু বাণিজ্যিক নয়। এগুলো স্বাধীন চলচ্চিত্র। সবাই যে অর্থে বাণিজ্যিক বলে সেই অর্থে এই চলচ্চিত্রগুলোকে বলা যাবে না।

ইউটিউবনির্ভর নাটকের ভবিষ্যৎ ...

আমি কিন্তু এটাকে ভালোভাবেই দেখছি। নতুন নতুন মাধ্যম, প্রযুক্তি যেমন বের হবে তেমনি কাজের ক্ষেত্র বাড়বে। এখন তো টেলিভিশনের সঙ্গে ইউটিউবও একটি চ্যানেল। সব দর্শক তার রুচি এবং সময়মতো সব দেখবে। ভবিষ্যতে ইউটিউবের মাধ্যমেই সব নাটক, চলচ্চিত্রের প্রচার বাড়বে বলে আমার ধারণা ।

আরকে/এএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh