• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

লৌহজংয়ে শেষ হলো মুক্তিযুদ্ধের নাট্যমেলা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৮ মার্চ ২০১৭, ১৯:০৩

স্বাধীনতার মাস মার্চের প্রথম সপ্তাহে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে স্থানীয় কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে সপ্তাহব্যাপি ‘মুক্তিযুদ্ধের নাট্যমেলা’। গেলো ১ থেকে ৭ই মার্চ অনুষ্ঠিতব্য এই নাট্যমেলার পর্দা নামে মঙ্গলবার। সপ্তাহব্যাপি আয়োজনে দেশ বরেণ্য অভিনয়শিল্পীদের পরিবেশনায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক উপভোগ করেছেন লৌহজংয়ের হাজারো মানুষ। নাট্যমেলার চতুর্থ দিন (৪ মার্চ) মেরাজ ফকিরের মা নাটক নিয়ে মেলায় অংশ নেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউটের সাম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার।

রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার মাসে এমন চমৎকার একটি নাট্যমেলার আয়োজন করেছে। এটি প্রশংসার দাবিদার। তৃণমূলের আওয়ামী লীগ নেতারা সারাদেশের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। জঙ্গিবাদ ও সাম্পদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে নিজেদের সংস্কৃতির প্রতি আরো বেশি যুক্ত হতে হবে। এই নাট্যমেলা তরুণদের আরো বেশি শেকড়মুখি করবে। লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের এই আয়োজনটি যেনো ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। এ ধরণের নাট্যমেলার আয়োজন হোক আরো।’

স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি গেলো ১ মার্চ নাট্যমেলা উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় ঢাকার শূন্যন রেপার্টরি নাট্যদলের নাটক ‘লাল জমিন’। পর দিন ২ মার্চ প্রাঙ্গণেমোর মঞ্চস্থ করে ‘কনডেমড সেল’। ৩ মার্চ থিয়েটার আর্ট ইউনিট মঞ্চস্থ করে ‘কোর্ট মার্শাল’। চতুর্থ দিন ‘থিয়েটার নাটক সরণী’ (বেইলী রোড) মঞ্চস্থ করে নাটক ‘মেরাজ ফকিরের মা’। ৫ম দিন শব্দ নাট্যচর্চকেন্দ্র মঞ্চস্থ করে ‘বীরঙ্গনার বয়ান। ৬ষ্ঠ দিন বটতলা মঞ্চস্থ করে ‘ক্রাচের কর্ণেল’।

নাট্যমেলার সমাপনীতে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় আয়োজন করা হয় ‘সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা। প্রধান আলোচক ছিলেন ড. বিপ্লব বালা। আলোচনায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি চৈতালী হালদার চৈতি’সহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। সমাপনী সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের একতা নাট্যগোষ্ঠী মঞ্চস্থ করে হুমায়ুন আহমেদ রচিত ১৯৭১ এবং এস এম সোলায়মান রচিত জনম দুঃখী মা নামের দুটি নাটক। এছাড়া গান পরিবেশন করেন শিশির রহমান।

নাট্যমেলার অন্যতম উদ্যোক্তা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রশীদ শিকদার বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে নিয়েই তো গড়তে হবে আগামীর বাংলাদেশ। তাই তরুণদের জন্যই লৌহজং উপজেলা এই নাট্যমেলা আয়োজন করেছে। উপজেলার সবগুলো স্কুল, কলেজের ছেলেমেয়েরা তাদের বাবা-মা’দের নিয়ে নাট্যমেলায় প্রতি সন্ধ্যায় নাটক দেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে এই নাট্যমেলা ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

নাট্যমেলার সমন্বয়ক পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, পর পর দুই বছর মুক্তিযুদ্ধের নাট্যমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে লৌহজংয়ে। সাধরণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই নাট্যমেলা। বিভিন্ন স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে স্থানীয়রা স্বতস্ফূর্তভাবে নাটক দেখতে এসেছেন। সবার অংশগ্রহণ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা এই নাট্যমেলা প্রতি বছর করতে চাই। এরই মধ্যে নাট্যমেলার অন্যতম উদ্দোক্তা আব্দুল রশীদ শিকদার প্রতি বছর আরো বড় পরিসরে এই নাট্যমেলা আয়োজনের আশ্বাস দিয়েছেন। শিক্ষার্থিদের এই নাট্যমেলার সঙ্গে আরো বেশি যুক্ত করা হবে। ’

আর/এইচএম/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh