• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রিয়ার বাবার ভুয়ো টুইটার অ্যাকাউন্টের চক্করে পড়ল একাধিক গণমাধ্যম

বিনোদন ডেস্ক

  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৫০
Rhea Chakraborty,
ছবিতে রিয়া চক্রবর্তী।

বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলায় মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিনেত্রীকে।

ঘটনার পর ভেঙে পড়েছেন রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিত চক্রবর্তী। তার একাধিক টুইটে কষ্টের কথাই প্রকাশ পেয়েছে।

সেখানে একটি টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, কোনো বাবা তার মেয়ের প্রতি অবিচার সহ্য করতে পারে না। এর থেকে আমার মৃত্যুও ভালো।

আর তাতেই রিয়ার বাবার ভুয়ো টুইটার অ্যাকাউন্টের চক্করে পড়ল একাধিক গণমাধ্যম। একাধিক মূল ধরার গণমাধ্যম যেমন জি ২৪ ঘন্টা, এবিপি আনন্দ, টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস এবং এবিপি নিউজ খপ্পরে পড়ল একটি ভুয়ো টুইটার অ্যাকাউন্টের, যা রিয়া চক্রবর্তীর বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীর ভেক ধরে তৈরি করা হয়েছে। ওই গণমাধ্যমগুলোতে দাবি করা হয়েছে মেয়ের গ্রেপ্তারি নিয়ে টুইট করেছেন ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী।

'ফ্যাক্ট চেক'-এ দেখা যায় অভিনেত্রীর বাবা ইন্দ্রজিত চক্রবর্তীর কোনো টুইটার আইডি নেই। তার নামে বিভিন্ন ভুয়া আইডি থেকে এসব টুইট করা হয়েছে।

রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এনডিপিএস (নারকোটিক ড্রাগ অ্যান্ড সাইকোট্রপিত সাবসটেন্স অ্যাক্ট) আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে এনসিবি। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে মাদক কেনা, মজুত ও সরবরাহের ধারাও আরোপ করা হয়েছে অভিনেত্রীর। অন্যদিকে রিয়ার আইনজীবী বলছেন, পুরোটাই প্রহসন। খবর আনন্দ বাজারের।

রিয়ার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে-

রিয়ার বিরুদ্ধে মাদক সংগ্রহ, মজুত, সেবন, বিকিকিনিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

ধারা ২১: মাদক-আইন লঙ্ঘন, ধারা ২২: সাইকোট্রপিক দ্রব্য সংক্রান্ত মাদক-আইন লঙ্ঘন, ধারা ২৭: প্রত্যক্ষে এবং পরোক্ষে মাদক সরবরাহের আর্থিক মদত, ধারা ২৮: অপরাধমূলক কাজের চেষ্টা, ধারা ২৯: অপরাধের ষড়যন্ত্রে প্ররোচনা দেয়া।

প্রথমে রিয়ার ভাই শৌভিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রোববার ও সোমবারের পর মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) তৃতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রিয়াকে। এদিন টানা আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রিয়াকে গ্রেপ্তার দেখায় এনসিবি।

গেল ১৪ জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়ি থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়। শুরুতে মুম্বাই পুলিশের হাতেই তদন্তভার ছিল। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে ওঠে। সেই মামলায় রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে মাদকযোগের কথা উঠে এলে, আলাদা করে তদন্ত শুরু করে এনসিবি।

এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জেলের দুর্বিষহ অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন অভিনেত্রী
X
Fresh