নায়করাজ হারানোর তিন বছর
কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাককে হারানোর তিন বছর আজ। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট অসংখ্য ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান রাজ্জাক।
ষাটের দশক থেকে অভিনয় দক্ষতা দিয়ে নানা বয়সী দর্শকের হৃদয়ে চিরস্থায়ী স্থান করে নিয়েছেন এই নায়ক। সেলুলয়েডের ফিতায় বন্দি তার অসংখ্য অমর চরিত্র আজও দর্শকদের স্মৃতিকাতর করে। তাই তার বিদায়ের এই দিনে আরটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে ঢালিউড কিংবদন্তীর প্রতি রইলো অপরিমেয় ভালোবাসা।
নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালে কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় আসেন তিনি। এরপর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। দু’একটা সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার পর ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম ছায়াছবি ‘বেহুলা’। সেই থেকে শুরু।
অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনার কাজও করেছেন রাজ্জাক। ১৬টির মতো ছায়াছবি পরিচালনা করেছেন তিনি।
রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে- স্লোগান, আমার জন্মভূমি, অতিথি, কে তুমি, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, প্রিয়তমা, পলাতক, ঝড়ের পাখি, খেলাঘর, চোখের জলে, আলোর মিছিল, অবাক পৃথিবী, ভাইবোন, বাঁদী থেকে বেগম, সাধু শয়তান, অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, মায়ার বাঁধন, গুণ্ডা, আগুন, মতিমহল, অমর প্রেম, যাদুর বাঁশী, অগ্নিশিখা, বন্ধু, কাপুরুষ, অশিক্ষিত, সখি তুমি কার, নাগিন, আনারকলি, লাইলী মজনু, লালু ভুলু, স্বাক্ষর, দেবর ভাবী, রাম রহিম জন, আদরের বোন, দরবার, সতীনের সংসার।
নায়করাজ আর নেই, তবে বাংলাদেশের মানুষ তার কাজের জন্য বহুদিন তাকে মনে রাখবে। তাকে মনে রাখবে ঢাকাই চলচ্চিত্র। তার মতো কিংবদন্তি নায়ক আর হয়তো আসবে না। তার মতো এমন অভিভাবক আর হয়তো পাবে না ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মানুষ।
জিএ/ওয়াই
মন্তব্য করুন