আলাউদ্দিন আলীর জনপ্রিয় কিছু গান
বরেণ্য সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, সঙ্গীতশিল্পী আলাউদ্দিন আলী চলে গেছেন। আজ বিকেলে (৯ আগস্ট) তার জীবনের সব অধ্যায়ের অবসান হয়েছে। তার ৬৭ বছরের এই জীবনে আছে উল্লেখযোগ্য অনেক সৃষ্টি।
আলাউদ্দিন আলীর সঙ্গীত জীবন অনেক সংগ্রামের। তিনি ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা জাবেদ আলী এবং মা জোহরা খাতুন। আলাউদ্দিন তার বাবা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সঙ্গীতে শিক্ষা নেন। ১৯৬৮ সালে তিনি যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আসেন এবং আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।
আলাউদ্দিন আলী ১৯৭৫ সালে সঙ্গীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৯), সুন্দরী (১৯৮০), কসাই এবং যোগাযোগ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত পদ্মা নদীর মাঝি চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। পরিচালক হিসেবে সাতবার এবং গীতিকার হিসেবে একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।
আলাউদ্দিন আলীর সৃষ্ট জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে আছে-
'একবার যদি কেউ ভালোবাসতো',
'যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়',
'প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ',
'ভালোবাসা যতো বড়ো জীবন ততো বড় নয়',
'আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার',
'সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ',
'বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না',
'যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে',
'এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়',
'আমায় গেঁথে দাওনা মাগো, একটা পলাশ ফুলের মালা',
'কেউ কোনো দিন আমারে তো কথা দিল না',
'হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ'
ইত্যাদি।
জিএ/সি
মন্তব্য করুন