• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এফডিসিতে মারামারি, বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান, শাকিবের ‘তুফান’-এ চঞ্চল
গত বছরের শেষের দিকে বেশ ঘটা করে ঘোষণা দেওয়া হয় বছরের অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘তুফান’-এর। অভিনেতা শাকিব খান ও নির্মাতা রায়হান রাফি জুটির এই সিনেমা আসন্ন ঈদে মুক্তির প্রস্তুতি চলছে। মাঝে ঘোষণা দেওয়া হয়, এ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে আছেন কলকাতার নায়িকা মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা। এরপর ছবিটির ভিলেন কে হচ্ছে তা নিয়ে চলে নানা জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। এবার তুফান সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।  সিনেমায় কাজ করার বিষয়টি  নিশ্চিত করে চঞ্চল বলেন, তুফান সিনেমায় আমাকে বিশেষ একটা চরিত্রে দেখা যাবে। রায়হান রাফি এই সময়ের প্রতিভাবান একজন পরিচালক। এছাড়া  শাকিবের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা একদম অন্যরকম। তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে ভালো লাগবে। আর এতো বড় তিনটা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এক হয়েছে অবশ্যই ভালো কিছুই হবে। পরিচালক রায়হান রাফির এখন সময় যাচ্ছে সিনেমার শুটিং-এর শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে। রাফি বলেন, চঞ্চল ভাই আমাদের দেশের শক্তিমান অভিনেতা। তুফান-এ শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে তাকে পাওয়াটা আমার জন্য আনন্দের। এসভিএফ-এর ডিরেক্টর ও কো-ফাউন্ডার মহেন্দ্র সোনি বলেন, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এর আগে ওটিটি কনটেন্টে কাজ হয়েছে। অনেকদিন ধরে তাকে নিয়ে বড় পর্দায় কাজ করার পরিকল্পনা ছিল। আমি নিশ্চিত তিনি তুফান-কে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবে ‘তুফান’ সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ বাংলাদেশ, আলফা আই ও চরকি। এই তিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘তুফান’ এর আগে আরেকটি বড় সিনেমার ঘোষণা দেয়। সিনেমাটির নাম ‘দম’। আর পরিচালনা করবেন রেদওয়ান রনি। ‘দম’ সিনেমার মূল ভূমিকায় দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।
সাবেক স্ত্রী তিন্নি সম্পর্কে হিল্লোলের মন্তব্য
মিউজিক ভিডিওতে তোরসা
‘বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, একটি মেয়েও আছে’
জামিন বাতিল, রাখিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ আদালতের
বাংলা ভাষায় মুক্তি পাবে ‘পুষ্পা টু’, কণ্ঠ দিচ্ছেন যে বাঙালি গায়ক
আল্লু অর্জুন ও রাশমিকা মান্দানা অভিনীত সিনেমা ‘পুষ্পা’। ২০২১ সালে মুক্তির পর ব্যাপক সাড়া পেয়েছিল সিনেমাটি। রীতিমতো ঝড় তুলেছিল বক্স-অফিসে। শিগগিরই আবারও ধামাকা নিয়ে আসছেন দক্ষিণের জনপ্রিয় এই অভিনেতা। এবার জানা গেল, বাংলা ভাষায় মুক্তি পাবে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমা। আর এতে কণ্ঠ দিচ্ছেন বাংলার জনপ্রিয় এক গায়ক। ‘পুষ্পা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আল্লু অর্জুন। শুধু তাই নয়, রাতারাতি আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবে উত্তরণও ঘটেছে তার।   শোনা যাচ্ছে, ‘পুষ্পা টু’ সিনেমায় বাংলা ভাষায় মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি সেখানে কণ্ঠ দিতে যাচ্ছেন বাংলার জনপ্রিয় গায়ক তিমির বিশ্বাস। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে গায়ক জানান, সবটাই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনই কোনো কিছু খোলসা করতে রাজি নন তিনি। গেল বছর এপ্রিলে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার প্রথম পোস্টার মুক্তি পেয়েছিল আল্লু অর্জুনের জন্মদিনে। সে সময় পোস্টারে আল্লু অর্জুনের ‘লুক’ দেখে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল নেটদুনিয়ায়। এর আগে অভিনেতাকে এই রূপে কখনও দেখা যায়নি। লাল টকটকে কপাল আর নীলাভ গাল। জোড়া ভ্রুর মাঝে জ্বলজ্বল করছে চন্দনের ফোঁটা। ওই পোস্টারে আল্লু অর্জুনের পরোনে ছিল শাড়ি, গলায় লেবুর মালা, মুখে দাড়ি-গোঁফ। হাতে ধরা বন্দুক। খানিকটা বৃহন্নলার সাজেই ধরা দিয়েছিলেন এই অভিনেতা। এর মাঝেই চলতি বছরের ৮ এপ্রিল মুক্তি পায় সিনেমাটির টিজার।   সেখানে একবারে নীল রঙের পট্টু শাড়িতে দেখা যায় আল্লুকে। তারপর থেকে যেন অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। দ্বিতীয় বার ‘পুষ্পা’কে বড় পর্দায় দেখতে অপেক্ষা করছেন দর্শকেরা।  প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ আগস্ট মুক্তি পাবে ও আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা: দ্য রুল’। সিনেমায় তিনি ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন— রাশমিকা মান্দানা এবং ফাহাদ ফাসিল। এটি নির্মাণ করেছেন সুকুমার। তামিল, তেলুগু, মালায়ালম, কন্নড়, হিন্দি ছাড়া বাংলাতেও মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি।     সূত্র : আনন্দবাজার 
ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পদ্মশ্রী নিলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা  
ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। রবীন্দ্রসংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এই সম্মাননা দিয়েছে ভারত সরকার।    সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন তিনি।  এদিন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়সহ বিশিষ্টজনেরা। জানা গেছে, চলতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচজন গুণী ব্যক্তিত্বকে পদ্মবিভূষণ, ১৭ জনকে পদ্মভূষণ ও ১১০ জনকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। তাদের মধ্যে ৩০ জন নারী, ৮ জন বিদেশি এবং ৯ জন মরণোত্তর পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিও রয়েছেন। গেল ২৫ জানুয়ারি ভারত সরকার ২০২৪ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করে। সোমবার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সম্মাননা সমাজের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখা ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।  ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদক পান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ২০১৭ সালে  ‘বঙ্গভূষণ’ পদক পান তিনি। এ ছাড়াও বহু পুরস্কার পেয়েছেন এই গায়িকা। ‘পদ্মশ্রী’ ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি। প্রতি বছর ‘পদ্মবিভূষণ’, ‘পদ্মভূষণ’ এবং ‘পদ্মশ্রী’ নামে তিনটি বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।   সূত্র : এএনআই  
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ডিপজল-মিশা
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে মিশা সওদাগর সভাপতি ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।   রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে দেখা করেন তারা। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরাও।   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় মিশা-ডিপজলের সঙ্গে ছিলেন চিত্রনায়িকা রোজিনা, রত্না, শাহনূর, অভিনেতা আলীরাজসহ নির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্যরা। তারা প্রত্যেকেই মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছেন।  চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সহসভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫৫), আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৯৬), দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ কমল (২৩১)। গত ১৯ এপ্রিল কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল সাড়ে নয়টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।
বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া আহসান
শোবিজে দুই দশকের বেশি সময় ধরে পথ চলছেন দুই বাংলার দর্শকনন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। চলচ্চিত্রে ভিন্ন মাত্রার চরিত্রে অভিনয় করে জায়গা করে নিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীদের মনে। যদিও তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল মডেলিং ও নাটক দিয়ে। ১৯৯৮ সালের ১৪ মে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মডেল ও অভিনেতা ফয়সাল আহসানকে। তবে টেকেনি তাদের সেই সংসার। ২০১১ সালে ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন জয়া-ফয়সাল। এরপর থেকে একাই জীবন পার করছেন এই দুই তারকা। সম্প্রতি বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন জয়া।    দেশের এক গণমাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবনের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন জয়া। এ সময় তিনি জানান, কখনও যদি অভিনেত্রীর মনে হয়, জীবনে কাউকে প্রয়োজন তবেই নতুনভাবে বিয়ের চিন্তা-ভাবনা করবেন। তবে আপাতত বিয়ের কোনো প্ল্যান নেই জয়ার।   জয়া বলেন, আমার বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারাও আছেন। আমার পোষ্যরাও আছে। তাদেরকে সবাইকে নিয়ে খুবই ভালো আছি।  তিনি আরও বলেন, আমি তো কোনো কিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হব। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, বর্তমানে আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি। অভিনেত্রী ভাষ্য, তরুণ কীভাবে আছি জানি না, তবে সময়টাকে উপভোগ করাটাই মনে হয় সবচেয়ে বড় বিষয়।  পরবর্তী কাজ প্রসঙ্গে জয়া বলেন, বাংলাদেশে এখন পরিচালক আশফাক নিপুণের সঙ্গে একটি ওয়েব সিরিজ। যেটা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ হবে। আর ভারতেও অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর একটি কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।
মঞ্চে ফিরছে ‘মাধব মালঞ্চী’
অনেকদিন পর মঞ্চে ফিরছে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের সাড়া জাগানো নাটক ‘মাধব মালঞ্চী’। আগামী শুক্র ও শনিবার (২৬ ও ২৭ এপ্রিল) সন্ধা ৭টায় নাটকটি প্রদর্শিত হবে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে। মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে বিভাস চক্রবর্তী রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন রোকেয়া রফিক বেবী। নাটকটির কাহিনিধারায় দেখা যাবে দুর্লভ রাজার ছোটপুত্র মাধবকে। রাণীর মৃত্যুর পর রাজা এই মাধবকে লালন-পালনের দায়িত্ব দেন তার বড় পুত্রবধূ চন্দ্রবনকে। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থতায় দুর্লভ রাজার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে রাজা হওয়ার বাসনায় রাজপুত্রদের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। ভবিষ্যত রাজা ঠিক করার জন্য গণনা করা হয় এবং তিনবারই গণনায় মাধবের নাম আসে। এই ঘটনায় বড় ভাইয়েরা মাধবকে মেরে ফেলার চক্রান্ত শুরু করলে চন্দ্রবন আদরের দেবরকে পাঠিয়ে দেয় দূর দেশে। একদিন সুদর্শন মাধবের প্রেমে পড়ে রাজকন্যা মালঞ্চী। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি। ‘মাধব মালঞ্চী’ নাটকের সংগীত পরিকল্পনায় রয়েছেন সেলিম মাহবুব। আলো ও মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন জুনায়েদ ইউসুফ। সহনির্দেশনায় রয়েছেন মোকাদ্দেম মোরশেদ।
আরটিভিতে আজ যা দেখবেন
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১। একনজরে জেনে নিন আরটিভির আজকের আয়োজন— সকাল ৯টায় টকশো ‘আজ পত্রিকায়’।  সকাল ৯টা ৪৫মিনিটে ‘সকালের সংবাদ’।  সকাল ১০টা ১০মিনিটে বাংলা ছায়াছবি ‘বিচার হবে’। অভিনয় করেছে- সালমান শাহ, শাবনূর।   বিকেল ৫টা ৩০মিনিটে অটিজম বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘হাত বাড়িয়ে দিলাম’ গ্রন্থণা। উপস্থাপনা ও পরিচালনা- সৈয়দা মুনিরা ইসলাম।  সন্ধ্যা ৬টা ৫মিনিটে লাইভ ইসলামী আলোচনা অনুষ্ঠান ‘প্রশ্ন করুন’।  সন্ধ্যা ৬টা ৪৫মিনিটে ‘সন্ধ্যার সংবাদ’।  রাত ৭টা ৫মিনিটে নির্বাচিত নাটক।  রাত ৮টায় বিশেষ নাটক।  রাত ৯টা ২০মিনিটে প্রতি সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক- ‘গোলমাল’।  পরিচালনা- কায়সার আহমেদ ও আল হাজেন।   অভিনয় করেছেন- আনিসুর রহমান মিলন, শ্যামল মাওলা, রওনক হাসান, নাদিয়া আহমেদ, সালহা খানম নাদিয়া, প্রাণ রায়, মুনিরা ইউসুফ মেমী, আজিজুল হাকিম প্রমুখ।   রাত ১০টায় প্রতি মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক নাটক- ‘জাদুনগর’। রচনা- আহমেদ শাহাবুদ্দীন ও পরিচালনা- কাওসার আহমেদ।  অভিনয় করেছেন- মীর সাব্বীর, নাদিয়া আফরীর মীম, জয়রাজ ওবিদ রেহান, শায়েদ আলী, ড: এজাজ, ওলিউৃল হক রুমি, বিনয় ভদ্র প্রমুখ।  রাত ১০টা ৪৫মিনিটে ‘রাতের সংবাদ’।  রাত ১১টা ২০মিনিটে লাইভ ‘গণতন্ত্র সংলাপ’।  রাত ১২টা ১৫মিনিটে লাইভ ‘উন্নয়নে বাংলাদেশ’।  রাত ১টায় ‘মধ্যরাতের সংবাদ’।   
মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অভিনেতা রুমি
বরগুনায় মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।     সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে রুমির মরদেহ বরগুনা পৌরসভার পিটিআই সড়কে ভাইরের বাসায় পৌঁছায়। প্রিয় অভিনয় শিল্পীকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন তার স্বজনরা। পরে পৌনে ছয়টায় বরগুনার শহীদ আবুল হোসেন ঈদগাহ মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে বরগুনা পৌর গণকবরে তার মায়ের কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এসময় তার সহকর্মী রাশেদ সিমান্ত, শফিক খান নীলুসহ তার সহকর্মী শিল্পীবৃন্দ, আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ভোর ৩টা ৫৮ মিনিটে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর সকাল ৯টায় রাজধানী শহীদবাগ জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন করে মরদেহ বরগুনা পৌর শহরের পিটিআই সড়কে ছোট ভাই জিয়াউল হক জুয়েলের বাড়িতে আনা হয়।  বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায় জন্ম রুমির। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও মা হামিদা হক। পরিবারে তিন বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে রুমি মেজো। ভাইদের মধ্যে তিনি বড়। রুমির দুই সন্তান। মেয়ে আফরা আঞ্জুম রুজবা স্বামী সন্তান নিয়ে থাকেন কানাডায়। আর ছেলে ফারদিন হক রিতম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি লেখাপড়া শেষ করেছেন। অভিনয়ে তিন দশকের বেশি সময় পার করেছেন রুমি। দীর্ঘ এ পথচলায় অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক ও সিনেমায়। ১৯৮৮ সালে রুমির অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনো ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার। টেলিভিশনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ২০০৯ সালে ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় অলিউল হক রুমির। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক হলো, ‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘যমজ সিরিজ’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ইত্যাদি। রুমির মৃত্যুতে শোবিজ পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।