• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

৯৪ শতাংশ মানুষ মনে করে ঢাকা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি: সুজন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৪২
ঢাকা সিটি নির্বাচন
ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সংবাদ সম্মেলন

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের এক অনলাইন জরিপে অংশগ্রহণ করা ৯৪ শতাংশ মানুষ বলছেন, ঢাকা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ডিআরইউতে ঢাকার দুই সিটিতে ভোটার হার কম হওয়ার বিষয়ে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সুজন। ‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২০: বিজয়ীদের তথ্য বিশ্লেষণ ও নির্বাচন মূল্যায়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জরিপের এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

সুজনের ওই অনলাইন জরিপে প্রশ্ন ছিল, ‘ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে আপনি মনে করেন কি না?’ এতে চার হাজার ৩০০ জন মানুষ অংশ নেয়।

সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খুবই অল্প ভোট পড়েছে। উত্তর সিটিতে গড় ভোট পড়েছে ২৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং দক্ষিণে পড়েছে গড়ে ২৯ দশমিক সাত শতাংশ। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বলছে, এত কম ভোটার উপস্থিতির কারণ ভোট সুষ্ঠু হবে না এ ধরনের পূর্ব ধারণা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রতিবেদন পাঠ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। সভাপতি ছিলেন সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান। আর বক্তব্য রাখেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌস।

স্বল্প ভোটার উপস্থিতির আরও বেশকিছু কারণ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। তাতে বলা হয়, নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর ভোটারদের আস্থা না থাকা (অর্থাৎ ভোট সুষ্ঠু হবে না এ ধরনের পূর্ব ধারণা), ইভিএম সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচার ও ইভিএমের ওপর আস্থা না থাকা, দলগুলোর পাল্টাপাল্টি হুমকির কারণে শঙ্কিত হয়ে ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ হওয়া। পাড়া-মহল্লা ও ভোটকেন্দ্র পাহারা এবং ভোটকেন্দ্রের বাইরে সরকারদলীয় কর্মী-সমর্থকদের জটলা ও মহড়া। আঙুলের ছাপ না মেলার কারণে কিছু কিছু ভোটারের ভোট না দিয়েই ফিরে যাওয়া। একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দেয়ার বিষয়টি প্রচার হওয়া। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের মধ্যে ‘ভোটকেন্দ্র না গেলেও তাদের প্রার্থী জয়ী হবেই’ এমন ধারণা বদ্ধমূল থাকা। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের মধ্যে শঙ্কা ও ‘তাদের প্রার্থী জিততে পারবে না’ এমন ধারণা সৃষ্টি হওয়া। তাছাড়া যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকা এবং একসঙ্গে দুইদিন ছুটি থাকাও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার অন্যতম কারণ।

সুজন বলছে, ‘একটি প্রচার আছে যে, নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ। আমরা মনে করি, এই শান্তি অশান্তির চেয়েও ভয়াবহ। কেননা, ভয়ের সংস্কৃতির কারণে কেউ যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহস না পায়, তবে সেই অন্যায়ের প্রতিকার পাওয়া দুষ্কর। ব্যাপক অনিয়ম হওয়ার পরও যদি সেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়, তবে বুঝতে হবে প্রতিপক্ষ এখানে চরম দুর্বল।’

সুজন আরও বলছে, ‘‘এটি স্পষ্ট যে, সামগ্রিকভাবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল ‘নিয়ন্ত্রিত’ নির্বাচন। তবে অতীতের তুলনায় নিয়ন্ত্রণের ধরন ছিল কিছুটা ভিন্ন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনগুলো যেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।’’

এসজে/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২০২০ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh