• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

নদী সীমানা থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠান সরাতে প্রতিমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

আরটিভি নিউজ

  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:০১
নদী সীমানা থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠান সরাতে প্রতিমন্ত্রীর হুঁশিয়ারী

নদীর সীমানায় গড়ে ওঠা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নিতে শিল্পমালিকদের হুঁশিয়ারী দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তা না হলে আগামী দিনে অনেক কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী নদীর সীমানায় গড়ে তোলা শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের মালিকদের প্রতি এ নির্দেশ প্রদাণ করেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী নদীর সীমানায় গড়ে ওঠা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নিতে সরকারের দেওয়া সুযোগ সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে শিল্পমালিকদের আহবান জানান।

নদী দখলদার উচ্ছেদে কোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন কি না- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা নদী দখল করেন তারা সবাই রাঘববোয়াল না, সাধারণ মানুষও আছেন। সাধারণ মানুষ জায়গা না থাকায় একটা ঘর বেঁধে ফেলে, সে তো জানে না যে এতে নদী দখল হয়ে গেলো। এক্ষেত্রে অসাবধানতাও কাজ করে।

তিনি বলেন, আগে ছিল জোর যার মুল্লুক তার। কাজেই সে অবস্থা এখন আর নেই। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন আবেদন করলে আমরা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম মানা দরকার, সেগুলো তারা মানেনি। বরং তারা জরিমানার আওতায় আসার কথা। আমরা নদীর সীমানা থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠান অপসারণের সুযোগ দিয়েছি। যদি এ সুযোগের সঠিক মূল্যায়ন না হয়, তবে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হতে পারে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীতীরে গড়ে ওঠা শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে আমরা কিছুটা সময় দিতে চাই। কারণ, এতে শিল্প মালিকদের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশে কেউ কখনও ভাবেইনি- নদীরও নিজস্ব জায়গা আছে। এ ভাবনাটা তৈরি করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, দীর্ঘদিন রাষ্ট্র সেটা করেনি।

নদীর সীমানা পিলার স্থাপন ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে জানিয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দখলদার উচ্ছেদের কাজ পুরোপুরি বা শতভাগ সম্পন্ন করতে পারিনি। বেশ কিছু মামলা আছে। সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের আইনজীবী প্যানেল কাজ করছে। আমরা হেয়ারিং নিচ্ছি। অনেকগুলো বিষয়ে আমরা সমাধান করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সারা দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করতে চাই। এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের অংশ ছিল। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। এরইমধ্যে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটারের মতো নতুন ও পুরনো নৌপথ তৈরি করতে পেরেছি। আমরা এর সুফল পেতে শুরু করেছি। এবার অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে পানি আসলেও তা বন্যায় রূপ নেয়নি। এর অন্যতম কারণ, নদীগুলোর ধারাবাহিক ড্রেজিং করা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

এমএন

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিল্প এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‌‘ইন্ডিয়া আউট যারা বলছে, তারাই জনগণ থেকে আউট হয়ে গেছে’
ঢাবির অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
‘নৌপথ-নদীবন্দরগুলো ঠিক আছে কি না, লক্ষ্য রাখতে হবে’
বঙ্গবন্ধু একটি সংগ্রামের নাম, প্রেরণার নাম, স্বপ্নের নাম : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
X
Fresh