• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

আলোচনায় গেঞ্জি কাপড়ের 'এলা' মাস্ক

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৯ জুন ২০২০, ১৯:৩২
Discussion, genji cloth, 'Ella' mask
'এলা' মাস্ক পরে উদ্যোক্তা মামুনুর রহমান।

করোনাভাইরাসের এই সংকটময় মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশ সরকারও বেশ আগেই বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখেছেন। এজন্য ভালো মাস্ক তৈরিতে এগিয়ে আসছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবে এবার আলোচনায় এসেছে গেঞ্জি কাপড়ের 'এলা' মাস্ক।

সম্প্রতি গেঞ্জি (নিট) কাপড় দিয়ে বানানো মাস্ক দেশের মানুষকে উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। একটি প্রকল্পের আওতায় এতে যুক্ত ছিল এলা অ্যালায়েন্সের সদস্য বেক্সিমকো, রেডিসন, পলমল গ্রুপসহ ১০টির বেশি পোশাক কারখানা। একটি প্রকল্পের অধীনে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দেশব্যাপী মাস্ক বিতরণের উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত ১৯ মার্চ গ্রহণ করা হয়। জানা যায়, এলা অ্যালায়েন্সের সদস্যরা প্রকল্পের মাস্ক ছাড়াও নিজস্ব শ্রমিক, কমিউনিটি ও কর্মকর্তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২০ লাখের বেশি মাস্ক উপহার দিয়েছেন।

ইএলএলএ (ইকো–ফ্রেন্ডলি লো–কস্ট লিকিইড এবজরবেন্ট) প্যাড বা এলা প্যাডের উদ্যোক্তা মামুনুর রহমান আরটিভি নিউজকে বলেন, কারখানার কাটিং টেবিল থেকে ফেলে দেওয়া কাপড় দিয়ে প্যাড, মাস্ক, বিমানে যাত্রীদের আরামের জন্য চোখে দেওয়া চশমার আদলে তৈরি পণ্যটিসহ বিভিন্ন পণ্যই তৈরি করা সম্ভব। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কার্যকরী উপায় হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার। এ পরিস্থিতিতে স্বল্প পরিসরে দক্ষ কর্মীর মাধ্যমে ঝুট গেঞ্জি কাপড় দিয়েই মাস্ক বানানো শুরু করি এবং পরে এলা অ্যালায়েন্স সরকারি উদ্যোগে যুক্ত হবার সুযোগ পায়। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে মাস্ক উৎপাদন কিছুটা সীমিত পরিসরে হচ্ছে। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। গেঞ্জির কাপড় দিয়ে যে কেউ বাসায় বসে দুই স্তর বিশিষ্ট এই মাস্ক তৈরি করতে পারবেন।

বিডার উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ বলেন, ৬৪ জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৬৪ জেলায় ১ হাজার করে মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় ৫০ হাজারের বেশি মাস্ক বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এলা অ্যালায়েন্সসহ বিভিন্ন পোশাক কারখানা এ মাস্ক উৎপাদন করেছে।

মার্কিন দূতাবাসের রিজিওনাল মেডিকেল অফিসার চিকিৎসক জিল ডার্কেনসহ দূতাবাসের সব চিকিৎসক এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা এখন নিয়মিতভাবে এলা মাস্ক ব্যবহার করছেন বলে জানান মামুনুর রহমান। তিনি বলেন, জিল ডার্কেন কয়েক দফায় মতামত দিয়ে মার্কিন দূতাবাসে এলা মাস্ক ব্যবহার অনুমোদন করেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সঙ্গে যৌথভাবে দেশব্যাপী এলা মাস্ক তৈরির বিষয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণের কথা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ইউনিভার্সিটির একদল গবেষকের গবেষণার কথা উল্লেখ করে মামুনুর রহমান জানান, গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক তাহের সাইফ এলা মাস্কের প্রশংসা করছেন। আসলে মাস্ক তৈরির জন্য সিল্ক, সুতি, পলিয়েস্টার, কৃত্রিম তন্তুসহ ১০ রকমের কাপড়ের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গেঞ্জির কাপড়ে তৈরি মাস্ক প্রচলিত মেডিকেল বা সার্জিক্যাল মাস্কের সমতুল্য বা এর চেয়েও বেশি কার্যকর। এই মাস্ক কয়েক মাস পরিষ্কার করে ব্যবহার করা যাবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, সুরক্ষায় থাকা। এই মুহূর্তে একা ভালো থাকলে চলবে না, সবাইকে নিয়েই ভালো থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, মামুনুর রহমান জাতিসংঘে দীর্ঘদিন জেন্ডার বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। ঝুট কাপড় দিয়ে প্যাড বানানোর উদ্যোক্তা হিসেবে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। গত বছরও পেয়েছেন স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই'র উদ্যোক্তা অ্যাওয়ার্ড।
জিএ/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • করপোরেট কর্নার এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইডিয়ালে আলোচনা সভা
মাত্র ৭১ দিনে কোরআন মুখস্থ করে আলোচনায় ৯ বছরের নাফিস
খোলামেলা ফটোশুট করে আলোচনায় সোহিনী (ভিডিও)
আওয়ামী লীগের আলোচনাসভা আজ
X
Fresh