• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

উন্নতমানের পিপিই ও মাস্ক সরবরাহ করছে গ্রামীণ ফেব্রিক্স এন্ড ফ্যাশন্স লিমিটেড

বিজ্ঞপ্তি

  ১২ এপ্রিল ২০২০, ২২:০৭
পিপিই, মাস্ক, সরবরাহ, গ্রামীণ ফেব্রিক্স এন্ড ফ্যাশন লিমিটেড
উন্নতমানের পিপিই ও মাস্ক হস্তান্তর করার মুহূর্ত।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারী ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান সমূহও সবার সঙ্গে এগিয়ে এসেছে পরিস্থিতি মোকাবেলার বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ডাক্তার, নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরী এই বিষয়টি মাথায় রেখে গ্রামীণ ফেব্রিক্স এন্ড ফ্যাশন্স লি: নিরাপত্তা গাউন (পিপিআই) তৈরির পদক্ষেপ নিয়ে এ পর্যন্ত ২০ হাজার নিরাপত্তা গাউন তৈরি করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করেছে। আরও ১০ হাজার পিস তৈরির কাজে চলমান আছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যে সব ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সামনে থেকে এবং ICU এর দায়িত্ব পালন করবেন তাদের সুরক্ষার জন্য উচ্চ গ্রেডের ২০ হাজার পিস পিপিই তৈরির জন্য স্পেসিফিক কাপড় ও সীম সিলিং টেপ আমদানির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাঁচামাল এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখের মধ্যে দেশে এসে পৌঁছাবে।

২০ হাজার পিস উচ্চ গ্রেডের পিপিইসহ মোট ৫০ হাজার পিস পিপিই তৈরি করে সরবরাহের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছে গ্রামীণ ফ্যাব্রিক্স এন্ড ফ্যাশন্স। তারা গ্রামীণ টেলিকমের আর্থিক সহায়তায় এই উৎপাদন করে যাচ্ছে।

প্রথম ধাপে এই সকল পিপিই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, স্বাস্থ্য বিভাগ, হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিডফোর্ড হাসপাতাল, খুলনা শিশু হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লি:, উত্তরা উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, ডি.এস.কে হাসপাতাল, সুইস কন্টাক্ট বাংলাদেশ, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল, বি.এম.এ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়েছে।

গ্রামীণ টেলিকম যে সমস্ত স্বাস্থ্য রক্ষাকারী সামগ্রী এখানে উৎপাদন করতে পারছে না সেগুলো অবিলম্বে বিদেশ হতে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ২ লাখ সার্জিক্যাল মাস্ক, ৫০ হাজার এস৯৫ মাস্ক, ৫০ হাজার কেএন৯৫ মাস্ক, ৫০ হাজার হ্যান্ড গ্লাভস ও ১০ হাজার প্রটেকটিভ গগলস তাদের হাতে এসে পৌঁছাবে। এই জরুরী সামগ্রীগুলো দেশের সর্বত্র ডাক্তার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে পৌঁছানোর জন্য গ্রামীণ টেলিকম উদ্যোগ নিয়েছে।

যে সব সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত তাদের কাছে এসব সামগ্রী সরকারী নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করে দেয়া হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব সামগ্রীর অভাব আছে তারা তাদের প্রয়োজনের কথা জানিয়ে রাখার জন্য গ্রামীণ টেলিকম অনুরোধ জানাচ্ছে।(e-mail:info@grameentelecom.net.bd)যার প্রয়োজনীয়তা অন্যের চাইতে বেশী তাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং সংক্রমণ রোধে সারাদেশে শিল্প প্রতিষ্ঠান, সরকারী বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, সারাদেশে লক ডাউন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে দেশের বহু মানুষের অন্ন সংস্থানের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। দুঃস্থ মানুষকে দু’বেলা খাবার সংস্থানের জন্যও কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচীর অধীনে প্রাথমিকভাবে দেশের আড়াই হাজার দুঃস্থ পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের কেউ অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছ থেকে সাহায্য পায়নি। এই আড়াই হাজার পরিবারকে করোনা দুর্যোগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত খাবার সরবরাহের কর্মসূচি নিয়েছে। দেশব্যাপী গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানসমূহের স্থানীয় অফিসের কর্মচারী-কর্মকর্তারা তাদের এলাকার নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এই আড়াই হাজার পরিবার বা দশ হাজার মানুষের এই মহামারী শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিনের খাবার অর্থ যোগান দিচ্ছে তিনটি গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান: গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট এবং গ্রামীণ কল্যাণ।

জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • করপোরেট কর্নার এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নকল পণ্য সরবরাহের অভিযোগ, ২ জনের কারাদণ্ড
সিঙ্গাপুর থেকে স্বল্পমেয়াদে এলএনজি সরবরাহে নীতিগত অনুমোদন দিল সরকার 
সিলেটে শনিবার ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
নরসিংদীতে সঞ্চালন লাইনে ছিদ্র, ১৩ ঘণ্টা পর গ্যাস সরবরাহ চালু
X
Fresh