• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনামুক্তদের জন্য আশার আলো নিয়ে এলো এভারকেয়ার হসপিটাল

আরটিভি নিউজ

  ০২ অক্টোবর ২০২০, ০০:১০
Hospital doctors
হাসপাতালের চিকিৎসকরা

মানুষ কোভিড-১৯ মহামারী থেকে বেঁচে উঠতে থাকলেও সময়ের সাথে এটি স্পষ্ট যে করোনা থেকে বেঁচে থাকা সেরে উঠার প্রথম পদক্ষেপ। এমনকি সেরে উঠার কয়েক মাস পরও অনেক কোভিড-১৯ রোগীরাই এর অনেক প্রভাব লক্ষ করছেন। যার মধ্যে শারীরিক ও মানসিক দুটোই রয়েছে। রোগীরা জানিয়েছে তাদের মধ্যে দুর্বল লাগা, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা, নিদ্রাহীনতা, বুক ধড়পড় ও অস্থিরতা, অ্যাজমার মতো লক্ষণ (যা পূর্বে ছিল না), বেশি হার্ট বিট আর যারা পূর্বে প্রি-ডায়বেটিক ছিল তাদের হাই ব্লাড সুগার দেখা যাচ্ছে।

এভারকেয়ার হসপিটালের পোস্ট-কোভিড-১৯ রিকভারি ক্লিনিক এইসব পোস্ট কোভিড-১৯ রোগীদের তাদের রিকভারি জার্নির পুরোটা সময় তাদের পাশে থেকে সাহায্য করতে চায়।

যারা মাঝারি থেকে গুরুতর কোভিড-১৯ ইনফেকশনে ভুগেছেন তাদেরকে ন্যূনতম ৩ মাস পর্যন্ত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়; পাশাপাশি নিয়মিত যেকোনো লক্ষণ ও পরবর্তী যেকোনো প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।

একটি ভিন্ন গবেষণায় গবেষকরা দেখেছেন যে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সিংহভাগ কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে হাসপাতাল ছাড়ার ৬ সপ্তাহের মধ্যে ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এই অনুপাত ১২ সপ্তাহ পর ধীরে ধীরে কমে যায় যদি ভালো শ্বাস-প্রশ্বাসের সেবা পাওয়া যায়। কারণ দেখা গেছে ফুসফুসের স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেরে উঠার ক্ষমতা আছে।

এই পোস্ট-কোভিড রোগীদের সনাক্ত করতে এবং তাদের উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা দিতে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র পোস্ট-কোভিড-১৯ রেস্পিরেটরি ক্লিনিকটি এই সময়ের সেরা রিকভারি সার্ভিস দিচ্ছে।

পোস্ট-কোভিড রিকভারি সার্ভিসে আছে পালমোনারি কেয়ার ও রিহ্যাবিলিটেশন, পালমোনারি ফিজিওলজিক টেস্টিং, পালমোনারি ইমেজিং, রিহ্যাবিলিটেশন, সাইক্রিয়াট্রিক ও সোশ্যাল সার্ভিস; এছাড়াও রয়েছে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত রিসার্চ স্টাডিজ। কোভিড-১৯ সহ সব ল্যাবরেটরি টেস্টের রেজাল্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাওয়া যায় (বেশিরভাগ কেসের ক্ষেত্রে)।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠে বাড়ি ফেরার পর আমরা পরামর্শ দিই। অবিরাম লক্ষণগুলো (কফ, ডিস্পনিয়া) কন্ট্রোল করা, সাপ্লিমেন্টাল অক্সিজেন, কর্মস্থলে নিরাপদে ফিরে যাওয়া সম্পর্কিত পোস্ট-ডিসচার্জ ফিজিকাল ও ইমোশনাল ফাংশন ইস্যুস এবং সংক্রমণ রোধ করতে সতর্কতা, পর্যাপ্ত পুষ্টি, সেইফ মোবিলিটি ও সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট থাকা।

আমরা হোম রিকভারি সাপোর্টও দিয়ে থাকি যাতে আছে অ্যারিথমিয়া ও মায়োকার্ডিয়াল ডিসফাংশনের মতো হার্টের মেডিকেল কমিপ্লিকেশনের জন্য মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি ইনভল্বমেন্ট; এছাড়াও আছে দীর্ঘস্থায়ী আইসিইউ সম্পর্কিত সমস্যাগুলো জন্য সাপোর্ট যেমন- লস অফ মাসল, মায়োপ্যাথি, নিউরোপ্যাথি, উদ্বেগ ও হতাশা।

কোভিড-১৯ ইনফেকশন থেকে মুক্তির কয়েক মাস পরও যারা তাদের শরীরে এই ভাইরাসের রেখে যাওয়া ভয়ংকর প্রভাব লক্ষ করছেন তাদেরকে সাহায্য করতে এটি এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র একটি দারুণ উদ্যোগ। আমরা বিশ্বাস করি, যদি আমরা সবাই এগিয়ে আসি ও একসাথে কাজ করি তাহলেই আমরা একে অপরকে সাহায্য করে এই মহামারীর বিরুদ্ধে জিততে পারবো।

আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা বাংলাদেশের একমাত্র JCI স্বীকৃত হসপিটাল। এটি এভারকেয়ার গ্রুপ-এর একটি অংশ, যা ৩০+ হসপিটাল, ১৫টি ক্লিনিক, ৫০+ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে রয়েছে ২টি মহাদেশের ২৫টি শহরে; উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার মিশন নিয়ে।

জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • করপোরেট কর্নার এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজশাহীতে গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, বেশির ভাগই শিশু
চিকিৎসকদের রোগী দেখার সংখ্যা বেঁধে দেবে সরকার
সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, রোগীর স্বজনদের মারধরের অভিযোগ
X
Fresh