• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

ভ্যাট আদায় পদ্ধতির পরিবর্তন চায় এফবিসিসিআই

আরটিভি নিউজ

  ০৫ জুন ২০২১, ১৭:০২
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন

জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাটের আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট আদায় পদ্ধতি সহজ করতে হবে। ব্যবসায়ীরা ভোগান্তি ছাড়াই যেন ভ্যাট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া একটা মার্কেটে ১০টি দোকান আছে। দেখা যাচ্ছে, ১০টি দোকানের মধ্যে ২টি দোকানে ভ্যাট আদায়ের মেশিন বসানো হয়েছে। বাকি ৮টি দোকানে ভ্যাট আদায়ের কোনো মেশিন বসানো হয়নি। এ ধরনের বৈষম্য দূর করতে হবে।

শনিবার (৫ জুন) মতিঝিলের এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ‘২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা’ সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এসব কথা বলেন।

ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়ায় সরকার এক টাকা বিনিয়োগ করলে একশ টাকা পাবে তাহলে সরকার কেন এখানে বিনিয়োগ করছে না এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে চায় কিন্তু পদ্ধতিটা সহজ হওয়া উচিত। সরকার এতো বড় বাজেট দিচ্ছে, এতো কিছু করছে। আমি তো মনে করি এ জায়গায় (ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়া) বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত।

কালো টাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দেয়া উচিত। এটা সব সময়ের জন্য দেয়া হলে যারা নিয়মিত ভ্যাট দেয় তারা নিরুৎসাহিত হবেন।

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন করে আরও একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি সংক্রমণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে সরকার বিশ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছিল কিন্তু এখনও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সম্পূর্ণ প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। কেন দেয়া হয়নি, সে বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসবো।

জসিম উদ্দিন বলেন, অগ্রিম আয়কর (এটিআই) বেআইনি। এফবিসিসিআই থেকে বিদ্যমান ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছিল। অথচ বাজেটে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়েছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে। এ অগ্রিম আয়কর আমরা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, মোট প্রাপ্তি তিন কোটি টাকা বা ততোধিক হলে ব্যক্তি আয়করদাতাদের ন্যূনতম কর হার দশমিক ৫০ থেকে কমিয়ে দশমিক ২৫ করা হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম কর হার দশমিক ২৫ করার দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়াও এফবিসিসিআই সংবাদ সম্মেলনে ৮টি দাবি তুলে ধরা হয়েছে। দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে-

১. আমদানি পর্যায়ে ভ্যাটের আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা;
২. আগামী এক বছরের জন্য ই-কমার্সকে উৎসে করের আওতাবহির্ভূত রাখা;
৩. কাটার সেকশন ড্রেজারকে ক্যাপিটাল মেশিনারি হিসেবে ১ শতাংশ শুল্কে আমদানির সুযোগ দেয়া;
৪. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আয়ের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার করা;
৫. সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি এবং ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধির জন্য সব উপজেলা পর্যায়ে আয়কর ও ভ্যাট অফিস স্থাপন করা;
৬. সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ধরনের কাজে টিন নম্বর ব্যবহার করার পাশাপাশি ট্যাক্স পেমেন্টের প্রমাণ বা ডকুমেন্ট বাধ্যতামূলক করতে হবে;
৭. জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পলিসি উইং এবং বাজেট বাস্তবায়ন উইংকে পৃথক করা এবং
৮. মূল্য সংযোজন কর আইন সহজীকরণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং এফবিসিসিআইয়ের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা।

‘২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা’ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান প্রমুখ।

এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • ব্যবসা-বাণিজ্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh