সরকারের উদ্দেশে যে বার্তা দিলেন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি (ভিডিও)
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষিত লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশে দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পথে বসেছেন। এসব ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার জন্য সরকারের কা ছে নগদ অর্থ প্রণোদনা চেয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় সরকারের কাছে এ দাবি তুলে ধরেন হেলাল উদ্দিন।
-
আরও পড়ুন... ২৬ এপ্রিল থেকে দোকান-শপিংমল খুলছে!
২০২০ সালের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে, যা কয়েক দফায় বাড়ানোর পর ৩০ মে শেষ হয়। সেই সময়ে ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এবারও করোনা সংক্রমণ রোধে ১৪ এপ্রিল সরকারি-বেসরকারি অফিস-সহ দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে পথে বসেছেন ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
সরকারের উদ্দেশে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরে ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়েছে। এবার ঋণ করে ব্যবসায়ীরা পহেলা বৈশাখ ও ঈদের বাজার ধরতে চেয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীদের ভাগ্যে সেটিও হলো না। এখন ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে খুবই কষ্ট আছেন। এই মুহূর্তে সরকারের কাছে দাবি যেকোনো ভাবেই হোক ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে নগদ টাকা পৌঁছে দিতে হবে। নগদ টাকা ঋণ হোক কিংবা বিনাশর্তে প্রণোদনা হোক তা ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এটি না করলে দেশের মধ্যে এক ধরনের অস্তিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করেন হেলাল উদ্দিন।
-
আরও পড়ুন... কবরীর মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা পরই জন্ম নিয়েছে নাতনি
বিপুলসংখ্যক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মহামারি করোনার ধাক্কায় ছিটকে পড়ছেন ব্যবসার মূল স্রোত থেকে। লোকসান সামাল দিতে না পেরে শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসা। লকডাউনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও তাদের ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। এসময় তাদের আয় পুরোপুরি বন্ধ।
এফএ
মন্তব্য করুন