• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস নিম্ন ও মধ্যবিত্তের

আরটিভি নিউজ

  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:০২
rise, prices, daily, left, lower and middle, classes, reeling
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস নিম্ন ও মধ্যবিত্তের

নিত্যপণ্যের দাম কোনভাবেই লাগালের কাছে আসছে না। এখন বাজারে আলুর কেজি ১৫ টাকা, কপি ১০ টাকা এবং পেঁয়াজের দামও কম। অথচ কিছুদিন আগেও বাজারে এসব সবজির দাম ছিল আকাশচুম্বী। মৌসুমি সবজি বাজারে পর্যাপ্ত হওয়ায় দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। এতে হতাশা নিয়ে কৃষকরা সবজি চাষে নিরুৎসাহী হচ্ছেন। সবজিতে কৃষক দাম না পাওয়ার পেছনে অপরিকল্পনাকে দায়ী করছেন কৃষিবিদরা। তারা মনে করেন আজকে যে সবজি ১০ টাকা কেজিতে কেনা হচ্ছে কালকে সেই একই সবজি দেড়শ টাকায় কিনতে হবে। বাজারে এমন বৈষম্যের কারণে অনেক কৃষক সবজি চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। সবজির দাম মানুষের নাগালের কাছাকাছি হলেও অস্থির হয়ে আছে দেশের ভোজ্যতেলের বাজার। দাম যেভাবে বেড়েই চলেছে এর লাগাম কোনোভাবেই টেনে ধরা যাচ্ছে না। বাজারে মানা হচ্ছে কোনও নিয়মনীতি। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নিলেও কোনও অগ্রগতি নেই। সরকারের দিক থেকে এখনও চলছে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ।

ভোজ্যতেলের পাশাপাশি চিনি, লবণ, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল, ছোলা, শুকনা মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে, জিরা, আদা ও তেজপাতা-খুচরা পর্যায়ে এই পণ্যগুলোর দামও বাড়ছে। এসব পণ্যের আকস্মিক লাগামহীন মূল্যে অনেক ক্রেতাই দিশেহারা।

বাজারের এই অস্থিরতা দূর করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। কমিশনের যুগ্ম প্রধানকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার তুলনায় সয়াবিন ও পামঅয়েলের সরবরাহ কম অজুহাতে দেশের বাজারে ৮৮ টাকা লিটার দরের সয়াবিন তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, আবার কোথাও ১১৫ টাকা।

সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, গত এক মাসের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে কেজিতে দুই টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ছয় টাকা, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েছে ৪০ টাকা, মসুরের ডাল কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা, দেশি রসুন কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ২০ টাকা, দেশি শুকনা মরিচ কেজিতে ৮০ টাকা, আমদানি করা শুকনা মরিচ ২০ টাকা, হলুদ কেজিতে ১০ টাকা, তেজপাতা কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারের সচিবের পদমর্যদায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন, ভোজ্যতেলসহ ১৫টি নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তার পরেও ট্যারিফ কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন অনুসারে নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ পদ্ধতি প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিটি কাজ করছে। কমিটি তথ্য-উপাত্ত জোগাড় করে বাজারে পণ্যের দাম যাচাই করে একটি সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।

সরকার দাম বেঁধে দিলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে কিনা জানতে চাইলে মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা জানিয়েছেন, দাম ঠিক করে দিয়ে পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ কতোটা বাস্তবসম্মত তা আমি জানি না। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। পণ্যের সঠিক চাহিদা নির্ধারণ করে আমদানি বাড়াতে হবে। চাহিদা ও সরবরাহ সমানতালে চললেই পণ্যের দাম নাগালে থাকবে।

এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • ব্যবসা-বাণিজ্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৪০০ সিসির পালসার বাজারে আসার আগেই ফাঁস হলো দাম
লক্ষ্মীপুরে তাপদাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
স্বর্ণের দাম আরও কমলো
বিশ্ববাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম
X
Fresh