আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা
ব্যাংকে জমানো টাকা ও লেনদেনের ওপর আবগারি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। তারা বলছেন, করোনাকালে আবগারি শুল্ক বাড়ানো হলে তা হবে ব্যাংকে টাকা রাখার শাস্তির সামিল।
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে, ব্যাংকে লেনদেন ও আমানত কমবে বলে মনে করে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। অর্থনীতিবিদরাও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দেন।
বছরে ১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন হয় এমন হিসাবগুলোর ওপর ২০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয় প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, বর্তমানে ব্যাংকে টাকা রেখে নামমাত্র মুনাফা পাওয়া যায়। নানা ধরনের ফি ও ভ্যাট কেটে রাখে ব্যাংক ও সরকার। করোনাকালে এরসাথে আবগারি শুল্ক আরোপ মরার হবে ওপর খাড়ার ঘা।
ঋণের সুদহার কমানোর জন্য সব ব্যাংকই আমানতের সুদহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনছে। এ অবস্থায় আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব যুক্তিসংগত নয় বলে মনে করেন বিএবির সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহ্বুবুর রহমান।
করোনাকালে ব্যাংক ও গ্রাহকদের বাঁচাতে বাজেটে আবগারি শুল্কের এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান অর্থনীতিবিদেরা। বাস্তবতা বিবেচনা করে অর্থ মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করবে বলে আশা সব পক্ষের।
প্রসঙ্গত, ২০২০–২১ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী ব্যাংকে ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা জমা হওয়ার বিপরীতে আবগারি শুল্ক বর্তমান আড়াই হাজার টাকা থেকে ৫০০ টাকা বাড়িয়ে তিন হাজার টাকার প্রস্তাব করেছেন। ১ কোটি টাকা থেকে ৫ কোটি পর্যন্ত জমা থাকার ক্ষেত্রে তিনি এই শুল্ক ১২ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব রেখেছেন। আর ৫ কোটি টাকার বেশি জমার ক্ষেত্রে ১৫ হাজার বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা কেটে রাখার কথা বলেছেন তিনি, যা এখন ২৫ হাজার টাকা।
পি
মন্তব্য করুন