• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নগদ ৫০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ছাড়ছে

আরটিভি নিউজ

  ২৮ জুলাই ২০২১, ২১:২৫
নগদ ৫০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ছাড়ছে

দেশে প্রথমবারের মতো ৫০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে ডাক বিভাগের আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত বাংলাদেশে বিনিয়োগ মেলায় সোমবার এই বন্ড ছাড়ার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। জিরো কুপন বন্ডটির অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং ট্রাস্টি হিসেবে গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড দায়িত্ব পালন করছে।

নগদ বলছে, দেশের কোনো ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানির প্রথম বন্ড হিসেবে অনুমোদন পেলে এটি। পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে যার অভিহিত মূল্য বেড়ে ৭৫০ কোটি টাকা হবে। এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে বিদেশিদের কাছ থেকে ‘ব্যাপক সাড়া’ পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে কিউ গ্লোবাল নামে যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল কোম্পানি ৩ কোটি ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।

নগদের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে বন্ডের বিষয়ে বিএসইসি’র কাছে প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে নগদ। বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ প্রতিষ্ঠানটি তাদের ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ, নেটওয়ার্ক তৈরি, কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, আইটি সরঞ্জাম সংগ্রহ, বিপণন ও প্রচারের কাজে খরচ করবে।

এ বিষয়ে নগদ'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কো-ফাউন্ডার তানভীর এ মিশুক বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে বন্ডের বাজারও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা বন্ডকে আরো একটি উৎস হিসেবে বিবেচনা করছি। তাছাড়া ‘নগদ’ সবসময়ই উদ্ভাবনী কোম্পানি হিসেবে অগ্রযাত্রা ধরে রেখেছে এবং সে কারণেই আমরা প্রথাগত অর্থায়নের চেয়ে বন্ডের বাজারকে বেশি পছন্দ করছি।

তানভীর আরও বলেন, একটি দ্রুত বর্ধনশীল কোম্পানি হিসেবে মাত্র দুই বছরের মধ্যে নগদ ৫ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহক পেয়েছে যা অত্যন্ত বড় এক অর্জন। অগ্রগতির এই গতি ধরে রাখতে, নতুন ডিজিটাল ইকোসিস্টেম এবং অবকাঠামো তৈরি করা অপরিহার্য। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবা হিসেবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভিশন বাস্তবায়নে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই বিনিয়োগ সেটিকে আরো অগ্রগতি দেবে এবং আরো বেশি মানুষকে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে। শেষ পর্যন্ত এটি ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার, বিশেষত ঋণ বাজারের উন্নয়নে কাজ করছে বিএসইসি, যা আমাদের শিল্প ও অবকাঠামোর দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োজনে অর্থায়নের জন্য অত্যাবশ্যক। আশা করি ‘নগদ’-এর বন্ড বাজারে আসা আমাদের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি, রাষ্ট্র মালিকানাধীন সংস্থা এবং অন্যান্য কোম্পানিকে উৎসাহিত করবে। একই সঙ্গে এটি অনুকূল অর্থায়ন কৌশল তৈরি করবে যা কোম্পানিগুলোর অগ্রযাত্রা ও টেকসই উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে। নগদ'র বন্ড ইস্যু করার উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং মূলধন বাজারের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়।

বিনিময়ে কোনো বন্ডে মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় পর পর সুদ দেওয়া হয়, যেগুলোকে নিয়মিত বন্ড বলা হয়। আর কোনোটিতে সুদ দেওয়া হয় না। কিন্তু অভিহিত মূল্যের চেয়ে ছাড় দিয়ে বিক্রি করা হয় এবং মেয়াদ শেষে পুরো অভিহিত মূল্য ফেরত দেওয়া হয়। এগুলোকে জিরো কুপন বন্ড বলা হয়।

বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ প্রয়োজনীয় ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ, নেটওয়ার্ক তৈরি, কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, আইটি সরঞ্জাম সংগ্রহ, বিপণন ও প্রচারের কাজে খরচ করবে নগদ।
বিএসইসি বন্ড ছাড়ার বিষয়ে ‘প্রাথমিক অনুমোদন’ দিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে নগদ।

‘নগদ’-এর বন্ড বিষয়ক ঘোষণা দেওয়ার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের (অর্থ বিভাগ) সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, নগদ এর চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. কামাল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ)-এর নির্বাহী চেয়ারমান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, কিউ গ্লোবাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন ল্যান্ডম্যানসহ বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে বিএসইসি বিনিয়োগ বিষয়ক এই রোডশো’র আয়োজন করেছে, যেখানে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি ছাড়াও প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীরা অংশ নিচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের চারটি শহর নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলেস (ক্যালিফোর্নিয়া) এবং সিলিকন ভ্যালিতে (স্যান্টা ক্লারা) ২ আগস্ট পর্যন্ত চারটি রোডশো অনুষ্ঠিত হবে।

এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • ব্যাংক-বীমা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বেনজীর ও তার পরিবারের নগদ অর্থের তথ্য চেয়েছে দুদক
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ
শেষ মুহূর্তে ট্রেনে অতিরিক্ত চাপ, ছাদে চড়েই ঢাকা ছাড়ছেন অনেক যাত্রী
X
Fresh