আরটিভি নিউজ
১১ জানুয়ারি ২০২১, ২৩:১৯
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২১, ২৩:৩১
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২১, ২৩:৩১
ভুয়া শিরোনামে উত্তরা ফিন্যান্সে বিপুল অর্থ উত্তোলন করেছেন পরিচালকরা

ভুয়া শিরোনামে উত্তরা ফিন্যান্সে বিপুল অর্থ উত্তোলন করেছেন পরিচালকরা
জানা গেছে, উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের বিগত ২০১৯ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর ওপর পরিদর্শনে নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দল তদন্ত চালাতে গেলে বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। বিভিন্ন খাতে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা থাকায় তথ্য দিতেও গড়িমসি করে উত্তরা ফিন্যান্স। ফলে প্রতিষ্ঠানটির মাত্র এক বছরের আর্থিক বিবরণী পরিদর্শনে তিন মাসেরও বেশি সময় লাগে। পরিদর্শনে উত্তরা ফিন্যান্সের অনিয়ম ও দুর্নীতি বেরিয়ে এলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন আটকাতে একটি প্রভাবশালী গ্রুপের মাধ্যমে চেষ্টাও চালানো হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের হস্তক্ষেপে তা আর সম্ভব হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের লেজার ব্যালেন্সে ৩ হাজার ৮০২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা রয়েছে। অথচ ব্যাংকটির বার্ষিক হিসাব বিবরণীতে ১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা লিজ অর্থায়ন বা ঋণের তথ্য আছে। আবার এক হাজার ৮৭৭ কোটি ২১ লাখ টাকার মেয়াদি আমানত দেখানো হয়েছে আর্থিক বিবরণীতে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক দুই হাজার ৬০৩ কোটি ২০ লাখ টাকার মেয়াদি আমানতের তথ্য পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের এমডির গাড়ি, বাড়ি, বিদেশ ভ্রমণে ২৪ কোটি টাকা তুলেছেন। যা ব্যাংকের আর্থিক বিবরণীতে উল্লেখ নেই। উত্তরা ফিন্যান্সের বক্তব্য: কোম্পানির পক্ষ থেকে পরিদর্শক দলের কাছে এসব অনিয়মের দায়ভার চাপানো হয়েছে উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) উত্তম কুমারের ওপর, যিনি সম্প্রতি মারা গেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকৃত সত্য আড়াল করতে সব অনিয়মের দায়ভার মৃত উত্তম কুমারের ওপর চাপানো হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. এম এম আকাশ আরটিভি নিউজকে বলেন, উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডসহ দেশের অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নাজুক অবস্থা। এসব বিষয়ে আমরা যারা আলোচনা করছি, এতে লাভ হচ্ছে না। যারা অনিয়ম ও দুর্নীতি করার দরকার তারা এসব আলোচনা বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেন না। এফএ