কৃষিপণ্যের মূল্য কৃৃষককেই নির্ধারণ করতে দিতে হবে: ড. এম এম আকাশ
উৎপাদক পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করলেও কৃষিপণ্যের মূল্য কৃষক নির্ধারণ করে না। ফলে কৃষক পণ্যের ন্যায্যমূল্যের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। করোনাকালে দেশকে বাঁচাতে কৃষি ও কৃষক বাঁচাতে হবে। তাদের বাঁচাতে চাইলে কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ তাদেরকেই করতে দিতে হবে। এমন দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ ড. এম এম আকাশ।
রোববার (২৮ জুন) দুপুরে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা বারসিক ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)র যৌথ উদ্যোগে করোনাকালীন কৃষি বাজেটের স্ট্রিমইয়ার্ডে এক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
আলোচনার শুরুতেই সূচনা বক্তব্য দেন বারসিকের পরিচালক ও গবেষক পাভেল পার্থ। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হন কৃষি পদকবিজয়ী কয়েকজন কৃষক।
আলোচনায় অংশ নেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আবু নাসের খান, সাংবাদিক তৈমুর ফারুক তুষারসহ আরও অনেকে।
ড. এম এম আকাশ বলেন, ধান কেনার ক্ষেত্রে সরকার যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তা কম হলেও ভালো। কিন্তু সরকার ধান খুব কম কিনছে। চাল কিনছে রাইস মিল থেকে। এতে কৃষককে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে রাইস মিলে। ফলে দাম পাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা।
তিনি বলেন, ধান উৎপাদকরাই হবে চাল কলের মালিক। সমবায় সমিতির মধ্য দিয়ে চাল কল স্থাপন করতে হবে। এতে করে চাল কলেই তারা ধান দিতে পারবে। চালের দামও তারা পাবে।
তিনি বলেন, কৃষি খাতে বৈচিত্র দরকার। বেশি দাম যেসব ফসলের, সেসব উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে কৃষকের। অনথায় কৃষকের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হবে না। এক্ষেত্রে বর্গা চাষীদের ব্যাংক লোন দিতে হবে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আবু নাসের খান বলেন, কৃষক যাতে বাজারে সুবিধা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। অর্গানিক এগ্রিকালচারের এগিয়ে তাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করত হবে। অর্গানিক কৃষি হলে মানুষ পুষ্টি পাবে পরিপূর্ণভাবে।
তিনি বলেন, সরকারের যে প্রকল্প- গ্রাম শহর হবে। এটা করা উচিত হবে না। বরং গ্রাম গ্রামই থাকবে। শহর শহরই থাকবে। গ্রামের ভালো মানের কৃষি পণ্য উৎপাদন করতে হবে। মার্কেটিং সিস্টেম নিশ্চিত করতে হবে।
ইনটেনসিভ কালটিভশেনের গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ই মার্কেটিং, সমবায় সমিতি প্রভৃতি এগিয়ে নিতে হবে। সবচেয়ে জরুরি সংরক্ষণাগার। এটা সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে এটা খুবই জরুরি।
এসজে
মন্তব্য করুন