• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

১ বছরে গ্রাহক অভিযোগ ৪ হাজার ৫৩০

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৯:২৬

গ্রাহক হয়রানির ছকে বন্দি দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো। এরমধ্যে অভিযোগের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সরকারি ব্যাংকগুলো। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গেলো অর্থবছরে গ্রাহকদের ৪ হাজার ৫শ’ ৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযোগ সেলে। এরমধ্যে ২ হাজার ৩শ’ ৮৪টি অভিযোগ ফোনে ও ২ হাজার ১শ’ ৪৬টি অভিযোগ লিখিতভাবে করা হয়।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রাহকস্বার্থ সংরক্ষণের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য’ই উঠে আসে।

এছাড়া গেলো পাঁচ বছরে ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এসেছে ১৯ হাজার ৪শ’ ৫০টি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩ হাজার ৯শ’ ৩০টি, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৪ হাজার ৪৭৬ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৪ হাজার ২শ’ ৯৬টি অভিযোগ করেছিলেন গ্রাহক।

বেশি অভিযোগে থাকা ব্যাংকগুলো হচ্ছে, সোনালী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক।

শতাংশ অনুসারে দেখা যায়, বেশি অভিযোগ এসেছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে ৫৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে ২৮ দশমিক ২৮ শতাংশ, বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ, এনআরবি ব্যাংকের বিরুদ্ধে শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ অভিযোগ এসেছে।

ক্রমানুসারে অভিযোগ বেশি আসে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৫শ’ ৬৩টি, ব্র্যাক ব্যাংকের বিরুদ্ধে মোট ৩শ’ ৭৩টি, অগ্রণী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ২শ’ ৯১টি, ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ২শ’ ৬৮, জনতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে ২শ’ ৩১টি, ডাচ্-বাংলার বিরুদ্ধে ২শ’ ০৪টি, কৃষি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ১শ’ ৮৪টি, পূবালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ১শ’ ৩২টি, রূপালীর ব্যাংকের বিরুদ্ধে ১শ’ ৩১টি এবং ইস্টার্ন ব্যাংকের বিরুদ্ধে ১শ’ ২৬টি অভিযোগ পড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে।

বিষয় ভিত্তিক অভিযোগে দেখা যায়, ঋণ ও অগ্রিম-সংক্রান্ত ৩শ’ ৫৮, কার্ড-সংক্রান্ত ১শ’ ৪৭, রেমিট্যান্স-সংক্রান্ত ১শ’ ২৭, মোবাইল ব্যাংকিং-সংক্রান্ত ৫৮, ট্রেড বিল-সংক্রান্ত ৩১, ব্যাংক গ্যারান্টি-সংক্রান্ত চার ও বিবিধ অভিযোগ ছিল ৫শ’ ৪৩টি। এছাড়া টেলিফোনে সাধারণ ব্যাংকিং-সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১শ’ ১৬টি।

এ অভিযোগের পরিপেক্ষিতে প্রতিবেদন প্রকাশকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছিলেন, দেশের জনগণ বিশ্বাস করে ব্যাংকে টাকা রাখেন। বিশ্বস্ততার সঙ্গে তাদের সেবা দেয়া উচিত। অভিযোগ ও অসন্তুষ্টি অনাকাঙ্খিত। অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। আন্তরিকতার সঙ্গে সেই অভিযোগ সমাধান করতে হবে। গ্রাহকের বেশিরভাগ অভিযোগ নিষ্পতির কথা বলেন তিনি।

গ্রাহক হয়রানি বন্ধ ও অর্থ সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ২০১২ সালে গঠন করা হয় ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস বিভাগ (এফআইসিএসডি)। গ্রাহকরা ‘১৬২৩৬’ নম্বরে কল দিয়ে তার সমস্যার কথা জানাতে পারে। কোনো ব্যাংক জালিয়াতি, অনিয়ম, আত্মসাত বা নিয়মবহির্ভূত কোনো কাজ করলে তাৎক্ষনিকভাবে এফআইসিএসডি বিভাগে নিষ্পতিতে কাজ করে থাকে।

এমসি/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh