• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বছরজুড়েই বেসামাল নিত্যপণ্যের বাজার (ভিডিও)

সেলিম মালিক, আরটিভি অনলাইন

  ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:০২

বছরজুড়েই বেসামাল নিত্যপণ্যের বাজার। এর মধ্যে ভোক্তাদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে পেঁয়াজ ও চালের দাম। সরকারি হিসেবে বছরের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ। আর ২৭০ শতাংশ বেড়েছে পেঁয়াজে।

বেড়েছে ভোজ্যতেল, মাংস ও রসুনের দামও। এ অবস্থায় বিশ্লেষকদের পরামর্শ, আসছে বছর নিত্যপণ্য ভোক্তার নাগালে রাখতে ব্যবস্থা নিতে হবে বছরের শুরু থেকেই।

বছরের মাঝামাঝির পর এসে হঠাৎই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশের বাজারে, ঝাঁজ বেড়ে যায়, পণ্যটির। ৩০ টাকার পেঁয়াজ ভোক্তাদের কিনতে হয় ২৫০ বা তারও বেশি টাকায়। সরকারি তৎপরতায় দাম কিছুটা কমানো গেলেও নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় কমছে দাম। তারপরও কিনতে হচ্ছে গত বছরের চেয়ে আড়াই গুণের বেশি দামে ৯০ থেকে ১০০ টাকা।

পেঁয়াজের পাশাপাশি বেসামাল হয়ে পড়ে, লবনের বাজারও। দাম বাড়তে পারে, এমন গুজবে ভোক্তারা দেদারসে কিনতে থাকে, লবন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৫ টাকার লবন বিক্রি হয় দেড়শ টাকা পর্যন্ত। যদিও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে শাস্তি আওতায় এনে, দ্রুত বাজার শান্ত করে, ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’।

চাল বাজারে অস্থিরতার শুরু বছরের প্রথম থেকে, যা বছর শেষেও চলছে। কৃষক বেশি দামে চাল বিক্রি করছে, এমন অজুহাতে গেল মাসেও প্রায় সব ধরণের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে, চার থেকে ছয় টাকা।

সারা বছর স্থিতিশীল থাকলেও শেষে এসে বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। বোতল ও খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৪ টাকা।

সরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান টিসিবি’র তথ্যেই, (জিএফএক্স) গেল বছরের ৩৫ টাকা রসুন ১৭৮ শতাংশ বেড়ে এ বছর বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এছাড়া ময়দার দাম বেড়েছে নয় শতাংশ, মশুর ডাল ২০ শতাংশ, আলু ১০ শতাংশ, আদা ২৮ শতাংশ, গরুর মাংস ১১ শতাংশ এবং প্রায় সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে, ৩০ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বলছেন, পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে, সরকার ও ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি নিতে হবে, বছরের শুরু থেকে।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh