• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা বেড়েছে

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২৮ জুন ২০১৯, ০৯:২২
সুইস ব্যাংক

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা বেড়েছে।২০১৮ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে তহবিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ২৫ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৫ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে ছিল ৪ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সালে বৃদ্ধির পরিমাণ ২৮ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) 'ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড-২০১৮' নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নামে সে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় জমা থাকা দায় ও সম্পদের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, সে দেশের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে মোট আছে ৬১ কোটি ৭৭ লাখ সুইস ফ্রাঁ। এর সঙ্গে সম্পদ ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে আরও ৪৮ লাখ সুইস ফ্রাঁ বিনিয়োগ হিসেবে রয়েছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নামে সুইস ব্যাংকগুলোতে জমার পরিমাণ ছিল ৪৮ কোটি ১৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা ৪ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আবার ২০১৬ সালে ছিল ৬৬ কোটি ফ্রাঁ। তার আগের বছর ছিল ৫৫ কোটি ফ্রাঁ। ২০১৪ সালে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে জমা ছিল প্রায় ৫১ কোটি ফ্রাঁ। অর্থ্যাৎ প্রতি বছরই এই জমার পরিমাণ হারে বেড়েছে।

কয়েক বছর ধরে সুইস ব্যাংকে টাকার পরিমাণ নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। ২০১৭ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদকে 'অতিশয়োক্তি' বলে দাবি করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। জাতীয় সংসদে সাবেক অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে যে লেনদেন হয়, তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বাস্তবে এটি মোটেই অর্থ পাচার নয়। তবে কিছু অর্থ পাচার হয়। সেটি যৎসামান্য।

২০০২ থেকে ২০১০ সালে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের আমানতের একটি পরিসংখ্যান দেয়া হলো- ২০০২ সালে ছিল ৩ কোটি ১০ লাখ ফ্র্যাংক। ২০০৩ সালে ৩ কোটি ৯০ লাখ ফ্র্যাংক, ২০০৪ সালে ৪ কোটি ১০ লাখ, ২০০৫ সালে ৯ কোটি ৭০ লাখ, ২০০৬ সালে ১২ কোটি ৪০ লাখ, ২০০৭ সালে ২৪ কোটি ৩০ লাখ, ২০০৮ সালে ১০ কোটি ৭০ লাখ, ২০০৯ সালে ১৪ কোটি ৯০ লাখ এবং ২০১০ সালে ছিল ২৩ কোটি ৬০ লাখ ফ্র্যাংক।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh