ধানের মণে খরচ ৮০০ টাকা, দাম ৬০০!
ধানের রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন নিয়ে হতাশায় রয়েছেন কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও জয়পুরহাটের চাষিরা। শ্রমিক সংকট, ন্যায্য দাম না পাওয়াসহ মজুরি বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না তারা। সরকারের নির্ধারিত দামে লাভবান হওয়ার কথা থাকলেও তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ চাষিদের।
প্রতিবারের মত এবারো কুষ্টিয়ায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩৫ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।
তবে ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় মুখে হাসির বদলে বিষাদের ছাপ চাষিদের। লাভ তো দূরের কথা উৎপাদন খরচই উঠছে না তাদের।
চাষিরা জানান, স্বর্ণা, হিরা, আটাশ, মিনিকেটের উৎপাদন খরচ ৮০০-৯০০ টাকা হলেও, তার দাম পাচ্ছেন মনপ্রতি মাত্র ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
এদিকে সরকার প্রতিবছরের মত এবারও আপদকালীন চাল ও ধান কেনা শুরু করলেও তার সুফল পাচ্ছে না চাষিরা। তাদের অভিযোগ, বেশিরভাগ ধান চালই কেনা হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী ও মিলমালিকদের কাছ থেকে।
স্থানীয় প্রশাসন বলছেন, কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনা করে আপদকালীন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান সফল করতে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ার মত একই ধরনের অভিযোগ চুয়াডাঙ্গা ও জয়পুরহাটের চাষিদের। শ্রমিক সংকট ও মজুরি বেশি হওয়ায় লোকসানে রয়েছেন তারা। এ অবস্থায় ধান কাটা নিয়ে বিড়ম্বনার অবসান ঘটানোর পাশাপাশি ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের দাবি চাষিদের।
এস/এসএস
মন্তব্য করুন