• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

শেয়ারবাজারে ৮৫৬ কোটি টাকা প্রণোদনায় লাফিয়ে বাড়লো সূচক

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৫ মে ২০১৯, ১৮:২৭

শেয়ারবাজারে তারল্য সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় ৮৫৬ কোটি টাকা ঢালছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর মাধ্যমে এই টাকার তহবিল জোগান দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার(২ মে) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি হয়েছে।

এই অর্থ পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বৃহস্পতিবার সকালে এই ৮৫৬ কোটি টাকা পুঁজিবাজারে যোগানের বিষয়ে অনুমতি চেয়ে অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদারের কাছে একটি চিঠি লেখেন।

অর্থমন্ত্রণালয় জরুরিভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রস্তাবে সায় দিয়ে বিকেলেই সম্মতিপত্র পাঠায়।

অর্থসচিবের কাছে পাঠানো গভর্নরের চিঠিতে বলা হয়েছিল, পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়েগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ২০১২ সালের ৫ মার্চ সরকার ঘোষিত প্রণোদনা স্কিমের আওতায় ৯০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়েছিল। যার মেয়াদ ছিল ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

পরে এই তহবিলের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসি এবং আইসিবর সমন্বয়ে গঠিত ‘তদারকি কমিটি’র তত্ত্বাবধানে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের মধ্যে তহবিল বিতরণের শর্তানুসারে তিন কিস্তিতে (প্রতি কিস্তি ৩০০ টাকা) তহবিলের ৯০০ কোটি টাকা আইসিবির মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।

বর্তমানে ওই তহবিল থেকে বিতরণ করা ঋণের সুদ-আসল হিসেবে আদায় করা ৮৫৬ কোটি আইসিবি কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট হিসাবে জমা করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খানের সই করা ওই সম্মতিপত্রে বলা হয়, বর্তমান পুঁজিবাজারে লেনদেনের নিম্নগতির ধারা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সুদ ও আসল হিসেবে আদায়কৃত মোট ৮৫৬ কোটি টাকা আবর্তনশীল ভিত্তিতে পুনঃব্যবহারে সম্মতি দেয়া হলো।

এতে আরও বলা হয়, এই তহবিলের হতে আইসিবির মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের সুবিধাভোগী ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ছাড়াও বিস্তৃততর পরিসরে ( মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ ইত্যাদি মূলধন বাজারের অন্যান্য মধ্যবর্তী পক্ষগুলোসহ) তারল্য যোগানের সম্ভাব্যতা নির্ধারণের জন্য বিএসইসি, আইসিবি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বিদ্যমান তদারকি কমিটিকে ন্যস্ত করা হলো।

২০১০ সালে ধসের পর ওই তহবিল গঠন করা হয়েছিল।

আগের তহবিলের মতোই ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ৯ শতাংশ সুদে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউস থেকে এ তহবিল থেকে ঋণ পাবেন।

আইসিবি থেকে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউস এ ঋণ পাবে ৭ শতাংশ সুদে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক আইসিবিকে তা দিচ্ছে ৫ শতাংশ সুদে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই প্রণোদনার পর আজ সপ্তাহের শুরুতে অনেকটা ফুলে ফেঁপে উঠে দেশের পুঁজিবাজার। দেশের দুই পুঁজিবাজারেই এদিন উল্লম্ফন ভাব দেখা যায়।

দিনশেষে আজ ডিএসইর প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১০৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৯৪ পয়েন্টে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল আজকের চেয়ে সূচক বেশি বেড়েছিল। ওইদিন ডিএসইএক্স বেড়েছিল ১৫০ পয়েন্ট।

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে আজ ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৪০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৫৩৫ কোটি ৯৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকার শেয়ার ও বন্ড। যা গতদিনের চেয়ে ৬০ কোটি টাকা বেশি।

গত বৃহস্পতিবার এ বাজারে লেনদেন হয় ৪৭৫ কোটি ২৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকার শেয়ার।

আজ ডিএসইতে ৩৪৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড অংশ নেয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৯২টির, কমেছে ৩৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৪২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৫০৩ পয়েন্টে। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ২৫৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২১৭টির, কমেছে ৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির।

এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রমজানে পুঁজিবাজারে লেনদেনে নতুন সময়সূচি
ক্রমাগত পতনের পর চাঙ্গা পুঁজিবাজার
৩৫টি বাদে সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠে গেল
X
Fresh