• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

একদিকে দরপতন, আরেকদিকে অনশন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৫৭

শেয়ারবাজারে কোনোভাবেই দরপতন ঠেকানো যাচ্ছে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থার দফায় দফায় বৈঠক, জরুরি বৈঠকেও সূচক-লেনদেন নিম্নমুখী। সপ্তাহের শুরুর দিনের মতোই আজও শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে।

অন্যদিকে, দরপতনের মধ্যেই প্রতীকী গণঅনশন করেছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।

সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরু থেকেই টানা নামতে থাকে সূচক। লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।

আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৯৮ কোটি ৬১ লাখ ৮ হাজার টাকা।

দিন শেষে আজ ঢাকার বাজারের সবকটি সূচকই ছিল নিম্নমুখী। ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৬৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে। যে অংক এখান থেকে অন্তত ২৭ মাস আগের অবস্থানে। ডিএসইতে আজ লেনদেনে অংশ নেয়া ২১৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে মাত্র ৮৬টির। আর অপরিবর্তিত আছে ৪৪টির।

এদিকে দরপতনের দিনেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে প্রতীকী অনশন করেছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। দরপতন ঠেকাতে বাজারে সংস্কার আনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সকাল ১১টায় প্রতীকী গণ-অনশন শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। এসময় তারা ১২ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো:

১. বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেনসহ সকল ‘দুর্নীতিবাজ’ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করতে হবে।

২. যে সমস্ত কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করেছে এবং করবে ওই সমস্ত কোম্পানিকে বাধ্যতামূলকভাবে ন্যূনতম ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিতে হবে, জেড ক্যাটাগরি এবং ওটিসি মার্কেট বলতে কোনও মার্কেট থাকতে পারবে না।

৩. দুর্বল কোম্পানির আইপিও প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।

৪. খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. যে সকল কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের এককভাবে ২ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৬. পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধির জন্য সহজ শর্তে অর্থাৎ ৩ শতাংশ সুদে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। যা আইসিবি, বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে ৫% হারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লোন হিসেবে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন।

৭. পুঁজিবাজারে প্রাণ মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে পুঁজিবাজারে সক্রিয় করতে বাধ্য করতে হবে এবং প্রত্যেক ফান্ডের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে কমপক্ষে ১০% হারে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে এবং মেয়াদ না বাড়িয়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে ওপেন ফান্ডে রূপান্তর করতে হবে।

৮. পুঁজিবাজারে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিত্ব (বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ) নিশ্চিত করতে হবে।

৯. ফিন্যান্সিয়াল রিপোটিং অ্যাক্ট ২০১৫ বাস্তবায়ন এবং বাইব্যাক আইন চালু করতে হবে।

১০. আইপিও’র শেয়ারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৮০% কোটা দিতে হবে।

১১. জানুয়ারি ২০১১ সাল থেকে জুন ২০১৯ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোনের সুদ সম্পূর্ণ মওকুফ করতে হবে।

১২. ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিপরীতে বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ নামে বিকল্প স্টক এক্সচেঞ্জ করতে হবে, এতে কারসাজি করা যাবে না।

তবে লেনদেনের পুরো সময় অনশন চলার পর বিনিয়োগকারীদের অনশন ভাঙ্গান বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাংসদ রাশেদ খান মেনন।

এদিকে দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দেখা গেছে দরপতনের একই রকম চিত্র। সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ১০৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৬০২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৩টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ১৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।

আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা।

এস/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজধানীতে অর্ধেকে নেমেছে তরমুজের দাম
বিশ্ববাজারে কমে চলেছে সয়াবিনের দাম 
স্বর্ণের দাম কমলো বিশ্ববাজারে
রেকর্ড সৃষ্টির পর কমেই চলেছে স্বর্ণের দাম
X
Fresh