• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইগলু ফেস্টের আজ শেষদিন

৯ জনে খেলেন ১৫০ কাপ আইসক্রিম!

শাহীনুর রহমান, আরটিভি অনলাইন

  ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:০৪
ফাইল ছবি

অফুরন্ত আইসক্রিম। এক কথায় আনলিমিটেড। যত খেয়ে পারেন। রাজধানীতে আইসক্রিমপ্রেমীদের জন্য এমন আইসক্রিম রাজ্যের ব্যবস্থা করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ইগলু। ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) চলছে তিনদিনের এই উৎসব। আজই উৎসবের তৃতীয় বা শেষ দিন।

শুক্রবার ছুটিরদিনে আইসিসিবিতে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, ভেস্টিভ্যালে আইসক্রিমপ্রেমী ও দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। কেউ আসছেন শুধু আইসক্রিম খেতে আবার কেউ আসছেন ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন দেখতে।

রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডে নেমে সেখান থেকে ২০ টাকা রিকশা ভাড়া বা পায়ে হেঁটে এই উৎসবে যোগ দেয়া যাবে। আইসিসিবির হল-২ তে এই ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার এটি শুরু হয়। আজ রাত ৯টায় অনুষ্ঠানের পর্দা নামছে।

তিন দিনের এই উৎসবে সবাই ইচ্ছে মতো আইসক্রিম খেতে পারবেন। তবে তার জন্য এন্ট্রি ফি দিতে হবে।বয়স্কদের জন্য এই ফি জনপ্রতি ৫০০ টাকা আর বাচ্চাদের জন্য ৩০০ টাকা।

ভেস্টিভ্যালে ঢুকতে গেটের পাশেই মিলবে টিকিট।

ফির টাকা বিকাশে পেমেন্ট করলে বা রবির ধন্যবাদ গ্রাহক হলে অথবা শিক্ষার্থী হলে তার জন্য ২০ শতাংশ ছাড় থাকছে।

ইগলুর জিডিটাল মার্কেটিংয়ের এক্সিকিউটিভ গাজী মহসিনা রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন,ভেস্টিভ্যালে সারাদিন ভিড় লেগে আছে, তবে শুরুর দিন সকালের দিকে মানুষ কিছুটা কম ছিল। সন্ধ্যায় নগরবাউল জেমসের পরিবেশনায় দর্শকদের ভিড় ছিল উপচেপড়া। আর ছুটির দিনে তো কথাই নেই।

তিনি বলেন,উৎসবে এসে যে যার ইচ্ছেমতো আইসক্রিম খেতে পারছে। এখানে ইগলুর সব ধরনের ব্র্যান্ড রয়েছে। আপনি চাইলে স্কুপের আইসক্রিমও খেতে পারেন। আবার চাইলে কাপ আইসক্রিমও খেতে পারেন। আমাদের কর্মীদের তো শুক্রবার দর্শকদের সার্ভিস দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে। দুপুরের পর আইসিসিবি যেন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।

দর্শকদের আইসক্রিম দেয়ার কাজে ব্যস্ত এক কর্মী জানান,কেউ দাঁড়িয়ে আইসক্রিম খাচ্ছেন আবার কেউ মেঝেতে বসে গ্রুপ নিয়ে পরিবারসহ আইসক্রিম খাচ্ছেন।

মহসিনা রহমান বলেন, একটি গ্রুপে থাকা ৯ জন মিলে ১৫০ স্কুপ আইসক্রিম শেষ করেছেন।

তিনি আইসক্রিমপ্রেমীদের দ্রুত ভেস্টিভ্যালে আমন্ত্রণ জানান। কারণ আজই শেষ হচ্ছে তিনদিনের এই উৎসব।

শুধু আইসক্রিম নয়, মনকে চাঙ্গা করতে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে গানের। যাতে আইসক্রিম খেতে খেতে প্রিয় শিল্পীর লাইভ গান শোনা যায়।

প্রথম দিন ছিল গুরু জেমসের পরিবেশনা। দ্বিতীয় দিন অর্নব ও ব্যান্ড আর্টসেল। আজ শেষদিনে থাকছে মিনার ও সোলস।

শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে ইগলু নিবেদিত ছোট ছোট প্রতিযোগিতা। এসব প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উপস্থিতির মনকে মাতিয়ে তোলা হচ্ছে। এমনই একটি আয়োজন ছিল সর্বোচ্চ আইসক্রিম খাওয়া উপস্থিতির মধ্যে প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় সেরাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

গাজীপুর থেকে আসা লিজা নামের এক তরুণী জানান, এটি আইসক্রিমপ্রেমীদের জন্য আসলেই একটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান। রাজধানীতে এ ধরনের অনুষ্ঠান মাঝে মাঝে হওয়া দরকার; যেখানে পরিবারসহ অংশগ্রহণ করা যায়।

এস/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গরমে স্বস্তি পেতে কাঁচা আমের ললি
X
Fresh