• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বাজারে নতুন মোড়কে পুরোনো খেজুর

রাফিয়া চৌধুরী ,আরটিভি অনলাইন

  ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:১৩
ফাইল ছবি

খেজুর ছাড়া যেনো ইফতারই হয় না। সারাদিন রোজা রাখার পর খেজুর দিয়ে মুসল্লিরা ইফতার করতে স্বস্তি পান। অথচ ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও পঁচা খেজুরে বাজার সয়লাব।

র‌্যাব ও ভোক্তা অধিকারের বিভিন্ন অভিযানে দেখা গেছে ব্যবসায়ীরা দুই তিন বছর ধরে মজুদ করে রেখেছে খেজুর। প্যাকেটের গায়ে স্টিকার এবং মেয়াদের তারিখ নতুন করে বসনো হয়েছে।

এছাড়া বিদেশ থেকে খোলা খেজুর আমদানি করে মনোরম প্যাকেটে মুড়িয়ে ১০ গুণ বেশি দামে বিক্রি করতে বাজারে ছাড়া হচ্ছে খেজুর।

বিভিন্ন আকৃতির প্যাকেটে বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ডের নাম লেখা এসব খেজুর পাইকারি বাজার থেকে শুরু করে ছোট ও ফুটপাতের দোকানেও বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা সরল বিশ্বাসে কেবল মোড়কে আকৃষ্ট হয়ে ৬০ টাকার খেজুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় কিনে প্রতারিত হচ্ছেন।

র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমরা রমজান মাস উপলক্ষ্যে গত দুই মাস ধরে বিভিন্ন হিমাগারে অভিযান চালাচ্ছি। এসব অভিযানে গত দুই তিন বছর আগের আমদানিকৃত মজুদ খেজুর পাওয়া গেছে। পুরোনো খেজুর নতুন মোড়কে বাজারে ছাড়া হচেছ।

এছাড়া এক ধরণের সিরাপ উদ্ধার করা হয়েছে। যেটি খেজুরের রস দিয়ে তৈরি হয়। এটি স্প্রে করলে পুরোনো খেজুর চক চক করে।এটাকে ডেট শিরাপ বলে । এগুলো ল্যাব টেস্ট করা ছাড়া ধরা মুশকিল।

গত দুই সপ্তাহে ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বিভিন্ন হিমাগার থেকে দুই বছরের আগের বিপুল পরিমাণ খেজুর জব্দ করা হয়েছে।

বাদামতলী এক হিমাগার থেকে ৬ মণ খেজুর জব্দ করা হয়। তেজগাঁও শিকাজো হিমাগার থেকে ১২০০ শো মণ, কাঁচপুরে হাজী সেলিমের হিমাগার থেকে ৩১মণ এবং ফরাশগঞ্জ হিমাগার থেকে ১১০ টন মেয়াদর্ত্তীণ খেঁজুর জব্দ করা হয়েছে।

খুচরা বাজার ঘুরে সরজমিনে দেখা যায়, রমজান মাসে ইফতারে খেজুরের বিশেষ কদর থাকায় বিক্রেতারা খেজুরের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন। ২৫০ গ্রাম পরিমাপের খেজুরের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। ৫০০ গ্রাম পরিমাপের ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা এবং ১ কেজি পরিমাপের খেজুরের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। আবার কিছু কিছু প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। খেজুরের সাইজ নাম ধরণভেদে বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন নামে ও দামে বিক্রির প্রতারণা চলছে।

কারওয়ান বাজারে খেজুরের খুচরা ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, খেজুর কতদিনের পুরনো তা আমাদের বুঝার কোনো উপায় নেই। আমরা খেজুরের আমদানিকারকদের কাছ থেকে প্যাকেটের গায়ে তারিখ দেখে কিনে নিয়ে আসি। প্যাকেটের গায়ে যে তারিখ দেয়া থাকে তা আমাদের বিশ্বাস করতে হয়। আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ীদের এর বাইরে করার কিছুই থাকে না।

বাজারে যেসব খেজুর আসছে তার প্যাকেটের গায়ে লেখা আছে মরিময়, ওমানি ডেট, ক্রাউন ডেট ও সাউদিয়া ডেটসহ নানা নাম। আমদানিকৃত দেশের নাম দেয়া আছে তিউনিসিয়া, সৌদি আরব, ইউএই, ওমান, ইরাক ও ইরানসহ বিভিন্ন দেশের নাম।

আরও উল্লেখ করা আছে বারকোড, টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বর, ই-মেইল ঠিকানাসহ নানা লেখা। বাস্তবে সব কিছুই ভুয়া।

আরসি/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রমজান মাসে ৪ বিশেষ আমল
বিনাশুল্কে মদ আমদানির তথ্যটি ভিত্তিহীন (ভিডিও)
কমছে পেঁয়াজের দাম, নেমেছে অর্ধেকে
ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভা বৃহস্পতিবার
X
Fresh