• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

সাংবাদিক দেখলে পেঁয়াজের দাম ১৭ টাকা, না হয় ২১ টাকা

মিথুন চৌধুরী, আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২০ এপ্রিল ২০১৯, ২০:২৯

পবিত্র রমজান শুরু হতে এখনো কয়েক সপ্তাহ বাকি। কিন্তু এরইমধ্যে পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত কয়েকদিনে পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭টাকা ও গরুর মাংস কেজি প্রতি বেড়েছে ৫০ টাকা।

শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গণমাধ্যমের আইডি কার্ড ব্যবহার করে বাজারে পেঁয়াজের দাম জানতে চাইলে আড়তদাররা কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজের দাম জানান ১৭ থেকে ১৮ টাকা, প্রতি কেজি আমদানী পেঁয়াজের দাম জানান ১৬ থেকে ১৭ টাকা।

আর ক্রেতা সেজে আড়তদারদের কাছে দাম জানতে চাইলে তারা বলেন, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২১ থেকে ২২ টাকা, আমদানী করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২০ টাকা।

আবার একই বাজারে গণমাধ্যমের আইডি কার্ড ব্যবহার করে পাইকারদের কাছে দাম জানতে চাইলে তারা বলেন, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছে ২০ থেকে ২২ টাকা। ক্রেতা সেজে দাম জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম জানান ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

যেসব ব্যবসায়ী দাম চেয়েছেন তাদের কাছে পরিচয় প্রকাশ করে বাড়তি দাম চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, বেশি দামে তাদের পণ্য বিক্রি করছেন না। আড়তদারদের থেকে বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। পাশাপাশি সকল ব্যবসায়ী একটি নিদিষ্ট দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে আসছেন। এর মাঝে দুই এক টাকা কেউ চাইলে ছাড় দিতে পারেন।

রুহল আমিন নামে একজন পাইকারী ব্যবসায়ী জানান, আড়তদাররা রমজানের কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। এতে করে পাইকারদের সাথে খুচরা ক্রেতাদেরও ঝগড়া সৃষ্টি হচ্ছে। আড়তদাররা পেঁয়াজের দাম না কমালে পাইকারী ব্যবসায়ীরা দাম কমাতে পারবে না। পাইকাররা লাভ সীমিত করে কিন্তু পাড়া মহল্লার দোকানীরা খেয়াল খুশি অনুসারে দাম বাড়িয়ে তুলে। এ জন্য দরকার সরকারের পর্যাপ্ত মনিটরিং।

এদিকে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পাড়া মহল্লায় পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুদি দোকানে আরও বেশি টাকা নেয়া হচ্ছে।

পেঁয়াজ কিনছিলেন ব্যাংকার শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত সপ্তাহেও বাজার করলাম, পেঁয়াজের দাম এত ছিল না। বাজারে এসে দেখি দাম প্রচুর বেড়েছে। বিভিন্ন উৎসবের আগে বেশি দামে পণ্য বিক্রির নজির বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কেবল পেঁয়াজ নয়, মুরগির বাজারও চড়া। মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া মুরগির দাম আগের মতোই আছে। এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২২০, পাকিস্তানি কর্ক ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব মুরগির মাংস দুই মাস আগেই কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে পাওয়া যেত।

এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, যা গত মাসেও ছিল ৪৮০ টাকা থেকে ৫শ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।

এদিকে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। তবে পাড়া মহল্লায় এসব সবজির দাম ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে। ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৩৫ থেকে ৪০, পটল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কাকরল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, শিম ৪৫ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পাকা টমেটো ৪০ টাকা, আলু ১৮ থেকে ২০ টাকা, শশা ৩০ ও গাজর ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এমসি/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কীভাবে থামাবেন?
নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে লুটপাটে ব্যস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা (ভিডিও)
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ
রমজানের আগেই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম
X
Fresh