আগুন নেভানোর সরঞ্জাম কেনার হিড়িক
পুরান ঢাকার চকবাজার,বনানীর এফ আর টাওয়ার, এরপর গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটে আগুনের ঘটনায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। আর তার সুবাদে রাজধানীতে অগ্নিনির্বাপন সরঞ্জাম কেনার হিড়িক পড়েছে। বিশেষ করে বহুতল ভবন কর্তৃপক্ষ এখন এসব সরঞ্জামাদি কেনার জন্য দোকানে ছুটছেন।
গত কয়েকদিনে রাজধানীতে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামের দোকানগুলোতে তুলনামূলক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এদিকে এই সুযোগ নিচ্ছেন দোকানিরাও। তারা অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ফায়ার এক্সটিংগুইশারের। রাসায়নিক (এবিসি ড্রাই পাউডার) পাউডার, কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ও ফোম সিলিন্ডারও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অক্সিজেন মাস্ক, ফায়ার ড্রেস, পানির হোস পাইপ, ফায়ার বল, বালতি, ফায়ার অ্যালার্ম, ধোঁয়ার অ্যালার্ম, নিরাপত্তা বেল্ট, চশমা, হেলমেট, স্ট্রেচারসহ আগুন নেভানোর অন্যান্য সরঞ্জামেরও বিক্রি বেড়েছে।
রাজধানীর দারুসসালামে একটি ৬তলা ভবনের মালিক সুরাইয়া বলেন, আগেও আমার ভবনে অগ্নিনির্বাপক ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে তেমন সচেতন ছিলাম। কিন্তু গত কয়েকদিনে রাজধানীতে কয়েকটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমি সচেতন হয়েছি। বিশেষ করে চকবাজারের চুড়িহাট্টা ও বনানীর এফআর টাওয়ার তো রীতিমতো শিক্ষা দিয়েছে।
ঢাকার নবাবপুরের পাইকারি ও খুচরা বাজারে দেখা যায়, মান ও কোম্পানি ভেদে একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার এক হাজার ২০০ টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কম থাকায় রাসায়নিক পাউডারের এক্সটিংগুইশার বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ ধরনের ছোট আকারের একটি এক্সটিংগুইশার এক হাজার ২০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নবাবপুরের একজন পাইকারি বিক্রেতা জানান,তারা আগে যে পরিমাণ অগ্নিনির্বাপন পণ্য বিক্রি করতেন, এখন তা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। রাজধানীতে সম্প্রতি কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের পরই মানুষ সচেতন হচ্ছেন।
চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেশি নিচ্ছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাহিদা বেশি থাকলে ব্যবসায়ীরা একটু সুযোগ নেন। তবে সব ব্যবসায়ী এক নন। কেউ কেউ আগের দামেই পণ্য বিক্রি করছেন।
এস
মন্তব্য করুন