• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

কেন পুঁজিবাজারে আসতে চায় না অনেক কোম্পানি?

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৫২

আমাদের দেশের শিল্প খাত ব্যাংকভিত্তিক অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল। যখনই কোনও উদ্যোক্তার টাকার প্রয়োজন হয় তখন তারা সবার আগে ব্যাংকের কাছে যায়। এর বিশেষ কিছু কারণও রয়েছে। তবে স্বল্পমেয়াদী আমানত সংগ্রহ করে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করা ব্যাংকিংসহ অর্থনীতির জন্য খুবই বিপজ্জনক। তাই দেশর চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর জন্য পুঁজিবাজারমুখী করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্টিল এবং সিমেন্ট খাতের প্রধান নির্বাহী ও বিশেষজ্ঞরা।

ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত পুঁজিবাজারের অবকাঠামো খাতের কোম্পানি: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেছেন তারা।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিরে জাতীয় চিত্রশালা ভবনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনলাইন নিউজ পোর্টাল অর্থসূচক এই এক্সপোর আয়োজন করে।

সেমিনারে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউর রহমান বলেন, বাংলাদেশে যত কোম্পানি আছে তার মধ্যে খুব কম সংখ্যকই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। অজ্ঞতা, সামান্য ট্যাক্স সুবিধা না নেয়ার প্রবণতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীনতা হারাবার আশঙ্কায় কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হয় না। এছাড়া তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের ঝামেলা এড়াতে অনেকেই লিস্টেড হতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে কোম্পানি সম্প্রসারণের জন্য যে ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে সেরকম কোনও ঝামেলা নেই। একারণেই উদ্যোক্তারা বেশি বেশি ব্যাংকের দিকে ছোটে।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট আইন (কম্প্লায়েন্স) পরিপালন করতে পারবে না বলেই অনেক কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে চায় না বলে মন্তব্য করেন ক্রাউন সিমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ খান। এছাড়া বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনিয়ন্ত্রিত আচরণের ভয়েও পুঁজিবাজার থেকে দূরে অনেক ভালো ভালো কোম্পানি।

বসুন্ধরা গ্রুপের কোম্পানি সেক্রেটারি নাসিমুল হাই বলেন, কোনও কোম্পানি যখন তালিকাভুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারপর থেকে প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হতে তিন বছর সময় লেগে যায়। কিন্তু এই সময়টাতে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বসে থাকতে পারে না। যে কোনোভাবে তার কোম্পানি চালাতে হয়। তখন বাধ্য হয়েই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হয়।

এ বিষয়ে ইউনাইটেড সিকিউরিটিসের পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট ট্যাক্সের হার ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে পুঁজিবাজারের বাইরের কোম্পানিগুলোকে এই ট্যাক্স দিতে হয় ৩৫ শতাংশ। মাত্র ১০ শতাংশ ট্যাক্স অব্যাহতি যথেষ্ট মনে করেন না অনেকে। এছাড়া তালিকাভুক্ত হলে রেগুলেটরদের নির্দেশনায় আসার ব্যাপারে অনীহা রয়েছে পুঁজিবাজারের বাইরের ভালো ভালো কোম্পানির।

এস/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চাকরি দেবে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি, বেতন ৮৪,০০০ টাকা
সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিতে চাকরি, বেতন (গ্রেড-৪)
মদ কোম্পানির লোগো ছাড়া খেলতে নেমে প্রশংসায় ভাসছেন মোস্তাফিজ
বুধবার যেসব এলাকায় ১৫ ঘণ্টা থাকবে না গ্যাস
X
Fresh