• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাণিজ্য মেলায় ক্রেতার চেয়ে দর্শণার্থীই বেশি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ২৩:৪৫

গেল বুধবার থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৪তম আসর শুরু হয়েছে। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হলেও ক্রেতার মুখ দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। যারা মেলায় আসছেন তাদের বড় অংশই মেলায় ঘোরাফেরা করলেও তেমন কিছু কিনছেন না বলে দাবি করছেন বিক্রেতারা। তবে পণ্যের প্রসার ও প্রচারণার জন্য স্টলগুলোকে বাহারি সাজে সাজিয়েছেন অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

তবে বিক্রেতাদের কথার সাথে বেশ মিল দেখা গেছে, মেলা ফেরত ক্রেতাদের হাতে প্লাস্টিক পণ্য, মেলামাইন সামগ্রী, পোশাক-পরিচ্ছেদ ও শুকনো খাবারই বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পশ্চিম পাশের মাঠে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

বুধবার রাতে মেলা ঘুরে দেখা যায়, সব বয়সের নারী-পুরুষ সপরিবারে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে-ঘুরে দাম জানতে চাইছেন, মান দেখছেন। পণ্যের গুণগত মান বর্ণনা করতে ব্যস্ত দোকানের কর্মীরা। বিক্রি হোক বা না হোক প্রতিবারের মতোই পণ্যের প্রসার ও প্রচারণার জন্য স্টলগুলোকে বাহারি সাজে সাজিয়েছেন অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষের সংখ্যা ছিল খুব কম। মেলা ফেরত ক্রেতাদের হাতে প্লাস্টিক পণ্য, মেলামাইন সামগ্রী, পোশাক-পরিচ্ছেদ ও শুকনো খাবারই বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

মেলায় বিভিন্ন স্টলের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখনো বেচা-বিক্রি শুরু হয়নি। শুধু খাবারের দোকানগুলোয় বিক্রি চলছে। মানুষ এসে দেখছে সব। আর সব স্টল, প্যাভিলিয়নে সব ধরনের পণ্য এখন পর্যন্ত প্রদর্শন করা সম্ভব হয়নি। আগামী শুক্রবার থেকে মেলা জমজমাট হতে পারে।

মেলায় ঘুরতে আসা গৃহিণী ফারজানা আইরিন বলেন, বাণিজ্য মেলায় প্রতিবছর ঘুরতে আসি, টুকটাক কেনাকাটাও করি। আসলে এখানে কেনাকাটায় অনেক বিনোদনও বিদ্যমান। বাচ্চাদের কাপড় কিনেছি। পরে এসে আরও কেনাকাটা করব। টাকা দিয়ে জিনিস কিনব, তাই একটু দেখে-শুনে পছন্দ করে কিনতে চাই।

গুলশান এলাকা থেকে মেলায় আসা গৃহিণী সাফিয়া চৌধুরী বলেন, পণ্যের কোয়ালিটি মোটামুটি থাকলেও বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকছেন। এছাড়া পছন্দের কিছু না পাওয়ায় খাওয়া দাওয়া করে খালি হাতে বাসায় যাচ্ছি। পরে আবার আসব। তখন কিছু কিনতে পারি কিনা দেখি।

মায়ের দোয়া স্টলের বিক্রেতা রাসেল বলেন, ক্রেতারা কথা বলেই চলে যাচ্ছেন। যত বেশি ক্রেতা সেই তুলনায় বিক্রি খুবই কম। আশা করি, সামনের দিনগুলোতে বিক্রি বাড়বে।

তবে ভিড় দেখা গেছে ক্রোকারেজ পণ্যের স্টলগুলোতেও। প্রতিটি স্টলেই ওভেনসহ অন্যান্য পণ্যে বড় ধরনের ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকার কারণে মূল্যছাড় দিয়েও লাভের মুখ দেখছেন না বলে জানান অনেক স্টল মালিক।

মাসব্যাপী এ মেলা আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।

এমসি/ জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh