• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

টাকা উত্তোলন বেড়েছে ১৫০ শতাংশ

নির্বাচনী বছরে ছাড় পেয়েছে ১৪ কোম্পানির আইপিও

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:১৬

নির্বাচনী বছরে পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানির অন্তর্ভুক্তি বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে টাকা উত্তোলনও। ২০১৭ সালের তুলনায় চলতি বছরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকা সংগ্রহ বেড়েছে প্রায় ১৫০ শতাংশ।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, শিল্প উদ্যোক্তারা ২০১৮ সালে বাজার থেকে একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ মোট ১৪টি সিকিউরিটিজ প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও’র মাধ্যমে ৬০১ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ২টি কোম্পানি প্রিমিয়াম বাবদ ২৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকা মূলধন উওোলন করে।

অপরদিকে ২০১৭ সালে ২টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ মোট ৮টি সিকিউরিটিজ প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে মোট ২৪৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূলধন সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ১টি কোম্পানি প্রিমিয়াম বাবদ ৪১ কোটি ২১ লাখ টাকা মূলধন উওোলন করে।

সে হিসেবে এক বছরে আইপিওতে আসা মূলধনের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১৫০ শতাংশ।

তালিকাভুক্তির দিক থেকে ২০১৮ সালে একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ মোট ১২টি সিকিউরিটিজ ১২১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। অপরদিকে ২০১৭ সালে ৩টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ মোট ১০টি সিকিউরিটিজ ৮৩৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়।

রাইট শেয়ার ইস্যু

২০১৮ সালে ২টি কোম্পানি ১০ কোটি ৯৪ লাখ রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মোট ২৬৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূলধন সংগ্রহ করে। আগের বছর ৪টি কোম্পানি ৮৬ কোটি ৮০ লাখ রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করেছিল ১১১৪ কোটি ২ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩টি কোম্পানি প্রিমিয়াম বাবদ মূলধন উওোলনের পরিমাণ ছিল ২৪৬ কোটি ০২ লাখ টাকা।

বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন বৃদ্ধি

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্য ২০১৮ সালে ব্যাংকিং খাতের ২০টি, আর্থিক খাতের ১২টি, প্রকৌশল খাতের ২৩টি, খাদ্য ও আনুসাঙ্গিক খাতের ৬টি, জ্বালানী ও বিদ্যুত খাতের ৭টি, টেক্সটাইল খাতের ২৯টি, ঔষধ ও রসায়ন খাতের ১৪টি, সার্ভিস এন্ড রিয়েল এস্টেট খাতের ১টি, সিমেন্ট খাতের ২টি, আইটি খাতের ৪টি, ট্যানারী খাতের ২টি, সিরামিক খাতের ৩টি, ইন্সুরেন্স খাতের ২৪টি এবং বিবিধ খাতের ৭টি সহ মোট ১৫৪টি কোম্পানি ৩৫৫ কোটি ৭৬ লাখ বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩৫৫৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূলধন বৃদ্ধি করে।

অপরদিকে ২০১৭ সালে মোট ১৪২টি কোম্পানি ২৭৭ কোটি ৬৮ লাখ বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ২৭৯১ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূলধন বৃদ্ধি করে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) কে. এ. এম. মাজেদুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালে বাজার কিছুটা গতি মন্থর দেখা গেছে। আশানুরূপ গতি অর্জন করতে পারেনি। কিন্ত তারপরও দেশের পুঁজিবাজার এমন একটি মাত্রায় অবস্থান করতে পেরেছে; যার ফলে বাজারে তেমন কোনও সংকট দেখা দেয়নি।

‘এর পুরো কৃতিত্ব পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), অর্থমন্ত্রণালয় এবং পুঁজিবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট সব ব্রোকার এবং বিনিয়োগকারীদের।’

আগামী বছর বাজার আরও ভালো করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন :

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হিলিতে কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার
রাত ৮টার পর মার্কেট-দোকান বন্ধে মাইকিং, না মানলে ব্যবস্থা
বীমা দাবির ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করল ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যরেন্স
রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা: এফএসআইএন
X
Fresh