• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ফেসবুকে পাঠক প্রতিক্রিয়া

দারাজে প্রতারণার অভিযোগ ও ক্ষোভ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:২৬

অনলাইনে কেনাকাটার প্ল্যাটফরম দারাজে পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে পাঠকরা কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি আরটিভি অনলাইনের ‘দারাজে ২৯৯ টাকার পণ্যে ৩০০ টাকা ছাড়ে প্রতারণার অভিযোগ’ শীর্ষ এক প্রতিবেদন নিয়ে পাঠকরা তাদের মন্তব্য তুলে ধরেন। জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগকে তুলে ধরে গত ১১ নভেম্বর প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

ভুক্তভোগীর নাম সাজ্জাদ হোসেন শোভন। ভোক্তা অধিকারে করা অভিযোগ সম্পর্কে সাজ্জাদ বলেন, ওয়েবসাইটে পণ্যের দাম ছিল ৫৯৯ টাকা। ছাড়ের পর আসে ৩৯৯ টাকা। অর্থাৎ একটি মাউসেই কোম্পানিটি ২০০ টাকা ছাড় দিয়েছে। এক সপ্তাহ পর পণ্যটি নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠাওয়ের এক কর্মী নিয়ে আসেন।

‘তার সামনেই দারাজের প্যাকেট খুলে মাউস বুঝে পাই। পণ্য পেয়ে পাঠাওয়ের ওই কর্মীর কাছে রীতিমতো চার্জসহ (৩৯৯+৪৫) ৪৪৪ টাকা বুঝে দিই। কিন্তু ভিতরের প্যাকেট খোলার পরই দেখি, মূল দাম আরও ১০০ টাকা কম। লেখা এমআরপি ২৯৯ টাকা। মানে ৩০০ টাকা ছাড়!

সাজ্জাদ বলেন, আমি ৫৯৯ টাকার পণ্য কিনেছি। কিন্তু ডেলিভারির পর ২৯৯ টাকার পণ্য পেয়েছি। এটা কোনওভাবে হতে পারে না। দারাজের মতো প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কাজ করতে পারে না।

‘অনলাইনে কেনাকাটার প্রতি আমার আস্থা আছে। কিন্তু দারাজ আমার সঙ্গে বাটপারি করলো। আমি কেন? দারাজ কোনওভাবেই জনগণের সঙ্গে এমন প্রতারণা করতে পারে না। তারা এভাবে জনগণের আস্থা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। আমি এর বিচার চাই।’

আরটিভি অনলাইনে রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার পর কিছু পাঠক প্রায় একই ধরনের অভিযোগ ও ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেন। পাঠক প্রতিক্রিয়ার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো-

জনি বনিক নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী তার মন্তব্যে বলেন, আমার সাথেও এমন হয়েছে … বেশ অনেকদিন আগে আমি একটি স্মার্ট ওয়াচ অর্ডার করেছিলাম …

তারা আমার থেকে যে পরিমাণ টাকা রেখেছে …সেইম একই ওয়াচ অন্য সাইটে দেখি আরও অনেক কম। তারপর আরও কিছুদিন পরে দেখি … তাদের সাইটেও এর দাম অনেক কম। এগুলো দেখার কি কেউ ….?

সুমন আহমেদ জয় জানান, দারাজ অনেক ফালতু হয়ে গেছে। ৪২০ টাকার হেডফোন ২০৮০ টাকা দিয়ে ৭৯ শতাংশ ডিস্কাউন্টে ৪৯৯ টাকা বিক্রি করছে। আর আমরা জনসাধারণ অফারকে মেনে নিয়ে কিনে নিচ্ছি আর পরে দেখি এমআরপি ৪২০ টাকা।

মো. পাবেল সরকার লেখেন, এরা এক পিকচার দেখিয়ে অন্য পণ্য হাতে ধরিয়ে দেয়। আমি একটা জিন্সপ্যান্ট অর্ডার করার পর হাতে পাই অন্য জিন্সপ্যান্ট। খুব বাজে অবস্থান, এরা এইভাবেই মানুষের সাথে প্রতারণা করছে।

জোনায়েত রহিম লিখেছেন, এদের কারণেই ই-কমার্স প্লাটফর্ম থেকে দেশের মানুষের বিশ্বাস উঠে গেছে, ধ্বংস করে দিছে পুরা। দারাজ ধরতে গেলে দিনে দুপুরে ডাকাতি করতেছে।

বেলাল আহমেদ লিখেছেন, দারাজ থেকে সাবধান থাকুন। দারাজের এটা কি রকম ধান্দাবাজি! এক প্যাকেটে দুইটা প্রোডাক্ট আসার কথা, প্যাকেট খুলে পেলাম একটা প্রোডাক্ট। আর তারা আমাকে মেসেজ দিলো ফুল ডেলিভারি দিয়ে দিয়েছে। ধান্দাবাজির একটি সীমা থাকা দরকার। কাস্টমার কেয়ারে ফোন দেয়ার পর বলতেছে, যে একটা প্রোডাক্ট পেয়েছি, সেটা রিটার্ন দেয়ার জন্য, তারপর তারা দেখবে। বাজে সার্ভিস।

আজমির আহমেদ লিখেছেন, অনলাইনে ডিজিটাল বাটপারি সবাই করছে, তবে দারাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

হামিম হোসাইন প্রশ্ন করেছেন, পণ্যের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে পণ্যের ওপর ছাড় দেয়া কি প্রতারণা নয়? এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

ইকরাম উদ্দিন চৌধুরী তার মন্তব্য জানাতে গিয়ে বলেন, এভাবে অনেকের সাথে এরা ধোঁকাবাজি করে আসছে, আসলে এদের কাছ থেকে পণ্য কেনা আর না দেখে বিয়ে করার সমান কথা।

আবু জাফর লিখেছেন, নোট ৫ এর একটি মোবাইল কেস বসুন্ধরা সিটিতে ২৫০ টাকা আর দারাজে ৫০০ টাকা লিখে সেখান থেকে ছাড় দিয়ে ২৯৫ টাকা। ওরা ডাকাত।

মো. আরিফুর রহমান সুজন লিখেছেন, ৮৫% অতিরিক্ত দাম দেখিয়ে ৮৩% ডিসকাউন্ট। ভোক্তা অধিকার দপ্তরে মামলা করা উচিৎ। বিজ্ঞাপন এর সিস্টেম দেখেন( লুফে নিন ৮৩% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট , মেগা ভাউচার ডিসকাউন্ট, ৩০% ইনস্ট্যান্ট বিকাশ ক্যাশব্যাকসহ আরো অনেক অফার শুধুমাত্র দারাজ এপে !)

নাদিয়া নাদিমা লিখেছেন, আমি যে ট্রিমার ৩২০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম, সেটাই দারাজ এর মেগা সেলে ৩২৯৯ টাকা থেকে ৮৩ শতাংশ ছাড় দিয়ে ৪৯৯ টাকা এসেছে। … মেগাসেল।

এফএম নুরুদ্দিন লিখেছেন, আমি একটা লিচি অলিভা অয়েল কিনেছি ৩৬৬ টাকা নিয়েছে, কিন্তু আমাকে যেটা পাঠানো হয়েছে তার গায়ে লেখা ২৫০ টাকা, কি ধরনের জালিয়াতি।

আরও পড়ুন :

এসআর/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হল না ছাড়ার ঘোষণা চুয়েট শিক্ষার্থীদের, অবরুদ্ধ উপাচার্য
আন্দোলনের জেরে চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
জিআই স্বীকৃতি পেল টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্য 
৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ
X
Fresh