• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

এনবিআরের সনদ ছাড়া নির্বাচনে অযোগ্যের প্রস্তাব

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১২ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:২২

কর পরিশোধে সক্ষম ব্যক্তিকে নির্বাচনে অংশ নিতে হলে এনবিআরের সনদ লাগবে। সনদ ছাড়া তাকে নির্বাচনে যোগ্য বলে বিবেচিত করা হবে না। এমন প্রস্তাব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমার আগে রিটার্নিং অফিসারের কাছে আয়কর পরিশোধসংক্রান্ত সনদপত্র এবং আয়কর বিবরণীর সনদপত্র জমা দিতে হবে।

প্রার্থী যে কর অঞ্চলের আওতায় পড়ছেন, তাকে সেখানকার কর কমিশনারের কাছ থেকে এসব সনদপত্র নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থী এনবিআরের পাওনা রাজস্বের ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলে এবং বাকিটা পরিশোধে সময় জানিয়ে এনবিআরের কাছে অঙ্গীকার করলে সনদ দেয়া হবে।

তবে ১৩ নভেম্বর শুরু হওয়া আয়কর মেলায় এসে কর পরিশোধ করলে পাওনা রাজস্বের ২০ শতাংশ পরিশোধ করলেই হবে।

রোববার এনবিআর থেকে এসব প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে জানা গেছে।

এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, অনেকে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বকেয়া রেখে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। করযোগ্য নয় বলে অনেকে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। রাজস্ব পরিশোধে বাধ্য করতে এবং স্বচ্ছতা আনতে জরুরি ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রার্থীদের আয়কর রিটার্ন দেয়ার বিষয়ে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, আগে সব প্রার্থীকে আয়কর রিটার্ন দেয়া বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এখন বাধ্যতামূলক নয়। যাদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (টিআইএন) আছে, কেবল তারাই রিটার্ন জমা দেবে। আর যাদের নেই, তাদের দেয়ার প্রয়োজন নেই।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রস্তাবনা এসেছিল-যে দেশের অনেক কৃষকও নির্বাচনে অংশ নেন। তারা আয়করের বাইরে রয়েছে। তাই নির্বাচনে সকলের সুযোগ নিশ্চিত করতে আয়কর রিটার্ন দেয়ার বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে।

এনবিআর সূত্র জানায়, আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে রাজস্ব আদায়ে এনবিআর আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম এরই মধ্যে পত্রিকা, টেলিভিশনে এসেছে। এর বাইরেও অনেকে প্রার্থী হবেন। গত ৩ অক্টোবর এনবিআর করনীতি শাখা থেকে নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে হালনাগাদ রাখতে বিভিন্ন কর অঞ্চলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে প্রার্থীদের রাজস্ব পরিশোধসংক্রান্ত তথ্য এনবিআর সংশ্লিষ্টরা সহজে খতিয়ে দেখতে পারবেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, এনবিআর কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এ কাজ করছে না। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষ্যেই এ ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নতুন নতুন কৌশল গ্রহণে এনবিআর চেষ্টা করছে। সুতরাং প্রার্থীদের এনবিআর সনদ বাধ্য করা হলে কেউ রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে কিনা তা যাচাই করা সহজ হবে।

আরও পড়ুন :

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নিপুণকে নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন মালেক আফসারী
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও ‘বিপুল ভোটে’ জয়ী পুতিন
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নির্বাচন কমিশনের পুষ্পস্তবক অর্পণ
নিপুণের সভাপতি কে এই মাহমুদ কলি
X
Fresh