• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গঙ্গাধরে ধরা পড়ছে মহাশোল, দাম ইলিশের মতো

আব্দুল কুদ্দুস চঞ্চল

  ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৩৫

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর গঙ্গাধর নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে মিঠাপানির সুস্বাদু মহাশোল মাছ। প্রতিবছর কার্তিক মাসের শেষ থেকে অগ্রহায়ণ মাসের পুরোটা সময় এ নদীর কচাকাটা ইউনিয়নের শৌলমারী এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে।

স্থানীয়ভাবে এটি ঘড়েয়া মাছ নামে পরিচিত। স্থানীয় জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক থেকে দেড় মাস এ মাছটি গঙ্গাধর নদীতে অবস্থান করে। গঙ্গাধরের শৌলমারী এলাকার গভীরতা কম বলে এখানেই মাছটি জালে ধরা পড়ে। সুতোয় বোনা এক প্রকার টানা জাল ফেলে এ মাছ ধরেন এখানকার জেলেরা।

জেলেরা জানায়, কেকড়া নামের এ জালটি নদীতে ফেলে মাছ ধরতে ৬ জনের একটি দল কাজ করে। দিনে ৩ থেকে ৪টি করে ঘড়েয়া মাছ তারা ধরতে পারেন। যার ওজন প্রতিটি প্রায় ৩ থেকে ৫ কেজি। জেলেরা কেজি প্রতি দাম পেয়ে থাকেন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। আকার ভেদে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় প্রতিটি মাছ। তাই সারা দিনে ৬ জন মিলে ২ থেকে ৩টি মাছ ধরলেই মোটা মানে রোজগার হয়ে যায়। তাই অন্য মাছের চেয়ে এই মাছ ধরে থাকেন পুরো সময়।

ব্যাপক সুস্বাদু এ মাছটির স্বাদ নিতে সচ্ছল ব্যক্তিরা বছরের এ সময়টির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। অনেকে জেলেদের আগাম চাহিদা দিয়ে থাকেন।

স্থানীয়রা জানান, এই মাছ প্রতিবছর এই এলাকাটিতে ধরা পড়ে। এখান থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ ব্যক্তিদের উপহার হিসেবে পাঠান অনেকে। চাহিদা, দাম এবং স্বাদে এ মাছটি পেয়েছে রাজকীয় পরিচিতি।

শৌলমারী এলাকার ইউপি সদস্য মিরজা মিয়া জানান, ছোট বয়স থেকে তিনি এ মাছ দেখে আসছেন। তিনি জানান, মাছটি স্থানীয় মাছ নয়, পাথুরে নদীর মাছ, পাথরের ময়লা খেয়ে বেঁচে থাকে। শীতের কারণে বছরের এ সময়টায় এখানে চলে আসে।কচাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল জানান, স্থানীয়ভাবে পরিচিত ঘড়েয়া মাছ খুবই সুস্বাদু, এ মাছের চাহিদা ব্যাপক, একবার হলেও সবাই এ মাছটা চেখে দেখতে চায়।

পাহাড়ী খরস্রোতা স্বচ্ছ পানির নদীতে ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং ১৫ মিটার গভীরতায় মাছটি বিচরণ করে থাকে। কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ মাসের পুরো সময় গঙ্গাধরে অবস্থান করে।

মাছটির প্রধান খাদ্য পাথরের ফাঁকে জন্মানো পেরিফাইটান শৈবাল।

একসময় বাংলাদেশের নেত্রকোনার কংস নদ ও সোমেশ্বরী নদীতে এই দুই প্রজাতির মহাশোল মাছ পাওয়া গেলেও নদীর উৎসমুখ বন্ধ হওয়ায় এখন তা বিলুপ্ত।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, মহাশোল মাছটি খরস্রোতা নদীর মাছ। গঙ্গাধর খরস্রোতা হওয়ায় মাছটি এখানে পাওয়া যায়, তবে পরিমাণে কম।

আরও পড়ুন :

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কুড়িগ্রামে তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী
সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম
ইরানে ইসরায়েলি হামলা, লাফিয়ে বাড়ল তেল ও স্বর্ণের দাম
X
Fresh