• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

'মিল্কভিটার কারণেই সস্তায় দুধ খেতে পারছে মানুষ'

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৪৮
ফাইল ছবি

বাজারে এখন অনেক ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত পাস্তুরিত দুধ পাওয়া যায়। অভিযোগ আছে এসব দুধের অধিকাংশ ভেজালে ভরা। পাস্তুরিত এই দুধে জীবাণুও রয়েছে।

তবে এসবের মধ্যে আস্থার কথা শোনাচ্ছে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্কভিটা)।

সংস্থাটির চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু বলছেন, মিল্কভিটার দুধ স্বাস্থ্যসম্মত। ক্রেতারা নির্বিঘ্নে এই দুধ ক্রয় করতে পারেন।

সম্প্রতি তার সঙ্গে কথা হয় আরটিভির। নাদির হোসেন লিপু বলেন, বাংলাদেশে দুধের বাজারে একটা ভেজালের প্রতিযোগিতা চলছে। এমন সময়ে মিল্কভিটার ক্রেতাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে তারা একটি ভালো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য কিনছেন।

একসময় প্যাকেটজাত দুগ্ধপণ্যের মধ্যে শুধু মিল্কভিটাই ছিল। এখন বাংলাদেশে অনেক কোম্পানি আছে; যারা এ ধরনের পণ্য প্রস্তুত করে।

মিল্কভিটা সমবায় সমিতির মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করে। সমিতির পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের গাভী কেনা, গাভীর সুস্থতা, বিশুদ্ধ দুধ ইত্যাদির জন্য অনেক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। মিল্কভিটা ডাক্তারের ব্যবস্থাও রেখেছে। নির্ধারিত পশু চিকিৎসকরা নিয়মিতই গাভীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। দুধ সংগ্রহের পর তা সমিতির কার্যালয়ে আসে। এরপর তা বাজারজাতের জন্য প্রস্তুত হয়।

মিল্কভিটা চেয়ারম্যান বলেন, দুধ বাড়ি থেকে সমিতির অফিসে আনা পর্যন্ত পুরো দায়িত্ব বহন করে থাকে মিল্কভিটা। এরপর সেটা বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে কারখানায় নেয়া হয়। কারখানায় পাস্তুরিত করার আগে এটা কয়েকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়ে থাকে। দুধে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া আছে কিনা, কোনও এসিড উৎপাদিত হলো কিনা? ল্যাকটোজ বা ফ্যাট ঠিকমতো আছে কিনা- তা ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা হয়।

‘এসব প্রক্রিয়া অবলম্বন করেই আমরা বাজারে পণ্য বাজারজাত করি। সে হিসেবে বাজারে অন্যান্য দুধের থেকে মিল্কভিটা ভিন্ন।’

তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের যেসব কোম্পানি দুধ উৎপাদন করছে, তারা কেউ এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় না। একমাত্র মিল্কভিটা এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করে থাকে। শুধু পাস্তুরিত নয়, মিল্কভিটার ১২ পণ্যে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাজারে পাঠানো হয়।

‘এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ঘি, মাখন, মিষ্টি দই, টক দই, রসমালাই, লাবাং, মাঠা ও বিভিন্ন ধরনের চকোলেট।’

বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ নিয়ে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) একটি গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয় বাংলাদেশে পাস্তুরিত দুধের ৭৫ শতাংশে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

নাদির হোসেন লিপু বলেন, বর্তমানে বিশুদ্ধ খাবার নিয়ে যে জিরো টলারেন্সের কথা বলছে সরকার, মিল্কভিটা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে ভেজালমুক্ত খাবার প্রস্তুত করছে। আমরা এ জায়গায় শক্ত অবস্থানে থাকতে চাই। গত কয়েকমাসে বাজার থেকে দুধ নিয়ে বিভিন্ন ল্যাবে পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, দুধ পাস্তুরিত হওয়ার পর সাধারণত ১৫ মিনিটের বেশি ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার বাইরে রাখা যায় না। দুধ ৫ ডিগ্রির বাইরে রাখলে তাতে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হবেই। তাই বাজার থেকে দুধ নিয়ে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর পর যদি পরীক্ষা করা হয়, তবে খারাপ ফল আসবেই। এবং তাতে গ্রাহকরা বিভ্রান্ত হবেন।

‘আমরা ল্যাব কর্মকর্তাদের বলছি, মিল্কভিটা থেকে দুধ নিয়ে পরীক্ষা করুন। ৫ ডিগ্রিতে দুধ নিয়ে পরীক্ষা করেন, দেখবেন রেজাল্ট ঠিক পাবেন।’

তিনি বলেন, পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে যদি একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য বাজারে এসে যায়, তবে মিল্কভিটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর মিল্কভিটা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর মালিক প্রান্তিক খামারিরা এবং উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এদেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতেই মিল্কভিটা অবদান রেখে যাচ্ছে।

মিল্কভিটা চেয়ারম্যান বলেন, মিল্কভিটার জন্যেই আজ আমরা ৬৫ টাকা লিটারে দুধ খেতে পারছি। ভুল তথ্যের কারণে যদি এ কোম্পানি বন্ধ হয়ে যায়, তবে আমাদের ভবিষ্যতে ১৫০ টাকা লিটারে দুধ খেতে হবে।

শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, আগামীতে মিল্কভিটার এরিয়াভিত্তিক কারখানা করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন :

এসআর/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চিপসের প্যাকেট-ডাবের খোসাসহ পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি কিনবে ডিএনসিসি
ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
রাজশাহীতে ৫ টাকায় ডিম, ৭৫ টাকায় মিলবে দুধ 
১০ টাকা লিটার দুধ বিক্রি করে ভোক্তা অধিকারের সম্মাননা পেলেন এরশাদ
X
Fresh