• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

কথা রাখলেন ইলিশ ব্যবসায়ীরা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৫২

ভরা প্রজনন মৌসুম সামনে রেখে গত রোববার থেকে সব ধরনের ইলিশ ধরা বন্ধ করেছে সরকার। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এতে ইলিশের সম্ভাবনা আরও বাড়বে।

এদিকে অন্যান্য বছরের মতো এবারও সরকারের এ নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন ব্যবসায়ীরা। নির্দেশনার জারির দিন থেকেই বাজারে তারা ইলিশ বিক্রি, বাজারজাত বন্ধ করেছেন।

রোববার ও সোমবার রাজধানীর যাত্রাবাড়িসহ বেশকিছু মাছ বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, ইলিশের কোনও খোঁজ নেই। ইলিশের বদলে সরগরম অন্যান্য মাছের কেনাবেচা। অথচ একদিন আগেও এসব বাজারে শুধু ইলিশেরই রমরমা ছিল।

বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছ ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, পাবদা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৫৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, চিংড়ি হরিণা ৫৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বাগদা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, গলদা ৬৫০ থেকে ১০০০ টাকা, কাঁচকি ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইলিশ ধরা বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্তকে সবাই স্বাগত জানিয়েছে। ব্যবসায়ীরাও মেনে নিয়েছেন। তাই প্রতিবারের ন্যায় তারা এবারও ইলিশ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।

জরিমানার ভয় আছে সবার। তাই ঝুঁকি নিচ্ছেন না কেউ।

যাত্রাবাড়ির মাছ ব্যবসায়ী রহমত মোল্লা জানান, সরকার এ সময়ে সব ধরনের ইলিশের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। যা আগামী ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এসময়ে কেউ যদি ইলিশের ব্যবসা করে, তবে জরিমানার ভয়ও তো আছে।

সরকারের নির্দেশনা অনুসারে এ ২২ দিন ইলিশ ধরা থেকে বিরত রাখতে জেলেদের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিরতণ করা হবে। এ নিষেধাজ্ঞা না মানলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অভিযুক্তকে কারাদণ্ড কিংবা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে। দেশের সব মাছঘাট, আড়ত, হাটবাজার, চেইনশপসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় এই ২২ দিন ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ অভিযানও চালানো হবে।

এদিকে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ লিফলেট, পোস্টার ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জেলেসহ সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, বরফকলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অন্য কোথাও থেকে বরফ আসতে না দেয়া, নদীসংলগ্ন খাল থকে নৌকা বের হতে না দেওয়া, মাছঘাটসংলগ্ন বাজারের নৌকা ও ট্রলারের জ্বালানি তেলের দোকান বন্ধ রাখা, নদীর মধ্যে জেগে ওঠা চরের মাছঘাটগুলো বন্ধ রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ ব্যাপারে ইলিশ গবেষক ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিছুর রহমান বলেন, 'দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে আশ্বিনের এই সময় মা ইলিশ রক্ষায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কারণ এই মাসের ভরা পূর্ণিমা এবং অমাবস্যায় মা ইলিশ সাগর ছেড়ে মিঠা পানিতে ডিম ছাড়বে। এতে জেলেদের সাময়িক ক্ষতি হলেও মাছ না ধরার সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে।'

আরও পড়ুন :

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা
পুকুরে ধরা পড়ল ১০০ ইলিশ
শিশু অপহরণ করে বিক্রি করতো চক্রটি
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হলেন যারা
X
Fresh