৫শ থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর চামড়া
আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট
| ২২ আগস্ট ২০১৮, ২০:২৯ | আপডেট : ২২ আগস্ট ২০১৮, ২১:১০

আরও পড়ুন : প্রিমিয়ার ব্যাংক ম্যানেজারের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ২৩ লাখ টাকা লুট
------------------------------------------------------- মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা এবার চামড়া শিল্পনগরীতে নতুন বিনিয়োগ করেছেন। আর এ সময়ে রপ্তানি কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার চাহিদাও কম। গেল বছরের অবিক্রীত চামড়া ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ এখনও মজুদ রয়েছে। এর বড় কারণ হচ্ছে চামড়ার মূল ক্রেতা ট্যানারি মালিকরা আছেন অর্থ সংকটে। অন্য বছরের এ সময়ের মধ্যে আড়তদার ও পাইকারদের অগ্রিম টাকা দিলেও এবার বকেয়া পাওনা অর্থ পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারেননি ট্যানারি মালিকরা। তাই চামড়ার দাম কম। তারা আরও বলেন, অর্থ সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই এবার কুরবানির পশুর চামড়ার দর কমিয়ে নির্ধারণ করেছেন ট্যানারি মালিকরা। প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ঢাকায় ৪৫ থেকে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ চামড়া লবণ দেওয়ার পরে ৯০০ থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকায় কিনবেন ট্যানারি মালিকরা। প্রতিটি চামড়ায় লবণ দিতে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ব্যয় এবং আড়তদাররা ৫০ টাকা মুনাফা করবেন। ফলে প্রতিটি চামড়া ৭০০ থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে কিনতে আড়তদারদের পরামর্শ দিয়েছেন ট্যানারি মালিকরা। ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দর ৩৫ থেকে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ চামড়া মাঠে ৩০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে কেনার পরামর্শ দিয়েছেন। যদি আড়তদার ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা এর চেয়ে বেশি দামে কেনাকাটা করেন তাহলে লোকসানের দায় নেবেন না ট্যানারি মালিকরা। এ ছাড়াও সারাদেশে প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং প্রতি বর্গফুট বকরির চামড়ার দর ১৩ থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিবছর সারা দেশ থেকে দুই কোটির ওপর পশুর চামড়া পাওয়া যায়। এর মধ্যে অর্ধেকই আসে কুরবানির সময়। আরও পড়ুন : এমসি/ এমকে