• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ই-পাসপোর্টের কাজ এগিয়ে গেলো আরও একধাপ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১২ জুলাই ২০১৮, ১৬:২৯
ছবি সংগৃহীত

তিন হাজার ৩৩৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকায় বাংলাদেশকে ই-পাসপোর্ট ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহের কাজ পেয়েছে জার্মানির কোম্পানি ভ্যারিডোস জিএমবিএইচ। এই অর্থে ২০ লাখ পাসপোর্ট বুকলেট ও ২ কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট তৈরির মেশিন ও প্রয়োজনীয় উপকরণ কেনা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভ্যারিডোসের কাছ থেকে এই সরঞ্জাম ও সেবা কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এই অনুমোদনের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট তৈরির কাজ আরও একধাপ এগিয়ে গেলো।

বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অটোমেটেড বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা’ প্রকল্পের আওতায় এসব পণ্য ও সেবা জিটুজি ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে জার্মানির থেকে কেনা হবে। ব্যয় হবে মোট ৩ হাজার ৩৩৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এক সহকারী পরিচালক আরটিভি অনলাইনকে বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা শুরু করবে। এই পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ১০ বছর। শিগগির এই পাসপোর্টের ফি নির্ধারণ করা হবে।

২০১০ সালে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) পদ্ধতি চালু করে।

কিন্তু এমআরপি ব্যবস্থায় দশ আঙ্গুলের ছাপ ডাটাবেজে সংরক্ষণ না থাকায় একাধিক পাসপোর্ট করার প্রবণতা ধরা পড়ে। এর ফলে ই-পাসপোর্টের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে অনুভব করে সরকার।

এই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রবর্তনের নির্দেশ দেন।

পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর জার্মানি সফরের সময় ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সে দেশের প্রতিষ্ঠান ভ্যারিডোস জিএমবিএইচ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ই-পাসপোর্ট চালুর বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পাসপোর্ট অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ই-পাসপোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নাগরিকদের হাতে এই পাসপোর্ট তুলে দিতে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এক সপ্তাহ আগে একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রকল্পটি এ বছরই বাস্তবায়ন শুরু করে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে।

প্রকল্পে সূত্রে জানা গেছে, বহির্বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সর্বশেষ উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন পাসপোর্ট ইস্যু, পাসপোর্টের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি এবং ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বাংলাদেশি নাগরিক ও আগত বিদেশি নাগরিকদের সুষ্ঠুভাবে গমনাগমন নিশ্চিত করতেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সরকার।

এই পাসপোর্ট বাস্তবায়ন হলে বিশ্বের যেকোনো স্থান হতে ওই পাসপোর্ট ধারীর নম্বর সার্চের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সব তথ্য পাওয়া যাবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ই-পাসপোর্ট বাস্তবায়ন হলে বিদেশে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধি পাবে।

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বনানীতে চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার
মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্টসংক্রান্ত হাইকমিশনের জরুরি নোটিশ
ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীর মালয়েশিয়ায় মৃত্যু
মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য সুসংবাদ
X
Fresh